কমাশিসা ডেস্ক :: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এবং খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও গওহরডাঙ্গ মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।
৩১ অক্টোবর পৃথক পৃথক বিবৃতির মাধ্যমে তারা এই নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানান।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির পাশাপাশি মুসলমানদের সংযত আচরণ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, বিশৃঙ্খলা ইসলাম পছন্দ করে না। মন্দির ভাংচুর, হিন্দু পল্লিতে আক্রমণ এসব জামাত-শিবির ও বাতিলপন্থীদের কাজ।
অমুসলিমদের বাড়িঘরে আক্রমণ প্রকৃত সমাধান নয় উল্লেখ করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, এলোপাতাড়ি আক্রমণে প্রকৃত অপরাধী আত্মগোপন করতে পারে। একজনের অপরাধের কারণে অন্যদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ ইসলাম সমর্থন করে না।
পবিত্র কাবা শরিফ মুসলমানদের হৃদপিণ্ড উল্লেখ করে জমিয়ত সভাপতি বলেন, মুসলমানদের পবিত্র এই হৃদপিণ্ড নিয়ে অশ্লীল ছবি আপলোড সমাজে দাঙ্গা বাধানোরই পায়তারা। সরকারকে হুশিয়ার করে তিনি বলেন, রসরাজ দাসসহ সংশ্লিষ্ট এসব লোকদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
একই বিষয়ে পৃথক বিবৃতিতে মুফতি রুহুল আমীন বলেন, মুসলমানদের সর্বোচ্চ সম্মানের জায়গা পবিত্র কাবা শরিফের ছবির ওপর মূর্তির ছবি দিয়ে চরম ধৃষ্টতা প্রকাশকারী যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, ধর্ম অবমাননা আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকার কারণে এক শ্রেণির উগ্রসম্প্রদায় ইসলাম ধর্ম এবং ধর্ম সম্পর্কিত বিষয়সমূহ নিয়ে কটূক্তি করে রাষ্ট্রের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
মুফতি রুহুল আমিন বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করছে। তাদের মাঝে কোনো বিভেদ নেই। কিন্তু মাঝে-মধ্যে কিছু ষড়যন্ত্রকারী ধর্মীয় বিষয় নিয়ে অনাকাঙ্খিত মন্তব্য করে, ধর্মকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে, ধর্মীয় পবিত্র স্থানের ছবি ইত্যাদি বিকৃত করে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করে। তাদের এমন হীন কাজের উদ্দেশ্য কী তা খুঁজে বের করতে হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। তাহলে আর কেউ এমন অপরাধ করার সাহস করবে না।