উলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম ছাড়া স্বীকৃতি নয়
কমাশিসা ডেস্ক :: আজ ৫ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সিলেটের তালতলাস্থ একটি অভিজাত হোটেলে “কওমি মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষক সোসাইটি”র উদ্যোগে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপট ঃ তরুণ আলেমদের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে মাওলানা আমিন আহমদ রাজু ও মাওলানা ফাহাদ আমানের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা রাখেন কাজিরবাজার মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও বেফাকুল মাদারিস সিলেট জেলার সহ-সেক্রেটারি মাওলানা সামিউর রহমান মুসা। উদ্বোধনী আলোচনা করেন গহরপুর মাদরাসার শিক্ষক বেফাকুল মাদারিস সিলেট জেলার অফিস সম্পাদক মাওলানা নাঈম উদ্দিন।
এছাড়াও আলোচনা পেশ করেন ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক শায়খুল হাদিস মুফতি মাওলানা শামসুল ইসলাম, তরুণ কবি ও গবেষক মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ, দরগাহ মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা হাফিয জুনাইদ কিয়ামপুরী, দারুল কুরআন সিলেটের শায়খুল হাদিস মাওলানা এহতেশামুল হক ক্বাসিমী, আম্বরখানা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি জিয়া রাহমান, মাওলানা জাবেদুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট মুহাদ্দিস মাওলানা শামসীর হারুনুর রশীদ, মাওলানা হুসাইন আহমদ মিসবাহ, মাওলানা মুশফিকুর রহমান মামুন, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মাওলানা সাইফ রাহমান, মাওলানা জামাল উদ্দিন পলাশী, কবি মাওলানা মীম সুফিয়ান, মাওলানা ওযীরুল ইসলাম মাসউদ, মাওলানা এখলাছুর রহমান, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন নোমান, মাওলানা সৈয়দ শিব্বির আহমদ, মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা মুফতি আব্দুল করীম হক্কানী, মাওলানা জুলফিকার মাহমুদী, মাওলানা আরিফ আহমদ রব্বানী, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা সাইদুর রহমান, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মনসুর, হাফিয মাওলানা আব্দুল গফ্ফার, মাওলানা শাহ ফয়সল আমীন, মাওলানা লুৎফুর রহমান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম জাকারিয়া, মাওলানা নোমান আহমদ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম রিয়াদ, মাওলানা জয়নুল ইসলাম, মীম হুসাইন, মাওলানা হাজী আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা মখলিসুর রহমান, মাওলানা মুজাহিদ হাসান, গিয়াস উদ্দিন নোমান, মাওলানা আবদুল আউয়াল হাসান, মাওলানা জয়নুল ইসলাম প্রমুখ।
বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ
১. মুরব্বী উলামায়ে কেরামের মতামতের অযাচিত বিরোধিতা না করে তাঁদের মতামতের প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। স্বাধীনভাবে তাদেরকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সুযোগ করে দেওয়া এবং এক্ষেত্রে কোনো ফোরাম বা গ্রুপ তৈরি করে তাদেরকে চাপ প্রয়োগ না করা।
২. কওমি সনদের স্বীকৃতি কোনো করুণা নয়; বরং এটা কওমি শিক্ষার্থীদের অধিকার। তাই উলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধতার মাধ্যমে স্বকীয়তা বজায় রেখে সরকারি হস্তক্ষেপমুক্ত স্বীকৃতি চাই।
৩. বিভিন্ন সামাজিক ও প্রচার মাধ্যমে মুরব্বী উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য বা অনৈক্য সৃষ্টি করে এরকম বিভ্রান্তিমূলক সংবাদের প্রচার-প্রচারণা, লাইক-কমেন্ট-শেয়ার থেকে বিরত থাকা। যারা প্রতিহিংসা, কুৎসা রটনা মুরব্বীদের ব্যাপারে অশালীন বক্তব্য ইত্যাদিতে জড়িত তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
৪. কওমি সনদের বৃহত্তর সর্বজনীন ঐক্যের প্রচেষ্টার লক্ষ্যে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা.বা. ও আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসঊদ দা.বা.’র সাথে শীঘ্রই তরুণদের পক্ষ থেকে সাক্ষাত করা এবং উভয়কে এক টেবিলে বসার বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ।
৫. কওমি স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমি সনদের দ্রুত সরকারি স্বীকৃতি গ্রহণের লক্ষ্যে সিলেটের কৃতি সন্তান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ’র সাথে সাক্ষাৎ করা।
৬. অতিসত্ত্বর সর্বস্তরের উলামায়ে কেরামদের নিয়ে প্রস্তাবিত ‘কওমি মাদরাসা শিক্ষাসনদ আইন’১৬’-এর উন্মোক্ত সংলাপের আয়োজন করা।
৭. সর্বস্তরের কওমি আলেম-উলামা ও তরুণদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্যের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৮. সম্ভাব্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে ও সম্ভাব্য ২৫ ডিসেম্বর’১৬ তারিখে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মুখে এবং এর পূর্বে হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, বি.বাড়িয়া, খুলনা সহ বিভিন্ন জেলায় “কওমিবন্ধন”-এর আয়োজন করা।