অনলাইন ডেস্ক :: মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে অভিযানকালে দেশটির সেনারা বেশ কিছু রোহিঙ্গা মুসলিম নারীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগ করেন রাখাইন রাজ্যের ইউ শে ক্যা গ্রামের আট রোহিঙ্গা নারী।
ওই নারীদের ভাষ্য, সেনারা গত সপ্তাহে তাঁদের বাড়িতে হানা দেয়। লুটপাট চালায়। বন্দুকের মুখে তাঁদের ধর্ষণ করে।
অভিযোগকারী তিন নারীর মুখোমুখি সাক্ষাৎকার নিয়েছে রয়টার্স। বাকি পাঁচজনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে টেলিফোনে। এর পাশাপাশি মানবাধিকারকর্মী ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সব অভিযোগ স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
মিয়ানমারের মংডুর একাধিক সীমান্তচৌকিতে ৯ অক্টোবর হামলা হয়। বিদেশি ইসলামপন্থীদের সঙ্গে যোগসাজশে রোহিঙ্গাদের একটি উগ্র গোষ্ঠী এই হামলা চালায় বলে মিয়ানমার সরকারের ভাষ্য। হামলার পর রাখাইন রাজ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। সেখানে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে। বহু লোক ভিটেমাটি ছেড়ে পালায়।
রাখাইন রাজ্যে হঠাৎ করে শুরু হওয়া এই সহিংসতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
৪০ বছর বয়সী এক নারীর অভিযোগ, চারজন সেনা তাঁকে ধর্ষণ করেছে। তাঁর ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে তারা লাঞ্ছিত করেছে। তাঁর গয়না ও নগদ অর্থ নিয়ে গেছে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জ হতে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর কাছে একটি মেইল করা হলেও তার জবাব মেলেনি।