১ সেপ্টেম্বর বেফাকের ব্যানারে ঢাকা মহানগরে আহূত মানববন্ধনের সংবাদে বিস্ময় প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষক ফেডারেশন।
কওমী মাদরাসা শিক্ষক ফেডারেশন মনে করে, বেফাক একটি নিরেট শিক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান। এর কর্মসূচি, কর্মপন্থা ও সাংবিধানিক ধারা হল সর্বোতভাবেই শিক্ষাবিষয়ক কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ। সুতরাং বেফাককে কোন ব্যক্তি বিশেষের খেয়াল-খুশি ও গোষ্ঠিগত স্বাথের্ ব্যবহার করে গুটি কয়েক ব্যক্তির ফায়েদা হাসিলের বাহন বানানোর কোন যৌক্তিক কারণ নেই।
দেশব্যাপি ছড়িয়ে থাকা মাদরাসার শিক্ষক, তালিবে ইলম ও অভিভাবক; যাদের কষ্টার্জিত অর্থে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত বেফাককে যত্রতত্র ব্যবহার করা হবে অথচ বেফাকের সেসব আসল হকদারদেরকে অন্ধকারে রেখে তা যেমনিভাবে অনৈতিক, ঠিক তেমনিভাবে বেফাকের সংবিধানেরও পরিপন্থি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইসলাম কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত ও ঘৃণিত বিষয়। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। শিক্ষক ফেডারেশন সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সদাসর্বদা সোচ্চার এবং বারবার এর প্রতিবাদে কথা বলে আসছে। জঙ্গিবাদ দমনে দেশব্যাপী জাতীয়ভাবে গণঐক্য গড়ে তোলার জন্য সরকার, রাজনৈতিক দলসমূহ ও সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনতার প্রতি আহ্বানও জানিয়ে আসছে।
কিন্তু তাই বলে বেফাককে রাজনৈতিক ব্যানারের মতো রাজপথের কর্মসূচি দিয়ে ঘুলিয়ে ফেলা হবে তা কোনো অবস্থাতেই কাম্য হতে পারে না বলে মনে করে শিক্ষক ফেডারেশন। অথচ বেফাকের মৌলিক দায়িত্ব ছিলো ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি-শিক্ষা আইন ও হিন্দুত্ববাদী সিলেবাস বাতিলের জন্য অবস্থান গড়ে তোলা এবং কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি আদায়ের ব্যাপারে যৌক্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তা বাদ দিয়ে এখন বেফাক রাজনৈতিক ব্যানারের মতো রাজপথের প্রদর্শনীতেই ব্যস্ত।
সুতরাং কওমী মাদরাসা ছাত্র ও শিক্ষকমণ্ডলী ১ সেপ্টেম্বর বেফাকের মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা কোনো অবস্থাতেই যৌক্তিক নয়। বিবৃতিতে সাক্ষর করেন—সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, মহাসচিব মুফতি কামরুল ইসলাম ভূইয়া, অর্থসচিব মাওলানা মুমিনুল ইসলাম ও প্রচার বিভাগ প্রধান পীরজাদা সৈয়দ মুহা. আহসান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সৌজন্যে : qaominews.com