নিজস্ব প্রতিবেদক : বেফাকের মানববন্ধন কর্মসূচির বিষয়ে আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেছেন, বেফাক দীর্ঘদিন ধরেই একটি কোটারি গোষ্ঠির হাতে জিম্মি হয়ে আছে ।
বেফাকের পরিচালনায় দেশের বড় আলেম ও রাজধানীর বড় মাদরাসাগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে নেই মর্মে যে কথা উঠেছে এ প্রসঙ্গে আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, তারা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরলমনা ওলামা, তালাবা ও অভিভাবকদের টাকায় পরিচালিত বেফাককে ব্যবহার করছে। নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এ চক্রটি ব্যবসা করে চলেছে। এসব বিষয়ে বেফাকের শূরা ও আমেলার বহু সদস্য আমার কাছে তাদের দুঃখ, ক্ষোভ ও হতাশার কথা প্রায় প্রতিদিনই ব্যক্ত করছেন। শতধা বিচ্ছিন্ন আলেমদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। ইত্তেহাদুল ইলামা নামে তাদের এক প্লাটফর্মে আনা শুরু করেছি। বেফাকসহ সবগুলো বোর্ড এবং স্বতন্ত্র মাদরাসাগুলোকেও ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে। ‘বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ নামে মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী প্রধান সমন্বয়ক হিসাবে ইতোমধ্যে কাজ বহু দূর এগিয়ে নিয়েছেন।
দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম আল্লামা মাহমুদুল হাসান যাত্রাবাড়ী মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড-সমূহের ঐক্যপ্রক্রিয়ার চেয়ারম্যান । তিনি বলেন, ১ সেপ্টেম্বর বেফাকের পক্ষ থেকে যে মানববন্ধনের ডাক দেয়া হয়েছে, তা দেশের কওমী আলেমসমাজ পছন্দ করছেন না। রাজধানীতে বেফাকভুক্ত বহু মাদরাসাই এ কর্মসূচির সঙ্গে একমত নয়। বেফাকের অনেক শীর্ষ নেতা ও দেশবরেণ্য আলেম আমাকে বেফাকের এ কর্মসূচির বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। ঢাকায় আমরা যারা বেফাক বহির্ভূত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করি, এ মানববন্ধনে কোনো অবস্থাতেই ছাত্র পাঠাবো না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের নিজস্ব পদ্ধতির প্রতিবাদ ও কর্মসূচি চালু থাকবে। রাজনৈতিক চরিত্রের আন্দোলনমুখি কোন কর্সূচি দেয়া বেফাক বা অন্যকোন শিক্ষাবোর্ডের জন্য শোভা পায় না। নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানারে সংশ্লিষ্ট আলেমরা এসব করতে পারেন, কিন্তু বেফাককে এসব কর্মসূচিতে ব্যবহার করা মোটেও যৌক্তিক নয়।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে কওমীনিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বেফাকের পরিচালনায় দেশের বড় আলেম ও রাজধানীর বড় মাদরাসাগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে নেই মর্মে যে কথা উঠেছে এ প্রসঙ্গে আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, বেফাক দীর্ঘদিন ধরেই একটি কোটারি গোষ্ঠির হাতে জিম্মি হয়ে আছে। তারা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরলমনা ওলামা, তালাবা ও অভিভাবকদের টাকায় পরিচালিত বেফাককে ব্যবহার করছে। নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এ চক্রটি ব্যবসা করে চলেছে। এসব বিষয়ে বেফাকের শূরা ও আমেলার বহু সদস্য আমার কাছে তাদের দুঃখ, ক্ষোভ ও হতাশার কথা প্রায় প্রতিদিনই ব্যক্ত করছেন। শতধা বিচ্ছিন্ন আলেমদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। ইত্তেহাদুল ইলামা নামে তাদের এক প্লাটফর্মে আনা শুরু করেছি। বেফাকসহ সবগুলো বোর্ড এবং স্বতন্ত্র মাদরাসাগুলোকেও ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে। ‘বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ নামে মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী প্রধান সমন্বয়ক হিসাবে ইতোমধ্যে কাজ বহু দূর এগিয়ে নিয়েছেন।
দেশের অন্যতম শীর্ষ এই আলেম কওমীনিউজকে আরো বলেন, দীনি, ইসলাহী, দাওয়াতী ও তালিমি হালাত উন্নত করা ও ইসলামী শিক্ষার মর্যাদা উচ্চে তুলে ধরার জন্য অচিরেই জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ কনভেনশন ডাকা হবে। সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচি আলেম সমাজ, তালাবা ও মাদরাসার শিক্ষকরা নিজস্ব নিয়মে প্রতিষ্ঠানের ভেতর পালন করবেন। রাজপথে নেমে তারা বিশৃংখলায় যাবেন না। যাত্রাবাড়ীসহ সমমনা মাদরাসাসমূহ বৃহস্পতিবারের মানববন্ধনে অংশ নেবে না।
সূত্র : কওমীনিউজ