মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১১:২২
Home / প্রবন্ধ-নিবন্ধ / ডার্ক ম্যাটার বা রহস্যময় বস্তু : আল-কোরানে ইউনিভার্স নয় মাল্টিভার্সের ধারণা

ডার্ক ম্যাটার বা রহস্যময় বস্তু : আল-কোরানে ইউনিভার্স নয় মাল্টিভার্সের ধারণা

dark_matter_mapমুহাম্মদ শামীম আখতার :আল-কোরানে হেভেনস বা বেহেশত সম্পর্কে যে ধারনা দেওয়া হয়েছে, তা আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানে একটি বাড়তি স্পেটিয়াল মাত্রিকতা প্রদান করেছে।
নাসা সম্প্রতি ডার্ক ম্যাটার বা রহস্যময় বস্তু সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছে। এই রহস্যময় বস্তু অদৃশ্যমান কিন্তু এটি বিপুল মাধ্যাকর্ষণ (gravity)  সৃষ্টি করে, যা নক্ষত্রপুঞ্জকে ধারণ করে (অবশ্য এটি তারকারাজি এবং গ্রহপুঞ্জ তৈরীর নিয়মিত বস্তু নয়) । এই অদৃশ্য বস্তুর আছে অদ্ভুত সংঘর্ষ সৃষ্টিকারী উপাদানসমূহ (যা কোন সংঘর্ষ সৃষ্টি করে না)। সাধারণভাবে বলতে গেলে: আমরা না অন্ধকার বস্তু দেখতে পাই, না আমরা এর মাধ্যাকর্ষণ সনাক্ত করতে পারি। এই চিত্রে দুইটি বড় ধরনের অদৃশ্যমান রহস্যময় বস্তু বা ডার্ক ম্যাটার (নীল রঙের) দেখতে পাচ্ছি, যা একে অপরের সাথে সংঘর্ষরত অবস্থায় আছে।
প্রতিটি গুচ্ছে ১০,০০০ নক্ষত্রের ভর আছে [ প্রতিটি গুচ্ছ সূর্যের চেয়ে কুয়াড্রিলিয়ন (১০,০০০০০০০০০০০০০০০ গুণ) বেশি ভর বিশিষ্ট] ( দেখুন: Universe Today) । কিন্তু প্রভাবের কারণে সেগুলো বিচ্ছিন্ন না হয়ে অক্ষত অবস্থায় একটি অপরটির মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে! এর অর্থ হচ্ছে তাদের পরস্পরের মধ্যে কোন সংঘর্ষ সৃষ্টি হয় না!! তারা স্বাভাবিকভাবেই  একটি আরেকটির পাশ দিয়ে চলে যায়।
এই অদৃশ্যমান রহস্যময় বস্তু কেন পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হয়না, বা আমাদের সাথেও তাদের সংঘর্ষ বাঁধে না, অথচ এরপরও আমরা এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সনাক্ত করতে পারি, এর রহস্য ভেদ করার জন্য পদার্থবিদগণ এবং মহাবিশ্বতত্ত্ববিদগণ বাড়তি মাত্রিকতা যোগ করে তত্ত্ব বিনির্মানে কাজ করছে। গতানুগতিক ধারার বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল যে, চতুর্মাত্রিক বিশ্বে: সময় এবং গতানুগতিক দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা (এক্স, ওয়াই, জেড) এই তিনটি স্পেটিয়াল (স্থান সংক্রান্ত) মাত্রার মধ্যে আমরা বাস করছি। কিন্তু এখন ছয়টি বাড়তি স্থান সংক্রান্ত মাত্রা (six extra spatial dimensions) আছে বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং এই ডার্ক ম্যাটার বা রহস্যময় বস্তুসমূহ না প্রত্যক্ষ করি বা দেখি, না সেগুলো একে অপরের সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি করে। এর কারণ ছয়টি বাড়তি মাত্রাসমূহের মধ্যে ভর রয়েছে। আল -কোরানে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক জি¦ন একে অপরের সাথে সংঘর্ষ না হলেও সেগুলোর ভার বা ওজন আছে।
আল-কোরানের সুরা আর-রাহমানের ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন, “(মানব ও জ্বিন) উভয়ের ভার আমি নিষ্পত্তি করবো।”
জি¦নের ভার আছে, যার অর্থ হচ্ছে আমরা সেগুলোর মাধ্যাকর্ষণ নির্ণয় করতে পারি এবং তারাও আমাদের মাধ্যাকর্ষণ সনাক্ত করতে পারে। সুতরাং আল-কোরানের আলোকে আমরা জি¦নদের দেখতে পাই না, তাদের সাথে আমাদের সংঘর্ষও হয় না কিন্তু আমরা তাদের মাধ্যাকর্ষণ নির্ণয় করতে পারি।
জি¦নরা ভিন্ন প্রকৃতির বলে আমরা তাদের দেখতে পাই না, তাদের সাথে আমাদের কোন সংঘর্ষও হয় না, কিন্তু আমরা তাদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অনুভব করতে পারি। আরও ছয়টি হ্যাভেন বা বেহেশত আছে যেগুলোকে আমরা দেখতে পাই না, সেগুলোর মধ্যে পরাস্পরিক কোন সংঘর্ষও বাঁধে না, কিন্তু আমরা তাদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি, যা দৃশ্যমানের উপর আরোপিত, সনাক্ত করতে পারি:
সুরা হা-মীম সেজদার ১২ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা। ”
আল-কোরানের তথ্য মোতাবেক সর্বনিম্ন আসমানেই আলো দৃশ্যমান। এর অর্থ হচ্ছে এই রহস্যময় বস্তু বা ডার্ক ম্যাটার সাত আসমানে আছে তবে নির্ব নিম্নস্তরের উপর আরোপিত। আল-কোরানের তথ্য মোতাবেক, ছয় বেহেশত বা হেভেনস ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির এবং প্রত্যেক বেহেশতেরই পৃথিবীর মত নিজ নিজ গ্রহ রয়েছে।
সুরা আত-ত্বালাক এর ১২ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا

“আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত।” (৬৫:১২)

ইসলামের দৃষ্টিতে পৃথিবী কেবল একটি গ্রহ নয়। অপরাপর ছয়টি বেহেশতে পৃথিবীর মত আরও গ্রহ রয়েছে। আমরা সেগুলো দেখতে পাইনা, না সেগুলো পরস্পরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, কিন্তু আমরা সেগুলোর ভর সনাক্ত করতে পারি।
জেনারেল রিলেটিভিটি বা সাধারণ আপেক্ষিকতা গ্রাভিটেশনাল লেন্সিং এর পূর্বধারণা দেয়। এর অর্থ হচ্ছে গ্যালাক্সি বা নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে সৃষ্ট মাধ্যাকর্ষণ বলয়ের ভিতর দিয়ে আলো প্রবেশ করলে তা বেঁকে যায় ( দিক পরিবর্তন করে)। ডার্ক ম্যাটার বা রহস্যময় বস্তু কোন আলো নিক্ষেপ করে না, কিন্তু কিন্তু গ্যাভিটেশনাল লেন্সিং বা মাধ্যাকর্ষণ লেন্সিং এর ব্যবহার দ্বারা আমরা এর অবস্থান সনাক্ত করতে পারি। পরিষ্কার করে বললে যেখানে আলো বেঁকে যাবার কথা না সেখানে যদি আলো বেঁকে যায়, সেই জায়গাটিকে আমরা সনাক্ত করতে পারি।
উপরের ছবি এবং ভিডিওতে অদৃশ্য বা রহস্যময় বস্তু দ্বারা এমন এক স্থানে আলো বেঁকে যায়, যেখানে আলো বেঁকে যাবার কথা না। মুসলমানদের বক্তব্য হচ্ছে এভাবেই আল্লাহ কাফেরদেরকে ছয়টি আরোপিত বেহেশত চিহ্নিত করার এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।
সুরা মুলকের ৩-৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন,

الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا مَّا تَرَى فِي خَلْقِ الرَّحْمَنِ مِن تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَى مِن فُطُورٍ
(৩) তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিতে কোন তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টিফেরাও; কোন ফাটল দেখতে পাও কি?

ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِأً وَهُوَ حَسِيرٌ
(৪) অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ-তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।
আরবী শব্দ ফুত্তুর এর অর্থ হচ্ছে শূণ্য হতে সৃষ্টি করা ( এর অর্থ ‘রিপ’ বা চেরা নয়) । সুতরাং কোরানের প্রশ্ন হচ্ছে: শূণ্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে এমন কিছু তোমরা দেখতে পাও কি?” আপনার প্রথম প্রশ্ন হবে: না। কিন্তু দ্বিতীয় আয়াতে যদি ধরে নেওয়া হয় আপনি দ্বিতীয়বার দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছেন, আপনার দৃষ্টি এবং আপনার উত্তর পরিবর্তিত হবে হ্যাঁ, যা হবে আপনার পরাজয়। আপনি রহস্যময় বস্তু বা ডার্ক ম্যাটার লক্ষ্য করবেন তখন কেন সেদিকে পুনরায় তাকাবেন ? কেন আপনি ভিন্ন দিকে তাকাবেন এবং আবার ফিরে তাকাবেন? ব্যাপার খানি এরকম যে একটি বড় বস্তুর পিছে থাকা নক্ষত্রপুঞ্জকে আপনি ভিন্ন দিকে দেখেন।

dark mettrএভাবেই আমরা বর্তমান ডার্ক ম্যাটার বা রহস্যময় বস্তুকে সনাক্ত করতে পারি। অর্থাৎ পিছের ছবিগুলোকে একটু কোণ করে দেখি। যেহুত ডার্ক ম্যাটার বা রহস্যময় বস্তু কো আলো নিক্ষেপ করেনা, তাই আমাদেরকে পিছে থাকা গ্যালাক্সি বা নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে প্রক্ষেপিত আলো দিয়ে সনাক্ত করতে পারি।দূরত্ব এবং আলো বেঁেক যাবার কৌনিক পরিমাপ থেকে আমরা ডার্ক ম্যাটার বা রহস্যময় বস্তুর ভর নির্ণয় করতে পারি। সুতরাং যেখন সুআরোপিত সাতবেহেশত নির্ণয় করতে চাই, তখন সেটিকে নির্নয় করার জন্য দূরে তাকাতে হবে এবং কোণ পরিমাপ করার জন্য আবার ফিরে আসতে হবে। যদি কোন কোণ না থাকে, তাহলে কোন ডার্ক ম্যাটার বা কোণ থাকবে না।

প্রশ্ন হতে পারে, ১৪০০ বছর আগে একজন অক্ষরজ্ঞানহীন ব্যক্তি কীভাবে জানলেন যে আলো দিক পরিবর্তন করতে পারে? তিনি ডার্ক ম্যাটার বা রহস্যময় বস্তু এবং গ্রাভিটেশনাল লেন্সিং সম্পর্কে কীভাবে জানলেন? আল-কোরান সাতটি জান্নাত বা বেহেশত একটি আরেকটির উপর সাজানো আছে বলে জোর দাবী করে। আমরা নিচের হেভেন বা জান্নাতে অবস্থান করছি। আমাদের ঘাড়ের উপর থাকা মালায়েকরা থাকেন সপ্তম জান্নাতে এবং শয়তান (জিন) জান্নাত বা হেভেন বা বেহেশতের ভিতর দিয়ে আসা যাওয়া করে। কিন্তু এই সাতটি হেভেন বা জান্নাত বা বেহেশত একটি আরেকটির উপর সাজানো। এই মুহুর্তে ঠিক দুইজন মালায়েক আমাদের কাঁধে অবস্থান করছেন। জিন আমাদের ভিতর দিয়ে চলাচল করতে পারে। আল-কোরান বলছে, আমরা সেগুলোকে দেখতে পাইনা, না সেগুলোর সাথে আমাদের কোন সংঘর্ষ হয়, বরং আমরা সেগুলোর ভর অনুভব করতে পারি। কিন্তু এটি ঠিক ডার্ক ম্যাটার বা রহস্যময় বস্তুর গুণাবলীর মত, সেগুলোর সাথে না আমাদের কোন সংঘর্ষ বাঁধে, না সেগুলোর ভর আমরা সনাক্ত করতে পারি। স্ট্রীং তত্ত্ব এটিকে বিশ্লেষণ করে বলছে: তারা ভিন্ন মাত্রিকতায় ভর।

গতানুগতিক ধারার পদার্থবিজ্ঞানীদের ধারনা ছিল যে, অণুর মধ্যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশগুলো সুঁচালো ধরনের, তার মানে, সেগুলো সুুঁচের মত  দেখতে। কিন্তু সাম্প্রতিক আবিষ্কার থেকে জানা যায় যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশটি পূর্বেকার ধারনার মত সুঁচালো নয়, বরং সেগুলো শক্তির আন্দোলিত এক একটি সুঁতা।

পদার্থবিজ্ঞানীরা আরও আবিষ্কার করেন যে, এই সুতাগুলো আন্দোলিত হবার জন্য তিনের বেশি স্থান সংক্রান্ত (স্পেটিয়াল) মাত্রিকতা দরকার। বিশেষ করে সেগুলোর জন্য দরকার ছয়টি বাড়তি স্থান সংক্রান্ত (স্পেটিয়াল) মাত্রিকতা। সুতা তত্ত্বের সকল ব্যাখ্যায় ১০টি মাত্রিকতা আছে: ‘সময়’ আর তার সাথে যুক্ত তিনটি স্পেটিয়াল ডাইমেনশন বা স্থান সংক্রান্ত মাত্রিকতা এক্স, ওয়াই, জেড ( ৪ মাত্রিকতা, আমাদের দৃশ্যমান বিশ্ব) তার সাথে আছে বাড়তি ছয়টি স্পেটিয়াল ডাইমেনশন বা স্থান সংক্রান্ত মাত্রিকতা, এই মিলে মোট দশটি মাত্রিকতা ( ১ সময়+ ৯ টি স্থান সংক্রান্ত = ১০ মাত্রিকতা)

উপরিউক্ত (ইউটিউবে) এনিমেশন থেকে দেখতে পাই যে, বিভিন্ন বর্ণের সুতাগুলো বিভিন্ন মাত্রিকতায় আন্দোলন করছে বা নড়ছে। ভর ব্যতিরেকে সেগুলো একটি আরেকটির সাথে কোন সংযুক্ত হচ্ছে না। দুই মাত্রিকতার মেমব্রেন যেগুলো এনিমেশনে পরস্পর সংযুক্ত, সেগুলো আসলে ত্রি-মাত্রিকতা যা আমরা দ্বিমাত্রিকতায় দেখেছিলাম ( প্রেজেনটেশনে)। ফোটন কেবল দ্বি-মাত্রিকতার সমতল দিয়ে ভ্রমন করে ( আবারও এই প্রেজেনটেশনে) । আর সে কারনে আমরা সেগুলোকে দেখিনা। আমরা কেবল সুতার মধ্যাকর্ষণ ছায়া দ্বিমাত্রিকতার সমতলের উপর সনাক্ত করতে পারি।প্রতিদ্বন্দ্বী আরেকটি তত্ত্ব হচ্ছে এম-তত্ত্ব। এই তত্ত্বে আরেকটি বাড়তি স্পেটিয়াল ডাইমেনশন ( স্থান সংক্রান্ত মাত্রিকতা) ( এই মিলে মোট ১১টি মাত্রিকতা ) হয়েছে, কিন্তু এই বাড়তি স্থান-সংক্রান্ত্র মাত্রিকতা  কেবল সুতার বর্ণনার জন্য (হতে পারে একটি সুতা একটি দড়ির মত এক মাত্রিকতার বস্তু অথবা হতে পারে  একটি সুতা একটি নালিকার মত দুই মাত্রিকতার মেমব্রেনের মত প্যাঁচানো।

যদি সুতাটি মোটা হয় ( অথবা এনিমেশনের মতে পুরু চলক বিশিষ্ট হয়), তাহলে সেগুলো বর্ণনার জন্য (টিউবকে বর্ণনা দেওয়ার জন্য) আমাদের দরকার হবে ১১তম মাত্রিকতা। কিন্তু সুতা যদি পুরু বা মোটা না হয়, তাহলে ১১তম মাত্রিকতার দরকার নেই। যে কোনভাবে, প্রচলিত পরস্পরবিরোধী তত্ত্বের মধ্যে, এই ডার্ক ম্যাটার বা রহস্যময় বস্তু ছয়টি বাড়তি  স্থান সংক্রান্ত মাত্রিকতার মধ্যে দোলায়মান বা ভাইব্রেটিং এবং এই সকল তত্ত্বের মধ্যে গ্রাভিটি বা ভর হচ্ছে একটি শক্তি, যা গ্রাভিটন দ্বারা বাহিত হয় ( যেমন ম্যাগনেটিজম ফোটন দ্বারা বাহিত হয়)।

সুতা থেকে গ্রাভিটন (gravitons) বের হয়ে যায়, এবং পরে সেগুলো অন্যান্য সুতা দ্বারা আত্তীকরণ ঘটে এমনকি সেুগলো ভিন্ন মাত্রিকতায় নড়তে বা আন্দোলন করতে থাকে ( এই প্রেজেনটেশনে ভিন্ন বর্ণে) । যে স্থানে গ্রাভিটনগুলো নড়াচড়া কওে, সেটিকে বলে বাল্ক ( দ্বিমাত্রিকত সমতলের থেকে ভিন্ন যেখানে এই প্রেজেনটেশনে প্রদর্শিত বিষয়ের মত আলো পরিভ্রমন করে)।

সুরা ত্বোয়ার ৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “নভোমন্ডলে, ভুমন্ডলে, এতদুভয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং সিক্ত ভূগর্ভে যা আছে, তা তাঁরই।” কেবল একটির উপর আরেকটি স্থাপন করা জান্নাতও আল্লাহর নয় ( বাড়তি মাত্রিকতা), বরং সেগুলোর মধ্যবর্তী  (برزخ,,  বাল্ক যেখানে গ্রাভিটন পরিভ্রমণ করে) যা আছে তারও মালিক তিনি। বাল্ক হচ্ছে একটি স্থান  যেটি ঠিক মাটির নিচে অবস্থিত) ।

একজন পদার্থবিদের দৃষ্টিতে আমরা একটি ইউনিভার্স বা মহাবিশ্বে বাস করছি না, বরং একটি মাল্টিভার্সে বাস করছি; কয়েকটি বিশ্ব একের উপর আরেকটি সাজানো আছে। গ্রাভিটি বা ভরই হচ্ছে একমাত্র বস্তু যা এই সকল সমান্তরাল বিশ্বের মধ্যে সমানভাবে বিদ্যমান রয়েছে।
(ইউটিউব) অদৃশ্য ডার্ক ম্যাটার বা অদৃশ্য বস্তু অন্যান্য মাত্রিকতার মধ্যে কেবলই ভর।
আপনি প্রশ্ন করতে পারেন ওই বাড়তি স্পেটিয়াল ডাইমেনশন বা স্থান সংক্রান্ত মাত্রিকতা দেখতে কেমন:

(ইউটিউব) বাড়তি মাত্রিকতা ক্ষুদ্র এবং মহাকাশে প্রতিটি কোণে ভাঁজ খেলানো। একটি বাড়তি মাত্রিকতার ধারনাকে সুপ্রসস্থ করার জন্য উপরের ভিডিও’র পিঁপড়া বিলিয়ন সংখ্যক বার সংকুচিত হচ্ছে। অতপর এই পিঁপড়া বাড়তি গোলাকার মাত্রিকতার জন্য পরিবর্তিত হয়ে (রোলার কোস্টারের মত) আরও ছোট হয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু বাড়তি আরেকটি গোলাকার মাত্রিকতার পরিবর্তে আরও ছয়টি মাত্রিকতা রয়েছে এবং সেটি অবশ্যই গোলাকার নয়, কিন্তু মহাকাশে প্রতিটি কোণ সবগুলোই বাঁকানো। পিপড়াকে এই রকম বিভিন্ন পথ অতিক্রম করতে হয়েছিল।
পিঁপড়াটি যতক্ষণ এই বাড়তি মাত্রিকতার যে কোন একটিতে ছিল, আমরা ততক্ষণ কোন পিঁপড়াকে দেখি নাই, না সেগুলো একটি আরেকটির সাথে কোন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, কিন্তু তবু আমরা এর গ্রাভিটি বা মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অনুভব করি। এম- তত্ত্বে ডার্ক ম্যাটার বা রহস্যময় বস্তু অন্য মাত্রিকতায় কেবল ভর (মাস) নয়, কিন্তু সেগুলো হচ্ছে সমান্তরাল বিশ্ব ( যেখানে পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রগুলো আমাদের পৃথিবীর মত খাটবে না)। কেবল একটির উপর আরেকটি স্থাপিত সেই সমান্তরাল মহাবিশ্ব যে বিষয়টি আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছে, সেটি হচ্ছে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। আমাদের মহাবিশ্বকে সেই সমান্তরাল মহাবিশ্বের সাথে যুক্ত করলে আমরা যা পাবো তা হচ্ছে একটি মাল্টিভার্স বা বহুবিশ্ব। অপরদিকে আল্লাহ জান্নাতের শপথ করে বলছেন, জান্নাত বুনন করে করা।  আল-কোরানের জারিয়াতের ৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন,  গিটবদ্ধ জান্নাত। (এখানে আরবী হুবুক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে)। হুবুক হাবকা শব্দের বহু বচন। পিঁপড়ার পথগুলোকে কি এমন বুননবিশিষ্ট বলে মনে হয় না? অবশ্যই। প্রকৃতই ওই সাত জান্নাত (মাল্টিভার্স বা বহুবিশ^) হচ্ছে সমান্তরাল বিশ^, যা একটি আরেকটির সাথে বুনন করা ( শাব্দিক অর্থে)।  আল্লাহ শপথ করে বলছেন যে একদিন আমরা ওই বাড়তি মাত্রিকতায় আমরা পরিভ্রমন করতে পারবো। আল-কোরানের ইনশিক্বাকের ১৬-১৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, আমি শপথকরি সন্ধ্যাকালীন লাল আভার। এবং রাত্রির, এবং তাতে যার সমাবেশ ঘটে, এবং চন্দ্রের যখন তা পূর্ণরূপ লাভ কওে, নিশ্চয়ই তোমরা এক স্তর থেকে আরেক স্তরে আরোহন করতে পারবে। (৮৪: ১৬-১৯) (لتركبن طبقا عن طبق) এখানে তাবাক (طبق ) হচ্ছে বিশেষ্য, যার অর্থ হচ্ছে ‘একটি স্তর’। বিশেষণ তিবাক (طباق) এর অর্থ হচ্ছে একটির উপর আরেকটি স্থাপিত এবং এর দ্বারা সাতটি জান্নাত سبع سموات طباق বর্ণনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। কোরানে বর্ণিত একটির উপর আরেকটি সাজানো বেহেশত হচ্ছে বর্তমান পদার্থবিদ্যায় আলোচিত অতিরিক্ত স্থান সংক্রান্ত মাত্রিকতা।  বর্তমান সময়ে আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি যে আমরা কোন মহাবিশে^ ( ইউনিভার্স) এ বাস করছি না, বরং আমরা একটি মাল্টিভার্স বা বহুবিশ্বে বাস করছি। কোন পদার্থবিদ এখন বিশ্বাস করেনা যে, আমরা এখন আর বাইবেলে বর্ণিত কোন ত্রিমাত্রিক মহাবিশে^ বাস করছি (এমনকি যখন সময়ও কোন মাত্রিকতা নয়!) মুসলমানরা তাই প্রশ্ন করেন, এখন নিরক্ষর ব্যক্তি, যিনি ১৪০০ বছর আগে বাস করতেন, তিনি কীভাবে জানতেন যে আমরা একটি মাল্টিভার্স বা বহুবিশে^ বাস করছি।  আল-কোরানের সুরা গাফিরের ৫৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, মানুষের সৃষ্টি অপেক্ষা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সৃষ্টি বৃহত্তর, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানেনা । (৪০:৫৭)

সূত্র: http://www.speed-light.info/miracles_of_quran/seven_heavens.htm

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই

খতিব তাজুল ইসলাম: বিগত আড়াইশত বছর থেকে চলেআাসা ঐতিহাসকি একটি ধারাকে মুল ধারার সাথে যুক্তকরে ...