শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ২:১৮
Home / মাসাঈল / দাঁড়িয়ে পান করা

দাঁড়িয়ে পান করা

            প্রশ্ন: দাড়িয়ে পান করার ব্যাপারে ইসলামে কী সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে? পান করার নিয়মগুলো সংক্ষেপে বলবেন কি? উত্তর: শুধু মুসলিম শরীফেই ছয়টির বেশি সহীহ হাদীস আছে যেখানে মুসলমানদেরকে দাড়িয়ে পান করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাহলো “রসূল (সঃ) দাড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন।” (মুসলিম, ৫০১৭)“মহানবী (সঃ) কোনো ব্যক্তিকে…

User Rating: Be the first one !

 

 

 

 

 

 

11899975_874907179258266_7944212129157247406_n

প্রশ্ন: দাড়িয়ে পান করার ব্যাপারে ইসলামে কী সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে? পান করার নিয়মগুলো সংক্ষেপে বলবেন কি?

উত্তর: শুধু মুসলিম শরীফেই ছয়টির বেশি সহীহ হাদীস আছে যেখানে মুসলমানদেরকে দাড়িয়ে পান করতে নিষেধ করা হয়েছে।

তাহলো “রসূল (সঃ) দাড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন।” (মুসলিম, ৫০১৭)“মহানবী (সঃ) কোনো ব্যক্তিকে দাড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন।” (মুসলিম)“নবী করীম (সঃ) দাড়িয়ে পান করা সতর্ক করে দিয়েছেন।” (মুসলিম, ৫০২০) “কেউ দাড়িয়ে পান করবে না।” (মুসলিম, ৫০২২)

সুতরাং এ সকল হাদীসগুলো দাড়িয়ে পান করাকে অনুমোদন দিচ্ছে না। আরো হাদীস আছে যেখানে বলা হয়েছে যে, “মুহাম্মদ (সঃ) জমজম কূপের পানি পান করার সময় দাড়িয়ে পান করতেন। (মুসলিম, ৫০২৩ ও ৫০২৭) “তিনি দাড়িয়ে জমজমের পানি পান করতেন।” (বুখারী, ১৬৩৭)

সুতরাং উল্লিখিত হাদীসগুলোর উপর ভিত্তি করে সকল আলেমরা এ ব্যাপারে একমত যে, জমজমের পানি পান ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে বসে পান করতে হবে।

কিন্তু এমন হাদীস আছে যেখানে বলা হয়েছে যে, মুহাম্মদ (সঃ) জমজমের পানি দাড়িয়ে পান করা ছাড়া অন্য সময়ও দাড়িয়ে পান করতেন। হাদীস উল্লেখ আছে যে, “আলী (রাঃ) মসজিদের দিকে হাটছিলেন এবং দাড়িয়ে পানি পান করেছিলেন এবং তিনি বলেন, আমি জানি যে অনেক মানুষ এটাকে অনুমোদনহীন কাজ বলে ভাবে কিন্তু আমি মহানবী (সঃ) কে দাড়িয়ে পান করতে দেখেছি।” (বুখারী, ৫৬১৫)

একদা আলী (রাঃ) দাড়িয়ে পান করছিলেন এবং লোকেরা তার দিকে তাকাতে লাগলো, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো, আমি তাই করছি যা মুহাম্মদ (সঃ) করেছেন, আমি দাড়িয়ে পান করি, কারণ মুহাম্মদ (সঃ)-কে এভাবে দেখেছি এবং আমি বসেও পান করি কারণ আমি মহানবী (সঃ)-কে বসে পান করতে দেখেছি।” (মুসনাদ আহমদ, ৭৯৭) “ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন যে, তিনি মুহাম্মদ (সঃ) এর সাথে ছিলেন এবং মুহাম্মদ (সঃ) অনেক সময় হাটতে হাটতে খেতেন এবং দাড়িয়ে পান করতেন।” (তিরমিযী, ১৮৮১)

সুতরাং এই সকল হাদীসের উপর ভিত্তি করে আলেমরা মতৈক্যে পৌছেন যে, বসে পান করা মুস্তাহাব। কারণ এটা নবী (সঃ) নির্দেশ, যখন নির্দেশ এবং কাজকর্মের ভিতরে দ্বন্দ্ব দেখা যায় তখন নির্দেশটাই বেশি গুরুত্ব বহন করে, কারণ নির্দেশ হলো সাধারণ সিদ্ধান্ত।

তবে দাড়িয়ে পান করা মাকরূহ কিন্তু এর জন্য কোনো শাস্তি নেই। কেউ কেউ বলেন দাড়িয়ে পান করা হারাম। কিন্তু না এটা হারাম নয় বরং মাকরূহ। বসে পান করা অধিক অধিক উত্তম।

পান করার নিয়মগুলো হলো:
১. পান করার পূর্বে বিসমিল্লাহ বলতে হবে।
২. ডান হাত দ্বারা পান করতে হবে।
৩. বসে পান করতে হবে।
৪. তিন ঢোক কিংবা তার চেয়ে বেশি ঢোকে পান করতে হবে কিন্তু এক ঢোকে নয়।
৫. পান করার পরে আলহামদুলিল্লাহ বলতে হবে।
৬. যে ব্যক্তি পানীয় সরবরাহ করে তার উচিৎ সকলকে সরবরাহ করে সবার শেষে নিজে পান করা।
৭. পানি সরবরাহ করার সময় ডানদিক থেকে সরবরাহ করতে হবে।
৮. কলসি হতে পানি পান করা উচিত নয় বরং গ্লাসে ঢেলে পান করতে হবে।
৯. স্বর্ণ এবং রূপার পাত্রে পানি পান করা উচিত নয়। সুতরাং এগুলোই হলো পান করার নিয়ম এবং রসূল (সঃ) এর সুন্নত।

—- ড.জাকির নায়েক

সংগৃহীত

About Abul Kalam Azad

এটাও পড়তে পারেন

সুপ্রীম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন ও জাতীয় চেতনার দায়বোধ

মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক সাম্প্রতিক বাংলাদেশের ধর্মীয় অঙ্গন আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবারের ইস্যু সুপ্রীম ...