লাবীব আব্দুল্লাহ : দেশে হাজার হাজার মাদরাসা৷ জনগনের সাহায্যে পরিচালিত এই কথাই বলা হয়৷ কিছু ক্যাডেট মাদরাসা নামধারী তারাও কেউ কেউ জনগনের কাছে চাঁদা করে৷
যাকাত, ফেতরা, চামড়ার টাকায় পরিচালিত ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা শিক্ষা৷ অতীত বলে মাদরাসা এক সময় মুসলিম জাহানের সরকারী কোষাগার থেকে পরিচালিত হতো৷
তালেবে ইলমদের সম্মানের সাথে ভাতা দেওয়া হতো৷ শিক্ষকদের চাঁদা করতে হতো না৷ তাঁরা ছিলেন সবচে সম্মানী ও সম্মানীপ্রাপ্ত৷ বৃটিশ যুগ থেকে পাল্টে গিয়েছে সব চিত্র৷ ওয়াকফ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত৷ পথের ভিখারী বানিয়েছে সেই ইলমের নক্ষত্রগুলোকে৷ মানুষ মনে করে মাদরাসা মানে যাকাত ফিতরা, চামডার এবং লিলল্লাহ বোর্ডিং!
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে যাকাত খেতেন না৷ তাঁর পরিবারও যাকাত খেতেন না৷ একান্ত প্রয়োজন ছাড়া সাবাহায়ে কেরাম যাকাত খেতন না৷ তাঁরা যাকাত দিতেন৷ চার ইমামের জীবন তো যাকাত প্রদানের কথা বলে৷ যাকাত গ্রহণের কথা বলে না৷
সেই নবুয়তি ইলমের ধারক বাহক কেন সেপথের পথেক হতে সচেষ্ট হবেন না?
আমি আশা করি কিছু মাদরাসা এমন হবে সেগুলোতে পুরো নিষেধ থাকবে যাকাত খাওয়া৷ যাকাতের টাকায় নানা কিছু করা৷ যাকাত নিলেও এলাকার গরীবের মাঝে বন্টন করবে তালেবে ইলমদের মাঝে নয়৷ আমি আশা করি ধনীর দুলালরা কমপক্ষে মহিলা মাদরাসার ছাত্রীদের মতো টাকা খরচ করবে বোর্ডি এ৷ লিল্লাহ বোর্ডি এ খাবার দিলেও তারা তা খাবে না৷
যারা হকদার তারাই শুধু খাবে৷
আমি আশা করি পূর্ণ তাওয়াক্কুল করে কিছু তালেবে ইলম কষ্ট করে হলেও নিজ টাকায় ইলম হাসিল করবে৷ সমাজ থেকে কিছু নেবে না৷ দেবে শুধু৷ দেবে ইলম৷ দেবে যাকাত৷ মালের যাকাত ও ইলমের যাকাত৷
আমার আল্লাহর খাজানা অশেষ৷ তিনি আমাদের সচ্ছ মন ও সচ্ছল মন দেবেন এই দোয়া৷
তাজরেবায় দেখা যাচ্ছে জনগনের সাহায্যে চাঁদা নির্ভর মাদরাসাগুলো চাঁদাবাজ কমিটি নিয়ন্ত্রণ করছে হুজুররা পুতুল শুধু এবং কালেকশনের গিনিপিগ৷ মাতাব্বার সব সেই চাঁদাবাজরা৷ নিয়ন্ত্রক৷ সেই দলীয় লোকগুলো অর্থের কোনো উৎসের তাহকীক করেন না হালাল না হারাম? অথচ ইলমের জন্য হালাল খেতে হয়৷