শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১২:০১
Home / খোলা জানালা / আল্লামা আহমদ শফির নাম ভাঙ্গিয়ে মিথ্যাচার চলছে

আল্লামা আহমদ শফির নাম ভাঙ্গিয়ে মিথ্যাচার চলছে

Shah_Ahmad_Shafiসৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ চোখে ধুলো দিবেন আর কত কাল? গত দুদিন আগে হাটহাজারীতে হেফাজতের জরুরী বৈঠকের অডিও ও ভিডিও দুদিন ধরে বার বার পর্যবেক্ষন করে দীর্ঘশাস আর বোবা কান্না ছাড় কিছুই আসছেনা। আল্লামা আহমদ শফি হাফিজাল্লাহু তার ব্যক্তিগত ইমেজ আর এখলাস দিয়ে যতোটা উচ্চতায় তুলে দিয়েছিলেন এদেশের আলেম সমাজ কে, শাপলার ঘটনায় কয়েকটি ক্ষমতা লিন্সু খুনের সওদাগর, দালাল, মিরজাফরদের কারনে হেফাজতকে ততোটা নিচে নামিয়ে দিয়েছে।

কেউ আল্লামা আহমদ শফির নাম ভাঙ্গিয়ে তাকে ব্যবহার করুক এটা আমাদের মতো কওমীঙ্গনে সাধারন মানুষদের জন্য বরাবরই কষ্টের কারন। তাঁর ইমেজকে পুঁজি করে কেউ মাঠ ঘুলাটে করুক তা আমরা চাই না। জামাতকে খুশি করতে গিয়ে কওমী লাখ লাখ তরুনদের ভাগ্য নিয়ে কেউ ফের ছিনিমিনি খেলুক এটা আজকের কওমী তরুনরা কোনভাবেই মেনে নিবে না। তা আবার শফি হুজুরের নাম ভাঙ্গিয়ে মিথ্যাচার। পরিবেশ বিনষ্ট করারর গভীর পায়তারা। যা কোনভাবেই মেনা নেয়ার নয়।

আল্লামা আহমদ শফির বার্ধক্যকে পুজি করে তার ইমেজ নিয়ে খেলা করার অধিকার কারো নেই। এমনকি হুজুরের ছেলে আনাস মাদানীরও না। কারন হুজুর এদেশের লাখ লাখ তরুনের রুহানী পিতা। তাঁকে নিয়ে রাজনীতি মানে এদেশের কোটি কোটি দ্বীনদ্বার মানুষের ইমেজ নায়ে খেলা করা। যা শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ এন কাছের মানুষজন করেছিলেন। শাপলায় একবার হুজুরকে নিয়েও হয়েছে। নষ্ট রাজনীতির চক্রান্তে আমাদের কোন শায়েখ যেন আর ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থে নগ্নভাবে ব্যবহার না হন জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে।
অন্তত এখন এইআওয়াজটুকো কে জোড়ালো করা সময়ের দাবী।

যে নেতারা আহমদ শফি হুজুরের নাম ভাঙ্গিয়ে মাঠ গরম করতে চান মূলত কওমী অঙ্গনে তাদের অবস্থান একেবারে তলানীতে। তাদের রাজনৈতিক দলের হালত শূন্যের কোটায়। বামদের চেয়ে আরো খারাপ। কওমী ঘরনায়০১% লোকও তাদের দলে নেই। নাম ও সাইনর্বোড সর্বস্ব দলের নেতারা আবারো সক্রিয় নানান ইস্যুতে। বিশেষ করে কওমী সনদের স্বীকৃতি নিয়ে তারা বিএনপি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মড়িয়া হয়ে উঠেছেন। এই দালাল মীরজাফর চক্রটি কওমী ছাত্র শিক্ষকের উন্নায়নে কখনো সামান্য কোন ভুমিকা পালন করে নি। কেবল ক্ষমতার সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার আর লাশের রাজনীতি করা ছাড়া।

বিএনপি মনে করছে আওয়ামীলীগ কওমী সনদের স্বীকৃতি দিয়ে দিলে তারা কওমীঙ্গনের বিশাল ভোটের রাজনীতিতে আর কখনে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারবে না। অপরদিকে জামাত মনে করছে তাদের সব পথ বন্ধ ,এখন কওমীরা সুযোগ সুবিধা নিয়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করলে তারা আরো সংকীর্ণ হয়ে পড়বে। বিশেষ করে কওমী সনদের সরকারী স্বীকৃতি হলে আলীয়া মাদরাসাতে জামাত শিবিরের প্রডাকশন অনেকটা কমে আসবে। তাই কওমী সনদের স্বীকৃতি টেকাতে বিএনপি -জামাত কৌশলে তাদের পুরানো কওমী বন্ধু, এজেন্ট ও দালালাদের সক্রিয় করে তুলছে। হেফাজতের নানান পদে তাদের বসাতে মড়িয়ে হয়ে উঠছে। তাদেরকে দিয়ে আহমদ শফি হুজুরের নাম ভাঙ্গিয়ে তারা তাদের স্বার্থ হাসিলের গভীর ষড়যন্ত্রে আবারো ৫মের মতো মেতে উঠেছে। গত দুদিন আগে হাটহাজারীতে কওমী সনদের স্বীকৃতি বৈঠক ও পরবর্তিতে শফি হুজুরের নামে মিডিয়াতে প্রেরিত বিবৃতি তাই প্রমান করেছে।

বৈঠকে অধিকাংশ আলেম কওমী সনদের কথা বললেও বিএনপি জামাতের চিহ্নিত বন্ধু ফয়জুল্লাহদের, সেচ্চাচারীতা ও বেয়াদবী ছিল চরম পর্যায়ের। বড়দের ব্যাপারে কিভাবে কথা বলতে হয় আর বড়দের সামনে কিভাবে কথা বলতে হয় তা সেই আদব তাদের জবানের ডিকশনারীতে নেই।

বার বার মাসউদ গং আর মাসউদকে হেইকরমু, সেই করমু এমন বক্তব্য আমাদের অবাক করে দিয়েছে। ওরা বার বার মাসউদ
মাসউদ বললেও আল্লামা আহমদ শফি দাঃবাঃ পুরো বৈঠকে কোন কথা না বলে, বৈঠকের শেষে কেবল বলেছেন, “হয়রত মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ সাহেবের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি ভাল ভাবে জেনে ও পর্যবেক্ষন করে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার” ।

কিন্তু পরদিন পত্রিকায় দেখলাম, আল্লামা আহমদ শফির নামে, এমন বিবৃতি যা হুজুর বলেন নি। এসব কথা ছিল বিএনপি জোট নেতা ও জামাতের অঘোষিত বন্ধু মুফতি ফয়জুল্লাহদের। নিজের চরকায় তেল না দিয়ে অন্যদের নিয়ে ব্যস্থ। হিন্দুত্ববাদী শিক্ষানীতি বাতিলের আগ পর্যন্ত কওমী সনদের স্বীকৃতি নয় বলে, শফি হুজুর হাফিজাল্লাহুর নামে মিথ্যা নিউজ। যে হেফাজত নেতারা মাট ঘুলাটে করতে এমন বক্তব্য দিয়েছেন, তারা বিতর্কিত শিক্ষা নীতি বাতিল করতে জাতিকে কি দিক নির্দেশনা দিয়েছেন?কি আন্দোলন ও জনমত গড়ে তুলেছেন জাতি আজ তা জানতে চায়।

হায়, আর কতকাল চোঁখে ধুলা দেয়া হবে। বাঘের নাম ধরে শেয়ালে পানি খাবে। ৫মে এভাবেই হুজুরের নাম ভাঙ্গিয়ে ঈমানী আন্দোলন বলে পরে সরকার পতনের পায়তারা করে জামাত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে লাখ লাখ নিরিহ মাদরাসার ছাত্র শিক্ষককে শাপলায় আটকিয়ে ক্ষমতার সিড়ি হিসাবে লাশের রাজনীতি করেছিল সেই চক্রটি। এরাই হুজুরকে লালবাগ গৃহবন্দি করে আমাদের শাপলাতে নিয়ে গিয়ে বলেছিল, বঙ্গবভন, গনভবন আর সচীবালয়ের ইট খুলে আনা হবে, সরকার পালানোর পথ পাবে না। এমন উস্কানীমূলক ভাষন দিয়ে পরিস্থিতি নষ্ট করে সন্ধ্যার পর নিরিহ ছাত্রদের পথ ঘাট না চেনা অপরিচিত ঢাকা শহরে বন্দুক আর গ্রেনেডের সামনে ফেলে রেখে নিজেরা পালিয়ে গিয়েছিল নিরাপদে। সেই পুরনো শকুনরা আবারো কওমী তরুনদের নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সাধু সাবধান। কবি হেলাল হাফিজের ভাষায়,
আর কত কাল বুলায়া বালায়া, আমাগো ঠকাবেন/ গ্রামের পোলা আমরাও…..

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

বিকৃত যৌনতায় দিশেহারা জাতি: সমাধান কোন পথে?

শাইখ মিজানুর রাহমান আজহারী: বাংলাদেশে প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ধর্ষণ হচ্ছে। নারীকে বিবস্ত্র করা ...