আল্লামা মাসউদ দাঃবাঃ আকুতি কী কেউ শুনছেন?
“স্বীকৃতি চাইলে বেফাকের হাতে দ্বায়িত্ব তুলে দিতে আমি তৈরি”
“আল্লামা আহমদ শফি দাঃবাঃ এর পায়ের সমান আমি অধমের মাথাও না”
“আহমদ শফি হুজুর ডাক দিলে এক সেকেন্ডও রওনা দিতে দেরি করব না”
“হাটহাজারী হুজুরের নাম্বারে কল দিয়ে বার বার কথা বলার চেষ্টা করেছি, এখনো আকুতি আছে।”
“হুজুরের কাছে চিঠিও দিয়েছি, কিন্তু ডাক পিয়ন তাঁর হাতে পৌছাতে পারেনি নিশ্চয়” হুজুর কিছুই হয়তো জানেন না।
জানলে, কসম খোদার -আল্লাহর ওলী, এই বিনয়ী বিদগ্ধ আলেমকে তাঁর কাছে না টেনে থাকতে পারতেন না।
আজ মাসউদ সাহেব দাঃবাঃ আমাদেরকে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেছেন, একবার হুজুরের সাথে দেখা করার ব্যাবস্থা করুন, আমি কুকুরের মতো দৌড় দিব।
২০১২ সালে শফি সাহেব দাঃবাঃকে চেয়ারম্যান করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারি করে। লাখ লাখ লাশ ফেলার বেফাকীয় হুমকী। মৌলিক ভাবে সেদিন হাটহাজারী হুজুরকেও প্রত্যাখান করেন তারা। তারপর থেকে মাঠে ময়দানে ছড়িয়ে দেয়া হয় বিশ বছরের ঐক্যবদ্ধ দাবী “কওমী সনদের স্বীকৃতি” চাই না। যেটা চেয়েছেন, আজন্ম আল্লামা আহমদ শফি হাফিজাল্লাহু।
তারপরঃ
তারপরঃ পেরিয়ে গেছে অপেক্ষার চার বছর। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছেন মাসউদ সাহেব। সর্বশেষে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ঘোষনার পরেও কিছুদিন। চেষ্টা করেছেন হুজুরের সাথে অন্তত একটি বার মোলাকাতের।
ফরিদ উদ্দীন মাসউদ দাঃবাঃ বার বার সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন আহমদ শফি দাঃবাঃ এর সাথে। সারা দিন হাটহাজারীরর বারান্দায় বসে থেকেও সাক্ষাৎ পাননি। এই তিনিই একদিন মাত্র ৪০বছর বয়েসে বয়ান করেছেন, আহমদ শফি হুজুরের অনুরোধে হাটহাজারীর মিম্বরে বসে। হাটহাজারীর উস্তাদ শায়েখ নুর মোহাম্মদ সাহেব আপ্রাণ চেষ্টা করেও সেদিন দেখা করাতে পারেন নি।
কেউ পারবেন?
কেউ কি আছেন?
এদেশে এমন একজন আলেমও কি নেই, তাদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেয়ার মত। হুজুরের সাথে সাক্ষাতের গেইটের রহস্য তালা। চট্টলার সেই তালাটির কি দ্বীতিয় কোন চাবি আছে কারো কাছে? যে তিনি চাইলে কপাটটি খুলতে পারবেন?
হাটহাজারীর হুজুরকে কারা ঘিরে রেখেছেন?
কেনইবা দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। কাদের ইশারায় এমন হচ্ছে? হুজুরের চারপাশে কারা? তারা কি চান? কেন এমন করছেন। সাক্ষাতে বা বৈঠকে সমস্যা কোথায়?
এমন হচ্ছে কেন একজন অতিশিপর বয়োবৃদ্ধ বুর্যুগকে নিয়ে? ভাই ভাইর সাথে দেখা করতে পারবেনা এটা কেমন কথা!
প্লীজ কেউ এগিয়ে আসুন।
প্লীজ শুধু এতটুকু করলেই হবে, মাসউদ সাহের আকুতি তার ইচ্ছা হুজুরের কানে পৌছে দিলেই হবে। সেই অদৃশ্য দেয়ালটা কেউ টপকিয়ে হাটহাজারীর হুজুরের কাছে গিয়ে একান্তে এই কথাগুলো বলতে পারবেন?
আছেন কি কেউ বাঁধার সেই রহস্য প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে হুজুরকে তার অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষের এই দ্বীলী তামান্না পৌছানোর। আমরা একবার কেবল শুনতে চাই হাটহাজারীর হুজুর উত্তরে কি বলেন?
স্বীকৃতি হয়েই যাবে! আনুষ্টানিক ঘোষনা আজ কি কাল। সংসদে বিল পাস হবে। মন্ত্রীপরিষদে গেজেট হবে। সবেমাত্র খসড়া প্রস্তাব পরীক্ষা নিরীক্ষা, যাচাই বাছাই এর জন্য প্রাথমিক কমিটি হয়েছে। কমিটি আর মাত্র দশদিনের ভিতর খসড়া জমা দিবে। তারপর চুড়ান্ত কমিটি “কতৃপক্ষ” হয়ে যাবে। স্বীকৃতি চলে আসবে কওমীর ঘরে। এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তখন – হয়তো আর কিছু করার থাকবে না।
দুই সরে তাজের দেখা না হলে বিভক্ত হবেন আলেম সমাজ।
এর দ্বায় কে নিবেন?
যা হবার তাই হবে।
ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবেনা নিশ্চয়।
বিঃদ্রঃ নাজুক পরিস্থিতিতে কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না, ব্লকের তালিকা দীর্ঘ করতে চাই না। পারলে এ বিষয়ে কেউ উদ্যোগ নিন।