কথায় কথায় ঐক্যের কথা বলে কওমী অঙ্গনে একশ্রেণির মানুষ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বলে অভিমত জানিয়েছেন কওমী শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, যারা ঘুঘু পাখির মতো বিভিন্ন মারকাযে ধান খেয়ে বেড়াচ্ছেন—তারা কওমীদের বন্ধু নয়। তারা জামাত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টাই করে চলেছে। এসব কুচক্রীদের থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
শীর্ষ আলেম বেফাকের সহসভাপতি মাওলানা আনোয়ার শাহ ও বেফাকের আমেলা সদস্য মুফতি গোলাম রহমানের সঙ্গে জামাত-শিবিরের পোষ্যরাই অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে দাবি করে পরিষদ নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, বেয়াদবির নজীর সৃষ্টি করে তারা কওমী অঙ্গনকে কলুষিত করতে চায়। হাজার বছর ধরে কল্যাণময় এই মাদরাসাশিক্ষার গায়ে অসৌজন্যতার প্রতিচিহ্ন এঁকে দিতে চায়। তাদেরকে চিহ্নিত ও প্রতিহত করে কওমী অঙ্গনের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) স্বীকৃতি পরিষদের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মাওলানা মাসউদুল কাদিরের পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মুফতি আবুল কাসেম ও সদস্যসচিব মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ এসব কথা বলেন।
স্বীকৃতিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে যারা অহেতুক প্রলম্বিত করার চেষ্টায় লিপ্ত তাদেরকে সতর্ক করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৩ আর ২০১৬ এক নয়। কওমী আলেমদের হৃদয়ে আঘাত করে গোলমাল লাগিয়ে আর কেউ রক্ষা পাবে না। এদেশের আলেমদের আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।
ঐক্যের প্রশ্নে স্বীকৃতি পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লামা আহমদ শফী ও আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ছাড়া কোনো ঐক্য সম্ভব নয়। যারা শীর্ষ আলেমদের বাদ দিয়ে ঐক্যের খোয়াব দেখছেন তারা বিভ্রান্তিতেই পড়ে থাকবেন।