কমাশিসা :: কওমি অঙ্গনের সাম্প্রতিক অস্থীরতা, স্বীকৃতির জঠিলতা, আলেমদের দূরত্ব, সরকার-আলেম দ্বন্দ্ব ও একে অন্যের মন মালিন্যসহ সামগ্রিক বিষয়ে হাটহাজারী মাদরাসায় আল্লামা শাহ আহমাদ শফীর কার্যালয়ে সবচেয়ে দীর্ঘ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে একটি বিশ্বস্থ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, কওমি অঙ্গনের চলমান সব বিষয় নিয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সব মিলিয়ে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক যেখানে বেফাকের চেয়ারম্যান আল্লামা আহমদ শফী সবার অভিযোগ বিস্তারিত শুনেছেন এবং আগামীর কর্মপন্থাও নির্ধারণ করেছেন।
বেফাক চেয়ারম্যান ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে বৈঠকে ঢাকার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস এবং মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী।
ঢাকায় বেফাকের একটি সম্মেলনে সম্মিলিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তাদেরকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো এবং চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনের দায়িত্ব দেয়া হয়।
মোবাইলে আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে রাত ৯টায় মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী প্রথমেই শুকরিয়া আদায় করেন এবং বলেন, একটি কার্যকরি ও সফল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে আল্লামা আহমদ শফী নিজে সবার অভিযোগ অনুযোগ শুনেছেন। কেবল তাই নয়, তিনি দীর্ঘক্ষণ সময় দিয়ে আগামীর কর্মপন্থাও নির্ধারণ করেছেন যা শিগগির প্রকশ করা হবে।
মাওলানা নদভী বলেন, কওমি অঙ্গনে এটি আশার আলো। চলমান কোনো সমস্যাই আর বেশি দিন থাকবে ইনশাআল্লাহ। সব ঠিক হয়ে যাবে। সবার ঐক্য আসবে এবং পরিস্থিতিও শান্ত হয়ে যাবে।
জানা যায়, বৈঠকে কওমি স্বীকৃতি, বেফাক ও আলেম ওলামাদের চলমান মতানৈক্যের পাশাপাশি ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদকে নিয়েও। আঞ্চলিক চার বোর্ডের ব্যাপারে এসেছে দীর্ঘ আলোচনা। তবে সিদ্ধান্তগুলো এখনোই জানা যায়নি। আগামী আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়গুলো পরিষ্কার হতে পারে বলে জানা গেছে।
সূত্র : আওয়ার ইসলাম