বুধবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সকাল ৬:৪০
Home / খোলা জানালা / ঘরনী এসো ধরণীকে বদলে দেই…

ঘরনী এসো ধরণীকে বদলে দেই…

461c62f5b9f1.jpg_0_0_970_459.753424658সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ : চট্রগাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টাস করা মেয়টির বিয়ে হয় ঢাকার এক বুয়েট পাশ ইন্জিনিয়ারের সাথে। স্বামী দাওয়াত ও তাবলিগের সাথে জড়িত।একসময় স্ত্রীকে নিয়ে বের হলেন মাস্তুরাত সহ পুরুষ জামাতে।মাত্র তিন দিনে জাদুমন্ত্রের মতো মেয়েটি সম্পূর্ণ বদলে গেল । শুধু কি বদলে যাওয়া শরীয়া পর্দা পালন , সুন্নতে নববীর পরিপূর্ণ অনুসরন আর আমলের জজবার সাথে একজন দাঈ ইলাল্লাহ হয়ে গেল ।

তার বদলে যাওয়ার সাথে সাথে তার প্রভাব আর আখলাক ও দাওয়াতের মেহনতে বদলে যেতে লাগল শুশুর বাড়ী বাবার বাড়ী ভাই বোন সহ চাদ্দিক । তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন ঢাকার একজন নামকরা মহিলা ডাক্তার অধ্যাপিকার । তার সাথে সর্ম্পকের গভীরের ফলে তিনি তাকে দাওয়াত দিলেন । স্বামি সহ ডাক্তার দম্পতি বের হলেন একবার তাদের সাথে তিন দিনের জন্য । ব্যস বদলে গেলেন এই দম্পতিও । তারা কাজ করতে লাগলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছাত্রি আর মেডাকেলের ডাক্তার নার্সদের ভিতর । মেডিকেল থেকে দলে দলে ছেলেরা বের হলো।

এদের প্রচাষ্টায় ই আজ দেশের সবকটি মেডিকেল কলেজে দাওয়াতি কাজের এক চমৎকার পরিবেশ তৈরি হয়েছে । ময়মনশাহী মেডিকেল ডুকলে বিস্মৃত হতে হয় কলেজ না মাদ্রাসা । যেন ছাত্র শিক্ষকের মাঝে সুন্নত পরি পালনে এক প্রতিযোগিতা।

শধু কি তাই ঐ ডাক্তার ম্যাডামের একজন প্রেসেন্ট ছিলেন দেশের একসময়ের খ্যাতিমান চলচিত্র নায়িকা । তিনি তার সামনে ইসলামের মহান সৌন্দর্য আর আখেরাত তুলে ধরে দাওয়াত দিলেন। এক সময় নায়িকা ছেলে সহ তিন দিনের জন্য বের হলেন ।

এরপর ১০ দিন তারপর একবছর পর এবার চিল্লার জন্য বের হয়েছেন কিছুদিন আগে। এসেছিলেন আমার বাসায় । তার মূখে শুনা এই পুরো ঘটনা আমার স্ত্রী বর্ণনা দিলেন । এখন রাত জেগে তেলাওয়াত আর নামাজ এবং চোখ অশ্রু আর দাওয়াত ও তওবাই তার জীবনের কাজ। চলচিত্রের অনেক এসেছেন তার দাওয়াতেও এপথে । ইতিমধ্য স্বামি সহ কাকরাইল মুরুব্বিদের সাথে ইউরোপের কয়েকটি দেশে কাজ করেছেন। প্রতি বছর কাকরাইলে মাস্তুরাতের পয়েন্ট ২মাস সময় দেন।দ্বীন আর দ্বীনের মেহনত ই জীবনের একমাত্র স্বপ্ন।

আলহামদুলিল্লাহ আমি ইতিমধ্যে স্ত্রী ও আম্মাকে নিয়ে বেশ কয়েকবার সময় লাগিয়েছি মাস্তুরাত সহ জামাতে। তাদের ভিতরে অনেক পরিবর্তন। এটা লিখে আর ব্যখা করে কালির ভাষায় বুঝানো মুশকিল। যারা বের হয়েছেন তারাই কেবল বলতে পারবেন।

মাহরাম পুরুষের সাথে আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার জন্য রয়েছে জায়েজ এর বাহিরেও বেশ কিছু তাকওয়ার শর্ত। নিদৃষ্ট ফরম পূরন করে স্হানীয় তাবলীগ মাকার্য থেকে পরীক্ষা নীরিক্ষার পর বের হতে হয় ।

আসুন আমাদের নারীদেরকে কেবল ঘরনী না বানিয়ে ধরনীকে বদলে দিতে জয়িতা বানাই। বের হই তাদের নিয়ে আললাহর রাহ। কবুল কর মেহেরবান মওলা আমাদের কল্যানীদেরকে।

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

বিকৃত যৌনতায় দিশেহারা জাতি: সমাধান কোন পথে?

শাইখ মিজানুর রাহমান আজহারী: বাংলাদেশে প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ধর্ষণ হচ্ছে। নারীকে বিবস্ত্র করা ...