সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ:
স্বীকৃতির প্রযোজনীয়তা নিয়ে ১৯৮৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কওমী স্বীকৃতির আলেমদের ঐক্যমত ও বিরোধীতা যারা করেন তাদের প্রাথমিক তুলনামূলক একটি পর্যালোচনা করে ছিলাম। বিরোধীতা যারা করেন তাদের একটি অংশ আদর্শিকভাবে কওমী উন্নয়নের কট্টর বিরোধী। গতকাল জামাতি ও ইসলামি ব্যাংকের কথা পর্যালোচনা করেছিলাম। আজ বেদাতিদের কওমী মাদরাসার বিরোধীতার কিছু ভংকর তথ্য আপনাদের দিতে চাই।
কওমী বিরোধীদের এতো মাথা ব্যাথা কেন?
এখন তাদের চিহ্নিত করতে হবে, কারা কওমী মাদরাসার উন্নায়ন চায় না। চায় না জাতীয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কওমী খেদমতে বিস্তৃত করতে একটি মান সম্পন্ন সাটির্ফিকেটের। তারা ছলে বলে কৌশলে সময়ে সময়ে আমাদের ব্যাবহার করেছে। ধোকা দিয়েছে। আমরা ধোকা খেয়েছি। জামাতি আর বেদাতিদের কোনদিন আমরা ব্যাবহার করতে না পারলেও তারা কিভাবে আমাদের সুযোগে ব্যাবহার করে এই লেখাতে সেই চিত্রটি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব। বিএনপির আমলে মুখলেছুর রহমানের নামে জামাতিরা সক্রীয় ছিল, তৎপর ছিল কওমী ভিতরে বাহিরে স্বীকৃতি ঠেকাতে। এখন স্বীকৃতি টেকাতে বাহাউদ্দীন নামের বেদাতিরা সবচেয়ে বেশি সক্রীয় আমাদের ভিতরে ও বাহিরে। কে এই বাহাউদ্দীন?
জানতে হলে সাথে থাকুন। বিদাতি বাহাউদ্দীনের ইনকিলাব আর জামাতিদের সংগ্রাম ও দিগন্ত তো আছেই।
কে এই বাহাউদ্দীন?
কওমী অঙ্গনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক ইনকিলাব। দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এম এ বাহাউদ্দীন। যিনি আলীয়া মাদরাসা শিক্ষক সমিতি জমিয়তুল মুদাররিসিনের সভাপতি। কট্টর বেদাতি, পাকিস্তানেরর তাহের শাহের মুরীদ। কথিত আছে তাহের শাহ ঢাকাতে এলে তাদের বাসাতেই অবস্থান করেন। বেদাতিদের কট্টর আদর্শিক লোক হলেও তাদের প্রধানপুঁজি কওমি অঙ্গন। বুঝে না বুঝে মিডিয়ার শূন্যতার ফলে ছলে বলে কৌশলে এই বিদাতিরা ব্যাবহার করে আসছে আমাদেরকে।পাশাপাশি সুক্ষ কৌশলে কওমী অঙ্গনের বারবার ফাটল ও ভাঙ্গন তৈরি করে আসছে তাদের বাবার আমল থেকে। বাহাউদ্দীনদের রাজনীতি আবার প্রথমআলোও জনকন্ঠ মার্কা নয়। তারা কখনো কওমীর বিরুদ্ধে নিউজ করে না। বরং পজিটিভ নিউজ কাভার করে সাথে রাখে। কিন্তু বরাবরই এমন নিউজ করে যা কওমি অঙ্গনে ভূল বুঝাবুঝি ও ফাটল তৈরি করে। গত ৩০সেপ্টেস্বর হাটহাজারীর বৈঠক নিয়ে তারা শিরোনাম করলো “স্বীকৃতিকে প্রত্যাখান”। আসলে কি তাই? তারা শিরোনাম করতে পারত “আল্লামা শফি স্বীকৃতিকে অস্বীকার করেন নি,কমিটি পূণর্গঠন চান।”
স্বীকৃতির বিরোধীতার কারণ?
দেশ বিদেশি কওমী মাদরাসা বিরোধী শক্তি সনদের সরকারী স্বীকৃতির বিরোধীতার মূল কারণ তারা মনে করছে বাংলাদেশের আলেমরা এবার ভারত পাকিস্তানের মত রাষ্টের মূল ধারায় অবস্থান করবে। স্কলারশিপ নিয়ে মক্কা মদীনা, কায়রোর আল আজহার সহ বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার ও কম খরচে নানান দেশে যেতে পারবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সহ সরকারী ধর্মীয় নানান প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে তারা চাকুরী করবে। প্রতিযোগিতার বাজারে মেধার দৌড়ে কওমীর ছেলেদের সাথে আলিয়ার শিক্ষার্থীরা পেরে উঠবেনা। এতে ক্রমশ সরকার সংস্লীষ্টতা তাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে।
আলীয়ার এমপিও বাতিলের আশঙ্কা!
ইনকিলাব সম্পাদক ও আলীয়া মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি বাহাউদ্দীনরা মনে করছেন কওমী মাদরাসা সনদের সরকারী স্বীকৃতি হলে, কওমীর মেধাবী লাখো ছেলেরা আর প্রাইভেটে আলীয়া মাদরাসা থেকে সনদের জন্য পরিক্ষা দিবে না। উপজেলা ও জেলা লেভেলে আলীয়া মাদরাসাগুলো মূলত কওমীর ছেলেদের পরিক্ষা দিয়ে তাদের ভাল রেজাল্ট দিয়েই ঠিকে আছে। সরকারের নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে এমপিও ধরে রাখতে। এতো পার্সেন্ট ছাত্র পরীক্ষা দিতে হবে এবং শতকারা এতো… জন মেধা তালিকায় থাকতে হবে। নতুবা অনুদান ও এমপিও বাতিল হয়ে যাবে। আমি যখন দাখিল পরীক্ষা দেই তখন ২৩জন পরীক্ষার্থীর মাঝে ১৭হজনই ছিলাম কওমী মাদরসা থেকে আসা ছাত্র। সে আশঙ্কায়ই মূলত বাহাউদ্দীনদের কওমী স্বীকৃতি টেকাতে নানান অপপ্রচার আর সরকারের নানান মহলে তাদের লোকজনেরর কাছে দৌড়ঝাপ করছেন। কওমী স্বীকৃতি ঠেকাতে ভিতরে বাহিরে শক্ত লবিং চলছে। এছাড়া তাদের রয়েছে শক্ত আন্তর্জাতিক প্রভূদের নির্দেশনা। বাংলাদেশের কওমী মাদরাসার রাজনীতি, অর্থনীতি ও অবকাঠামো যেন মাথা উচু করে দাঁড়াতে না পারে। তারা বারা বার ষড়যন্ত্রকরে বাংলাদেশের কওমীধারার রাজনীতিতে শক্ত ফাটল তৈরি করেছে।ইসলামী ঐক্যজোটকে খন্ড বিখন্ড করার পেছনে তারা সরাসরি মদদ দিয়েছে এবং কূটবুদ্ধি খেলেছে মোসাদের ষড়ডন্ত্রে। অনেকে বলেন ইনকিলাবে কওমীর কোন কোন আলেমও তো চাকুরী করেন। তারা মূলত ভিতরের বিভিন্ন পাতা দেখেন। কিন্তু ইনকিলাবের গভীর রাজনীতি ও অভ্যান্তরীণ কোন কিছুতে বা বার্তা বিভাগে তাদের কোন হাত নেই। তাই ভুলবুঝাবু্ঝির কোন সুযোগ নেই।
বাহউদ্দীনের ইসরাইলি কানেকশন
বাহ্যিকভাবে কওমীর আলেমদের একান্ত আপনজন বাহাউদ্দীনের কূটচাল জানতে হলে জানতে হবে তার ডান হাত কে। তার ডান হাত হলো দৈনিক ইনকিলাবের দীর্ঘদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও প্রভাবশালী ইংরেজি সাপ্তাহিক “উ্ইকলী ব্লিটজ” এর সম্পাদক সাংবাদিক সালাহ উদ্দীন শোয়েব চৌধুরী। আলেমদেরকে সাথে রেখে তারা কিভাবে কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সক্রীয়এবার দেখুন। এমনকি অনেকের পেছনে বড় অঙ্কের অর্থও তারা ব্যায় করে থাকে কওমীর রাজনীতি ও প্রততিষ্ঠানকে কোনঠাসা করে রাখার জন্য। এই বাহাউদ্দীন ও শোয়েব চৌধুরীর বাসাতে আলখেল্লাধারী কিছু নামধারী আলেমের নিয়মিত যাতায়াতের খবরও পাওয়া যায়। বর্তমানে কওমী স্বীকৃতি ঠেকাতে আলেমদের ভেতরে ফাটল তৈরিতে তারা কোমর বেঁধে লেগেছে। ঝাকে ঝাকে বিমান টিকেটের অর্থ সেখান থেকেই আসছে বলে শুনা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন স্বীকৃতির পক্ষে কাজ করা একজন কর্তা ব্যক্তি এখন কট্টর বিরোধীতার কারণ একই হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষক মহল। কারণ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে একাধিকবার ইনকিলাবওয়ালদের সাথে বৈঠক করতে দেখা গেছে।
ভয়ঙ্কর তথ্য হল জঙ্গিদের লালন ও পিষ্টপোষকতায় ইসরাইলের এই চরদের হাত রয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকতুল জিহাদ (হুজি)যখন ইসলামী ডেমোক্রেট দলের নাম ধারন করে প্রকাশ্যে রাজনীতিতে আসে। সেদিন ঢাকাতে ইন্জিনিয়ার ইনিস্টিটিউটে তাদের সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিল এই সাংবাদিক সালাহ উদ্দীন শোয়েব চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চারদলের বড় বড় কওমী আলেম।
কে এই ইনকিলাবিয় সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরী।শোয়েব চৌধুরীর উইকি লিঙ্কে লেখা আছে- শোয়েব চৌধুরী দুবার বাংলাদেশে মোসাদের গোয়েন্দাগিরি করার অপরাধে ধরা খাওয়ার পর তাকে মুক্ত করার জন্য যে ক্যাম্পেইন হয়েছিলো তার নেতৃত্বে রিচার্ড বেনকিন নামক এক মার্কিন ইহুদী। রিচার্ড বেনকিন ও সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী একত্রে বেশ কয়েকটি ইসরাইলি সংগঠনের সাথে জড়িত।
(https://en.wikipedia.org/wiki/Salah_Choudhury)
ইসরাইলের একান্ত দোসর শোয়েব চৌধুরীকে ইসরাইল-মোসাদ কানেকশন ও দেশ বিরোধী তৎপরতার দায়ে ২৯ নভেম্বর ২০০৩ সনে তৎকালীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর (বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর) থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ১ ডিসেম্বর ২০০৩ তেলআবিবে অনুষ্ঠিতব্য এক কনফারেন্সে যোগদানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করার চেষ্টা করছিলেন। বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তার লাগেজে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও কওমী মাদরাসা এবং ইসলামিক ষড়যন্ত্রের নানান তথ্য সম্বলিত অনেক ডকুমেন্ট ও সিডি উদ্ধার করে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও আল-কায়েদার নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত নানান ভৌতিক তথ্যও ছিল তাতে। তার গ্রেফতার সম্পর্কিত খবর পরের দিন ইংরেজী পত্রিকা Daily Star পত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয়।
Man with ‘Mosad links’ held at ZIA শিরোনামের খবরে বলা হয় :
A man was arrested at Zia International Airport yesterday morning on his way to Tel Aviv for his alleged Mossad connection. A leader of Bangladesh chapter of ‘Iflaq’, a Haifa-based organisation, Salauddin Shoib Chowdhury was carrying compact discs (CD‘s) and papers containing write-ups on some sensitive issues including ‘minority repression and the al Qaeda network in Bangladesh’, police said. Shoaib was managing director of the planned Inquilab Television until he was sacked last year…….
এরপর চৌধুরী সাহেব একাধারে ১৭ মাস জেল খাটেন। তিনি ইনকিলাব টিভি প্রতিষ্ঠা করার জন্যও কাজ করেছেন। তিনি ইনকিলাব টিভির এম.ডি হিসেবে নিযুক্ত হন। ইনকিলাব টিভিতে তার প্রায় এক মিলিয়ন টাকার মোট ৩০% শেয়ার ছিল বলে দাবী করেন। ইনকিলাব পত্রিকা যখন জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির পক্ষে কাজ করছিল, ঠিক সেই মুহূর্তেও ইনকিলাব টিভির সর্বোচ্চ পদে ঘাপটি মেরে ছিল দেশ ও জাতির শত্রু এবং ইসরাইলের এ চর! এ ঘটনা থেকে কি ইসলামী সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো শিক্ষা নেবেনা?
১ লা ডিসেম্বর ২০০৩ ডেইলী স্টার লিখেছে-
“বিমানবন্দরে তাকে গ্রেফতার করার সময় তার কাছে একটি প্রজেক্ট প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাতে তিনি ইসরাইলের কাছে তিনটি দৈনিক পত্রিকা যথা দৈনিক সোনালী দিন, দৈনিক রূপান্তর, দৈনিক পরিবর্তন প্রকাশের জন্য ১২ কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। তিনি তার আবেদনে ইসরাইলী বন্ধুদের মুসলিম প্রধান দেশে মিডিয়া গড়ে তোলার জন্য আহবান জানিয়ে বলেন, কোটি কোটি ডলার খরচ করে যুদ্ধবিমান ক্রয়ের চেয়ে মিডিয়া সৃষ্টি করুন, এতে ইসরাইল বেশি লাভবান হবে। (সুত্র: ডেইলী স্টার, ০১/১২/২০০৩, (http://goo.gl/j2VkeO )
১৫ অক্টোবর ২০০৬ সালে ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল এ সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিলো Darkness in Dhaka। সেখানে বলা হয় –
“মি. চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয় মূলত ইসরাইলের পক্ষাবলম্বন এবং পাসপোর্টে অনুমতি না থাকার পরেও ইসরাইল ভ্রমনের চেষ্টা করার জন্য।পত্রিকাটি মি. চৌধুরীর উদ্বৃতি দিয়ে লিখে,“আমি যখন প্রথম সাপ্তাহিক ব্লিজ প্রকাশ করি তখন সিদ্ধান্ত নেই ইহুদী খৃষ্টানদের বিরুদ্ধে বিশেষত ইসরাইলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যে সংঘবদ্ধ প্রচারনা চলছে তার অবসান ঘটাতে। বাংলাদেশে শুক্রবারের খুতবায় মোল্লারা মূলত জিহাদের বানী প্রচার করে এবং ইহুদী খৃষ্টানদের হত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করে) ।
উল্লেখ্য বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মোসাদ কানেকশনে তাকে ফের গেপ্তার করে।মোসাদ এজেন্ট সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী অর্থ প্রতারণার মামলায় ৪ বছর এবং রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় ৭ বছর কারাদণ্ড ভোগ করছে।
(http://goo.gl/weyqmN)
সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী ইসরাইল ভিত্তিক সংগঠন ইফলাক (IFLAC, international forum for literature and culture for peace) এর সদস্য এবং ইসরাইল-ইসলাম বন্ধুত্বের একজন উপদেষ্টা । ইসরাইল রাষ্টের বন্ধু তালিকায় তার নাম রয়েছে। সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী আলেমদের সাথে সম্পর্ক রাখলেও তার কিছু বাংলাদেশ ও ইসলাম বিরোধী লেখা পাবেন-
ক) https://goo.gl/RkNHLx
খ) https://goo.gl/Idcsgk
সম্প্রতি ইসলাম বিরোধী একটি সিনেমাও তারা তৈরি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবুও আমরা ইনকিলাবই পড়ি!
ইনকিলাব একটি তৃতীয় সারির দৈনিক পত্রিকা! যখন যে সরকার আসে, তখন সে সরকারের পক্ষেই নুন খাওয়া আর গুন গাওয়া। কাজেই ইহা একটি পা চাটার গুণগ্রাহী একটি পত্রিকা।অনেকেই এই বিদআ’তি পত্রিকাটিকে ক্বওমীদের পত্রিকা মনে করত, এমনকি অনেকেই এখনও করে অজ্ঞতাবশত! বন্ধুরা খেয়াল আছে- সেই বাইতুল মোক্বাররমের খতিব নিয়োগের সময় এই বিদআ’তি পত্রিকার ভূমিকা! ভুলে গেলেন সেই নির্লজ্জ সালাহুদ্দিনের কথা। তৎকালীন হক্ব-বাতিলের লড়াইয়ে এই মুনাফেক্ক বাহাউদ্দিন ভন্ড খতিবের পক্ষে ও আন্দোলনরত সকল মুসল্লি তথা ক্বওমির ছাত্র শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একাধিক সভা-সেমিনার করেছিল, পত্রিকায় বিদআ’তের পক্ষে এবং হক্বের বিপক্ষে তার লেখনী ছিল অগ্রজ!
সাধু সাবধান, ইনকিলাব মুনাফেক পত্রিকা! এটা কখনও ক্বওমিওয়ালাদের পত্রিকা নয়! সবকথা সবতথ্য বিশ্বাস করা যাবে না।যদি দেখেন ইনকিলাব ক্বওমিদের পক্ষে সরব- তখনি বুঝতে হবে বাহাউদ্দীন কোন নিখুঁত ষড়যন্ত্র করছে! নিখুঁত বলছি কারণ- ষড়যন্ত্র করে ওরা সাময়িক সাফল্য পেয়েছেও! যেমন ইসলামী এক নেতা এক সমাবেশে একজন দ্ব্যর্থ কণ্ঠে বলছিলেন যে, বর্তমানে ইসলামের পক্ষে একটি পত্রিকাই আছে, আর সেটি হল ইনকেলাব(উঁনার ভাষায়)!
টিকাঃ
দৈনিক ইনকিলাবে world wide film industries এর রসালো খবরগুলো প্রতিদিনই আলাদা page এ ছাপায়, যা বেহায়াপনায় অন্যান্য পত্রিকাকেও হার মানায়!!!