—-লন্ডনে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান
কমাশিসা ডেস্ক :: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাংলাদেশে ইসলামী তাহযিব তামাদ্দুন এর আলোকেই শিক্ষানীতি ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করতে হবে। স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে বিদায় হজ্জেরসহ ইসলামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদ ও শিরকী বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা কোনভাবেই আমরা মেনে নেব না।ইসলামী শিক্ষাকে বাদ দিয়ে যে শিক্ষানীতি করা হয়েছে তা অবিলম্বে বাতিল এবং বিতর্কিত পাঠ্যসূচি সংশোধন করতে হবে।
কওমি মাদরাসা শিক্ষা সনদের সরকারি স্বীকৃতির বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দায়িত্বশীল উলামায়ে কেরামদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দাওরায়ে হাদীসের স্বীকৃতি নিবেন নাকি পুরো সিস্টেমের স্বীকৃতি নিবেন তা সকলে বসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিতে হবে। আলেম উলামাদের ঐক্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে যা হয় তা সকলকে মেনে নেয়ার মধ্যেই সামগ্রিক কল্যাণ রয়েছে। ওলামায়ে কেরামদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা থাকলে ইসলাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগস্থ হবে।
তিনি আরোও বলেন, স্বীকৃতি হলেও ইসলাম থাকবে না হলেও ইসলাম থাকবে। কিন্তু উলামায়ে কেরাম না থাকলে এদেশে ইসলামের নাম নিশানাও থাকবে না। আমরা কওমি মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতি চাই।স্বীকৃতির নামে সরকারের নিয়ন্ত্রণ চাই না। তিনি কওমি মাদরাসার স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা বজায় রেখে সরকারি স্বীকৃতির বাস্তবায়নের দাবী জানান।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার উদ্যোগে বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি ২০১০ ও বিতর্কিত শিক্ষা আইন ২০১৬ বাতিল, পাঠ্যসূচি সংশোধন এবং কওমি মাদ্রাসার স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা বজায় রেখে শিক্ষা সনদের সরকারী স্বীকৃতি বাস্তবায়নের দাবীতে গত কাল ৩০ অক্টোবর রবিবার পূর্ব লন্ডনের ওয়াটার লিলি হলে আয়োজিত ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সংগঠনের সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা রেজাউল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বৃটেনের অন্যতম শীর্ষ আলীম, জামেয়া ইসলামিয়ার বার্মিংহাম এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শায়েখ মাওলানা আব্দুল আজীজ, হযরত হাকিম আখতার (রহঃ)এর অন্যতম খলিফা মাওলানা শায়েখ আছগর হোসাইন, টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিল অফ মস্কের চেয়ারম্যান হাফিজ মাওলানা সামছুল হক, মুজাহিরুল উলুম লন্ডনের চেয়ারম্যান মাওলানা শায়েখ জমশেদ আলী, ফোর্ড স্কয়ার মাদরাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুর রহমান, মুসলিম চ্যাপলেইন ইউনিভার্সিটি হসপিটাল ওয়েলস, কার্ডিফ ইমাম ফরিদ আহমদ খান, জামেয়া মুজাহিরুল লন্ডন এর প্রিন্সিপাল মাওলানা ইমদাদুর রহমান মাদানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ইউ কে সভাপতি মাওলানা শুয়াইব আহমদ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আশরাফুল উলুম বার্মিংহাম এর প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা শায়েখ ইকবাল হোসাইন, বিশিষ্ট টিভি আলোচক মুফতী হাবীব নুহ, ফোর্ড স্কয়ার মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতী মওসুফ আহমদ, মিডল্যান্ড মসজিদে তাক্বওয়া ইমাম ও খতিব ব্যারিস্টার মাওলানা বদরুল হক, লন্ডন মাইল্যান্ড মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা নাজির উদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম, আলহাজ্ব আতাউর রহমান, মাওলানা শাহনূর মিয়া, জমিয়তে উলামা ইউরোপ সেক্রেটারী মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ, লন্ডন লাইম হাউস মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা শিব্বির আহমদ, বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার মাস্টার আলহাজ্ব আমীর উদ্দিন, লেখক ও সাংবাদিক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সাধারণ মুফতী ছালেহ আহমদ, মাওলানা নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শরিফ আহমদ,বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুল হক কামালী, লিডস শাখার সভাপতি মাওলানা সৈয়দ মশহুদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছাদিকুর রহমান,লন্ডন মহানগরীর সভাপতি মিছবাহুজ্জামান হেলালী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান, মিডল্যান্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহিবুর রহমান মাছুম, টাওয়ার হ্যামলেট শাখার সভাপতি হাফেজ মন্জুরুল হক, বার্মিংহাম শাখার সহ সভাপতি মাওলানা আহমদ হোসাইন, জামেয়া মদীনাতুল উলুম এর প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ সুলতান মাহমুদ,জামেয়া ইসলামিয়ার শিক্ষক মাওলানা এনামুল হক খান, খিদমাহ একাডেমির ইমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ইক্বরা মসজিদের ইমাম হাফিজ মনছুর আহমদ রাজা, আল আহরার সম্পাদক মাওলানা সালাম আহমদ, তরুণ আলেম লেখক কে আই ফেরদৌস, বিলাল একাডেমির ইমাম মাওলানা শেখ আব্দুস সামাদ, মাওলানা লিয়াকত হোসাইন,মাওলানা আব্দুর রহমান ইউসুফ, মাওলানা মুহি উদ্দিন খান, মাওলানা মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।
ওলামা- মাশায়েখ সম্মেলনে লন্ডন, বার্মিংহাম, ব্রাডফোর্ড, লিডস, মিটল্যান্ড, লুটন, অক্সফোর্ডসহ বিভিন্ন শহর থেকে ওলামা-মাশায়েখ, রাজনৈতিক ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।