আফগানিস্তানে দীর্ঘযুদ্ধ সংঘাতের মধ্যেও মানুষের জীবন থেমে নেই। এমন কোনো পরিবার নেই কোনো না কোনো পক্ষের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে জীবন দিতে হয়নি। কিন্তু তারপরও আফগানরা হাসিমুখে থাকেন। আফগানদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আতমর্যাদা নিয়ে স্বাধীনভাবে বেচে থাকার চেষ্টা করা। এ কারনে দেশটি কখনো বিদেশিরা পদানত করতে পারেনি।
ব্রিটিশরা যখন সারা দুনিয়া করায়ত্ত করার চেষ্টা করেছে তখন আফগানিস্তানে এসে পরাজিত হয়েছে। রুশরা সমাজতন্ত্র কায়েমের নামে ১৯৭৯ সালে জবর দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। মুজাহিদদের দীর্ঘযুদ্ধে পরাজিত হয়েছে রুশরা।
২০০১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ সৈন্য পাঠিয়েছিলেন আফগানিস্তানে। ১৩ বছরের যুদ্ধের পর সৈন্য প্রত্যাহার করতে হয়েছে। বলা হয় আফগানিস্তান হচ্ছে ওবামার ভিয়েতনাম। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আফগানিস্তানে মারা গেছে ২২০৬জন আমেরিকান সৈন্য। এরমধ্যে উর্ধ্বতন পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাও রয়েছে। সৈন্যসহ আমেরিকার পক্ষে আহত হয়েছে ১৯হাজার ৯৮৪জন।
ইতোমধ্যে বৃটেনসহ আরো কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সৈন্য আফগানিস্তান থেকে চলে গেছে। রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্যে আফগানিস্তানে জন্ম হচ্ছে নতুন প্রজন্মের। এরমধ্যে চলছে লেখাপড়া আর খেলাধুলা।
সৌজন্যে : অন্যদিগন্ত