কমাশিসার সেমিনারে সেদিন যা বলতে চেয়েছিলাম
আলী হাসান তৈয়ব : আমার ক্ষুদ্র চিন্তা হলো, কওমি মাদরাসার অন্য সমস্যাগুলোর চেয়ে বড় সমস্যা নিজেদের মেলে ধরতে পারার অসামর্থ্য। এর সন্তানরা যা শেখেন এবং তাদের যা যোগ্যতা তৈরি হয়, এর দুই থেকে তিন তৃতীয়াংশই অনাবিষ্কৃত ও অব্যবহৃত থেকে যায়। পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, হিমালয়প্রমাণ সম্ভাবনা ও সামর্থ্য নিয়ে কবরে চলে যাচ্ছেন অসংখ্য প্রতিভা। রাষ্ট্র ও সমাজ যেমন এদের মূল্য বুঝতে পারছে না। করছে না যথাযথ মূল্যায়ন। তেমনি এরা নিজেরা অধিকাংশই আবিষ্কার করতে পারেন না কী বিশাল সম্ভাবনা তার ভেতর। কী বিপুল শক্তির অধিকারী তিনি। তিন-চারটি ভাষা যাদের কাছে তারা একটি ভাষাতেও নিজের যোগ্য অবস্থান তৈরি করতে পারেন না নিজেকে আবিষ্কার করতে পারায়। তাই প্রিয় কওমির জন্য বেশি কিছু নয়, আশু দরকার কেবল প্রতিযোগিতার মহাসড়কে প্রবেশের রুটপার্মিট। দরকার সরকারি সনদ ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। প্রয়োজন বিষয়-বিশেষজ্ঞ হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ।