ইউসুফ বিন তাশফিন:
বিগত বছর বিশ যাবত বিএনপি মুলা ঝুলিয়ে কওমি উলামাদের পথে ঘাটে ঘুরিয়েছে। বিএনপিকে কে প্রভাবিত করেছে তা বলা মানে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। আমাদের কেন সে যোগ্যতা হলোনা যাতে প্রভাবিত করে বিএনপি থেকে তাদের তাড়িয়ে দেই? না পারবোনা পারার সে যোগ্যতাটুকুও আমার মাঝে যে নেই একথা আবার বিশ্বাস করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো যে, যে জাতি যে গোষ্ঠী নিজের দুর্বলতা না পারা গুলোকে জেনে-বুঝে ভাবে এভাবেই অপরাজিত থেকে ফতোয়াবাজি করাটাই সার তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব? কওমি মাদরাসার সিলেবাস সংস্কার যে অপরিহার্য একথা পাগলেও মানে। তাহলে আমরা ছাগলরা কেন সংস্কারে হাত দেইনা? এই প্রশ্নের উত্তর যারা বলতে পারে তারাই জানে কেন সংস্কার হচ্ছেনা।
কায়েমী স্বার্থবাদী মুনাফাখোরদের পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যাবে এটাই হলো মূল কারণ। একেক সময় একেক জিগির! আগে শোনতাম সরকার স্বীকৃতি দেয়না। সাথে শোনতাম ্আমাদের স্বীকৃতি আল্লাহ তায়ালা দিবেন। পরে জানতে পারলাম ্স্বীকৃতি চাই তবে আমার বগলের নীচ দিয়ে। আচ্ছা ঠিক আছে বগলের নীচে দিয়ে হলেও বাবা নিয়ে নাও। না তা এভাবে না আমি যেভাবে বলবো। কিভাবে তাহলে? আমার জন্য চাই একটি রাজ সিংহাসন। আমার বন্ধুর জন্য পাশের সিট। আমাকে জমিদার ঘোষণা দিয়ে। আলাপালারা হবেন আমার তাবে’দার। আমার মন্ত্রণালয়ের আরো যত সদস্য আছেন, যারা সবমসয় রাস্তায় মিছিল মিটিং নিয়ে ভিজি থাকেন লেখাপড়ার দিকে মনোযোগের চেয়ে তাদের জন্য থাকতে হবে বিরাট একটা গদ্দিখানা। এখন যেভাবে চলছে সামনে সেভাবেই চলার নিশ্চয়তা। সংস্কার হলে হউক না হলে না হউক আগে আমার নিকটজনদের খান্দানী তোয়াজ খানা চাই। দেশ গুল্লায় যাক, কওমি প্রজন্মরা মেধা যোগ্যতার সাথে দেশ ও বিশ্বব্যাপী অবদান রাখার মতো অতি জ্ঞানের অধিকারী হওয়ার কি দরকার? যারা আমাদের দেখে সালাম দেবে, হাদিয়া তুহফা দিবে, দাওয়াত খাওয়াবে, পকেট গরম করবে, এমন এতায়াতী প্রজন্ম চাই, যাতে পরবর্তীতে আমাদের সন্তান সন্তদির দিকে যেন তারা খোশ নজর রাখে। এই হলো আদব এতায়াত আর খেদমত ও আজমতের কাহিনী। এখানে ইসলামি অখুওত বেরাদরি দ্বীনী মাফাদ বলতে কেবল খাহিশাতে নাফসানী।
বয়স্ক বৃদ্ধ্য বুজুর্গদের নাম ভাংগিয়ে যাতে তিনির পাশের জন বসে সকল সিদ্ধান্ত নিতে পারে থাকে সেই টার্গেট। কওমি স্বীকৃতির যে প্রজ্ঞাপন জারি হযেছে তাদের মোরদ নেই সে কথা বলার যে আমরা এই প্রজ্ঞাপন মানিনা। হ্যাঁ উপকমিটিকে মানেন না। কেন মানেন না? এখানে তাদের আশা আখাংকার প্রতিফলন ঘটেনি। কারণ অন্য দরবারি হুজুর দিয়ে কাজ হবেনা নিজে আগে দরবারি হতে হবে। এজন্য দরবারে গিয়ে সালাম ও নজরানা পেশের জন্য অধীর অপেক্ষায়। কিন্তু সেই দরবার থেকে যখন একটা কিছুর ঘোষণা এসেগেছে উনারা নিজেরা গিয়ে দরবারি সেজে ঘোষিত দরবার নামার পরিবর্তন কি সম্ভব? বোকার রাজ্যে কি এতো লোকের বসবাস?
অতএব আমরা বলতে পারি যে পুরানা দরবারি হুজুরের মেরুদন্ড আছে বলেই কেরেশমাটা দেখিয়ে দিয়েছেন। বলতেই পারেন কওমিদের মেরুদন্ড এখনো ভেংগে যায়নি। যারা সত্যিকার মেরুদন্ডহীন তারাই পিছনের কাতারে দাড়িয়ে আগের সারির সকলের নামাজ ফাসিদ করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত। মনে রাখবেন রাজনৈতিক চাল খেলে কওমি অংগনকে উন্নয়নের পথথেকে আর রুখা যাবেনা। আমরা ভাল করেই জানি ‘এই সংসদ জ্বালিয়ে দেবো, কাপন নিয়ে বের হবো, চোখ উপড়ে ফেলবো’ বলে যারা হুংকার দেন তারাই আবার রাতের অাধাঁরে গুরু নানকের পা ধরে বলেন বাবা এইবার অন্ধকার কুটুরি থেকে বাঁচা?