কমাশিসা: সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা ও তিনজন মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি আবদুল হান্নানসহ দুই আসামির করা আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষকে এই সময়ের মধ্যে সংক্ষিপ্তসার জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। আসামিপক্ষে ছিলেন ‘অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড’ শামসুল আলম। হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামি হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষস্থানীয় নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও হুজির সিলেট অঞ্চলের সংগঠক শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল আপিল করেছিলেন।
তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, দুই পক্ষকেই দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার (কনসাইজ স্টেটমেন্ট) জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় সংক্ষিপ্তসার ছাড়াই শুনানি হবে, বলেছেন আদালত।
২০০৪ সালের ২১ মে নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী সিলেটে গেলে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করতে যান। সেখানে দরগাহ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে বের হওয়ার সময় প্রধান ফটকের কাছে তাঁকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় তিনজন নিহত হন। আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক আবুল হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল হাই খানসহ প্রায় ৭০ জন আহত হন।
গত ২৮ এপ্রিল এ মামলায় জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নান মুন্সিসহ তিন জঙ্গির ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, আপিল না করলে ওই তিন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরে কোনো বাধা নেই। তবে গত ১৩ জুলাই মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন মুফতি আবদুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন জমা দেন ‘অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড’ শামসুল আলম।