আমাদের আকবির-২৮
প্রাকবচন
তিনি আল্লামা আমিনুদ্দীন শায়খে কাতিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি। একাধারে তিনি ছিলেন খলীফায়ে মাদানী, ইলমেদীন শিক্ষা বিস্তারে জীবন উৎসর্গকারী, হেদায়েত গগনের তারকারাজির মতো দীপ্তিময় নক্ষত্র; বাংলাদেশের সুনাগঞ্জ জেলার কৃতি সন্তান, অত্মপ্রত্যয়ী এক মহান সাধক।
জন্ম
আল্লামা আমিনুদ্দীন শায়খে কাতিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১৯১৮ সালে সুনামগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী কাতিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম শেখ মুহাম্মাদ কনাই মিয়া। তিনি একজন অন্যতম তালুকদার এবং পরহেজগার মুত্তাকী ও গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন। মাতা মোসাম্মৎ ফাতিমা খানম তিনি ছিলেন পর্দানশীল, দীনদার ও গুণবতী মহিলা।
প্রাথমিক শিক্ষা
তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় স্বীয় গ্রামেই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। সেখানে কিছুদিন অধ্যয়ন করার পর পাটলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে পঞ্চম শ্রেণী শেষ করে নবীগঞ্জ থানার দিঘলবাগ গ্রামের নিউ স্কিম মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখানে তিন বছর অধ্যয়ন করেন। অধ্যয়নকালে একবার স্বপ্নে দেখেন, কুতুবে আলম হুসাইন আহমদ মাদানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাকে ‘আলীফ-লাম-মীম’ সবক দিচ্ছেন। সেই স্বপ্ন দেখে তিনি অস্থির হয়ে পড়েন এবং সাইয়েদপুর গ্রামের প্রসিদ্ধ আলিমদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তাদের পরামর্শে গোপালগঞ্জ থানার বাঘা মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখানে দু’বছর অধ্যয়ন করেন।
উচ্চশিক্ষা
এর মাঝে একদিন হযরত মাদানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সিলেট আগমন করলে নিজ স্বপ্ন তার কাছে বর্ণনা করেন এবং মাদানী রহমাতুল্লাহি আলাইহির সঙ্গে গিয়ে ভারতের দেওবন্দ মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখানে মাদানী রহমাতুল্লাহি আলাইহির বিশেষ শিষ্য হয়ে তার সান্নিধ্য লাভ করে সাত বছর লেখাপড়া করেন। দীনি শিক্ষার প্রথম সবক তিনি মাদানী রহমাতুল্লাহি আলাইহির আছে স্বপ্নযোগে নিয়েছেন। আর সর্বশেষ সবকও সরাসরি তার দরস থেকে নিয়েছেন। তার মুর্শিদ মাদানী রহমাতুল্লাহি আলাইহির প্রতি তার এতোটাই ভক্তি আর শ্রদ্ধা ছিল যে, জীবনে কোনোদিন তার নাম উচ্চারণ করতে কেউ শুনেনি। শুধুমাত্র কুতুবে আলম পর্যন্ত উল্লেখ করলেই তার গলা ধরে আসতো, চোখ অশ্রুসজল হয়ে যেতো।
কর্মমুখর জীবন
মাদানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে ইলমে তাসাউফের পূর্ণতা অর্জন করার পর তার নির্দেশে তার বিশিষ্ট খলীফা ড. আলী আছগর নূরী চৌধুরীর সঙ্গে সামাজিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তার একান্ত চেষ্টা ও কষ্টের বিনিময় দেওবন্দ মাদরাসার আদলে তিনি ১৯৫১ সালে আইলতলী ও কাতিয়া গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে প্রতিষ্ঠা করেন ঐতিহ্যবাহী ইসলামী বিদ্যাপীঠ ‘জামিআ ইসলামিয়া দারুল উলূম আইলতলী ও কাতিয়া মাদরাসা’। উক্ত প্রতিষ্ঠানের সূচনালগ্ন থেকে তিনি প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম ছিলেন। তিনি এর ব্যায়ভার সংকুলানের লক্ষ্যে বছরের ১২ টি মাসই বিভিন্ন স্থানে যেতেন। অনেক সময় দীনের দাওয়াত ও প্রতিষ্ঠানের জন্য দেশের সীমানা ছাড়িয়ে তিনি ইউরোপ আমেরিকা, কানাডাসহ মধ্যপ্রাচ্যের সবকটি দেশেই সফর করেছেন। তিনি প্রায় ৫০টি দেশ সফর করেছেন। মহান আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্যের আশায় তিনি অর্ধশতাধিক বার হজ্জব্রত পালন করেছেন। তিনি জীবনে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলাসমূহের প্রায় অর্ধশতাধিক মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন।
আল্লামা শায়খে কাতিয়া ছিলেন অকুতোভয় মর্দে মুজাহিদ, যে কোন বাতিলের বিরুদ্ধে সিংহ শার্দুলের ন্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তেন। স্বয়ং কুতুবে আলম সাইয়েদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার বীর সাহসিকতা দেখে বলেছেন ‘আমিনুদ্দীন মেরে সিপাহসালার হায়।’ তার বীরত্ব ও সৎ সাহসিকতায় অনেকেই হতভম্ব হয়ে যেতো।
কুতুবে আলম সাইয়েদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রতিষ্ঠিত সিলেটের প্রথম দারুল হাদীস মাদরাসা নয়াসড়কস্থ খেলাফত বিল্ডিং দীর্ঘ দিন যাবত বেদখল ছিল। তার আপ্রাণ চেষ্টায় তা পুনরুদ্ধার হয়। যথারীতি আজ সেখানে হাদীসের দারস চলছে। জীবনের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সুচারুরূপে তিনি তা পরিচালনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, আযাদ দীনি এদারায়ে তালিম বাংলাদেশ ও সুনামগঞ্জ এদারার অন্যতম উপদেষ্ঠা পদে আসীন ছিলেন। বৃহত্তর সিলেটের অধিকাংশ মাদরাসা অথবা উপরোক্ত শিক্ষা বোর্ডগুলো কোনো সমস্যা বা সংকটে নিপতিত হলে নিরুপায় হয়ে তার শরণাপন্ন হলে তিনি প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাধান দিতে কুণ্ঠাবোধ করতেন না।
সত্যের পথে অকুতোভয়
অনুরূপ ১৯৭৭/৭৮ সালের কথা। সে সময় ভোর বেলায় একদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মহোদয়কে সঙ্গে নিয়ে সিলেট আসেন গ্যাসক্ষেত্র উদ্বোধন করতে। তাই বন্দর থেকে শুরু করে পুরো দরগাহ এলাকা আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী দ্বারা আচ্ছাদিত রাখা হয়। সংগত কারণে স্বল্প ও সীমিত পরিসরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মর্দে মুজাহিদ শায়খে কাতিয়া মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে চাইলে, নিরাপত্তা বাহিনী বাধা দেয়, তিনি ক্রুদ্ধকণ্ঠে বললেন, ‘আপনারা কি মুসলমান? কোনো মুসলমান কী মুসলমানকে মসজিদে যেতে বাধা দিতে পারে? আমি নামায পড়বোই আমাকে বাধা দেবার কোনো অধিকার আপনাদের নেই।’ এই বলে বীরদর্পে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠেন এবং নামায আদায় করেন। এদিকে চলছে প্রেসিডেন্ট সাহেবের ভাষণ। ভাষণের শেষদিকে হযরত নিচে নেমে আসেন এবং মঞ্চের দিকে অগ্রসর হন। প্রেসিডেন্টের ভাষণ শেষ হতেই তিনি দ্রুত মঞ্চে আরোহন করে একজিবিশনের বিরুদ্ধে এক জ্বালাময়ী বক্তৃতা শুরু করেন। এতে সকলেই হতভম্ব হয়ে পড়েন। সীমাহীন ধর্মীয় চেতনাই তাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
সুনামগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে কোনো সামাজিক সংকট বা সমস্যা সমাধানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন। আল্লাহ নাফরমানী যাতে স্পর্শ করতে না পারে। এজন্য যেভাবে নিজে সচেতন ছিলেন। সমাজকেও সেভাবে সাজাতে আজীবন সচেষ্ট ছিলেন। এতে তিনি কারো রক্তচক্ষুকে কখনো তোয়াক্কা করেননি। প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের লোকের কাছেও নিয়মতান্ত্রিকভাবে হকের আওয়াজ তুলেছেন নির্ভীককন্ঠে। দেশেও যেখানেই অসামাজিক ও অনৈসলামিক কাজ দেখেছেন সেখানেই রুখে দাঁড়িয়েছেন। দিরাই শাল্লা থানার এমপি সুরঞ্জিত সেনের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পীদের আমন্ত্রন জানানো হয়। শায়খে কাতিয়া এমপির সে অনুষ্ঠানকে উড়িয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেন। প্রশাসন বাধা দিতে এলে তাদের বলেন, ‘তোমরা হলে সরকারের গোলাম আর আমরা হলাম আল্লাহর গোলাম। বলো কার ক্ষমতা বেশি? সরকারের না আল্লাহর?’ অতঃপর প্রশাসনের লোক সেখান থেকে চলে আসে। একমাত্র তার কারণে বন্ধ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সুনামগঞ্জের মাটিতে আজো গড়ে উঠতে পারেনি কোনো সিনেমা হল।
জগন্নাথপুর রানীগঞ্জ বাজারে ফজল শাহ নামক এক বাউলের বিদেশী বেহালা ভেঙ্গে চুরমার করে কুশিয়ারা নদীতে নিক্ষেপ করেন। এতে গায়ক ও তার ভক্ত মুরিদানরা তাকে ঘিরে ফেলে এবং হুমকি-ধামকি প্রদান করে। তিনি সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে বসে বসে কুরআন শরীফ পড়া শুরু করে দেন। এরই মধ্যে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আগমন ঘটে। তারা গায়ক ও তার ভক্তদের ইচ্ছেমতো শাসিয়ে বিদায় করে দেয় এবং সকলে এসে হুজুরের কছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
১৯৯৭ সালে রমজান মাসে প্রধানমন্ত্রী বিদেশে সফররত থাকায় দেশের সকল কার্যক্রম পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপর ন্যস্ত হয়। একদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ নয়াসড়ক মসজিদে আসেন। রাতে তারাবী নামায শেষে তিনি এবং শায়খে কাতিয়া মুসল্লিদের উদ্দ্যেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। অতঃপর হযরতের এতেকাফের বিছানায় মন্ত্রী সাহেবকে নিয়ে আসা হয় এবং তাদের সম্মুখে পরিবেশন করা হয় বিভিন্ন ফলমূলের প্লেট। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ছোট ছোট দাড়ি দেখে শায়খে কাতিয়া কাউকে পরোয়া না করে তার দাড়িতে হাত দিয়ে বলেন, ‘এগুলো কি লম্বা করা যায় না? অন্তত এক মুষ্টি রাখতে হবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী খানিকটা বিব্রত বোধ করলেন। অতঃপর স্বভাবসুলভ হাসিমুখ নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়কে ফল তুলে দেন।
রাজনীতিতে তিনি
পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ূব খানের ‘মুসলিম পারিবারিক আইন’ পাশের বিরুদ্ধে তিনি সংগ্রাম করেছেন। সিলেটের সর্বস্তরে আলিম উলামা রেজিস্টারি মাঠে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক সে সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং মাঠের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে দেয়। সমাবেশে যোগ দিতে আসা লোকে সারা শহর ছিল লোকারণ্য কিন্তু রেজিস্টারি মাঠে প্রবেশের কারো সাহস ছিল না। শায়খে কাতিয়া তখন বীরদর্পে রানাপিং মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা রিয়াছত আলী শায়খে ছখরিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে যথাস্থানে সমাবেশ করেন। সভা শেষে জিন্দাবাজারস্থ হোটেল রমনার অর্ভ্যথনা কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে টাঙ্গিয়ে রাখা আইয়ূব খানের বাঁধানো ছবি সাহসিকতার সঙ্গে নিজ হাতে ভেঙ্গে জ্বালিয়ে দেন।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি পাকিস্তান সময়ে ছয় থানা নিয়ে গঠিত জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে কাউন্সিল প্রার্থী ছিলেন এবং দু’বার জমিয়তে উলামার টিকেট প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে তিনি বিজয়ীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।
ক্ষণজন্মা এ মর্দে মুজাহিদ ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় পালন করেছেন স্বতস্ত্র ভূমিকা। ৯ নং পাইপগাঁও ইউনিয়নকে তিনি পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আক্রমণ থেকে মুক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এমনকি পার্শ্ববর্তী হিন্দু বসতিপূর্ণ গ্রামগুলোকেও হানাদার বাহিনীর নির্যাতন ও বর্বরতা থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি পাকিস্তানী বাহিনী সম্পর্কে মন্তব্য করে বলতেনÑ এদের অন্যায়-অবিচার লুন্ঠন ইত্যাদি প্রমাণ করে তারা এদেশের মাটিতে বেশি দিন থাকতে পারবে না।
শায়খে কাতিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি সর্বস্তরের মানুষের খুঁটিনাটি বিষয়ে খবর রাখতেন। আত্মীয়তা রক্ষা করতেন । কারো অসুস্থতার কথা শুনলে অসুস্থকে দেখতে যেতেন। কেউ মারা গেলে বিনা সংবাদেই জানাযার নামাযে শরীক হতেন। হিংসা অহংকারের লেশ মাত্রও তার কাছে ছিল না। সকল স্তরের মানুষকে এক সঙ্গে এক থালায় নিয়ে খাবার খেতেন। নিজের বাড়িতে হলেও এরূপ করতেন। অন্যের বাড়ি হলেও তিনি তা পরিত্যাগ করতেন না। তার দস্তরখানা থেকে ড্রাইভার, কর্মচারী, খাদেম, এমনকি পথচারী পর্যন্ত কেউই বাদ পড়তো না।
অনিঃশেষ পথের যাত্রী
জীবনের শেষদিকে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হন। বেশ কিছুদিন তিনি অসুখে ভোগেন। অসুখের কারণে লঘণন চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখান থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেন এবং সিলেট ভার্থখোলা মাদরাসার খতমে বুখারী মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন। এর কিছুদিন পর আবার তিনি অসুস্থ হন। ২০ আগস্ট ২০১০ ঈসায়ী শুক্রবার তাকে সিলেট সুবিদবাজারস্থ মডার্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে দীর্ঘ ২১ দিন থাকার পর ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০, ৩০ রমজান শুক্রবার দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটে ৫ পুত্র ৪ কন্যা সহ অসংখ্য ভক্ত-মুরীদান ও গুণগ্রাহীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
তার জানাযা স্থান ঈদগার চারপাশ হয়ে উঠে লোকে লোকারণ্য। এতোদূর পর্যন্ত মানুষ হয়েছিল যে, মাইকের আওয়াজ অনেকেই শুনতে পায়নি। জানাযা শেষে হযরতের লাশ তার নিজ গ্রাম কাতিয়ায় আনা হয় এবং তার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান জামিআ ইসলামিয়া কাতিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গনে তাকে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হয়।
সূত্র :
কুতবে বাঙ্গাল আল্লামা আমিনুদ্দীন শায়খে কাতিয়া রহ. স্মারক
মাওলানা শাহ আশরাফ আলী মিয়াজানী সম্পাদিত
প্রকাশনায় : সৈয়দ মুহাম্মদ কাওছার আলী, আল রুবেল ক্যাপ প্রোডাক্টস ও পাঞ্জাবী হাউস
প্রকাশকাল : সেপ্টেম্বর ২০১০