কমাশিসা শিক্ষা ডেস্ক: না, যে উঠানে জাতীয় সংগীত বাজেনা, যেখানের সদর দরজা দিয়ে স্বাধীনতা দিবস বিজয় দিবস প্রবেশ নিষিদ্ধ।পত পত করে উড়েনা লাল সবুজের স্বাধীন একটি পতাকা। যেখানের পাঠ হয়না ৫২এর ভাষা শহীদদের স্মরনে কোন কবিতা। এখানে কোন দেশের নাগরিক তারা তাও তাদের বলে দেয়া হয়না। কয়েক লক্ষ বিহারি এখনো ঢাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের কেউ নিতে চায়না। তাহলে কিসের আশা আর কিসের নিশায় এই শিক্ষালয় গুলো?
স্বাধীনতার ৪৫ বসন্ত গত হয়ে গেলো। দেশের মেইন ধারায় অংশগ্রহন করা যাবে কিনা তা নিয়ে চলছে বাক বিতন্ডা। এই প্রজন্ম গুলোর কর্মক্ষেত্র তাহলে কোথায়? ওরা ইসলামের দায়ী হবে মুবাল্লীগ হবে প্রচারক হবে ওয়াজ নসিহত করবে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকবে কোন সে জনপদে গিয়ে? একজন মানুষ পথহারা হলে কোন কথা ছিলোনা। বোর্ড বানিয়ে দলবদ্ধভাবে জাতীয় পরিচয়ে চলছে অন্ধ আতুর খোড়া হওয়ার সংগ্রাম।
সিলেটের আজাদ দ্বীনী এদ্বারা। কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড। এই বোর্ডের ৯৫% ভাগ মাদরাসা চলে বিলেত আমেরিকা কানাডা ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানদের অর্থায়নে। দানে দানে আলিশান বালাখানা। বাহারি বিল্ডিং। কি গড়ে উঠেছে? গতবছর পর্যন্ত তাদের উর্দু ছিলো পাঠদান ও ব্যবহারিক ভাষা। আমাদের লেখালেখিতে কিছু পরিবর্তন এসেছে। জৈন্তা জকিগঞ্জ নবীগঞ্জ হবীগঞ্জই হলো ভুগোলের ইতিহাস। বিজ্ঞান অংক সমাজ পাঠ শিখার মতো ইতিহাস বলতে কিছুই নাই। কঁচি কাঁচাদের দিয়েই শুরু হয় উর্দু চর্চা। একটা শিশুকে উর্দু আরবি ইংরেজি তারপর বাংলা এই চারটি ভাষার চিপায় ফেলে নিঃশেষ করা হচ্ছে কেন?। উনারা দেশ বিদেশ কেন ঘুরেন? শুধু চাঁদা আর অর্থায়ন। লেখাপড়া সিলেবাস উন্নয়ন যোগপযোগী শিক্ষা করিকুলামের কথাবলা আলোচনা করা হারামের পর্যায়ে। নিজেদের সন্তানাদির ভবিষ্যৎ’র কথা তাদের খুব মাথায় রেখে লন্ডনি দামান্দ কন্যার জন্য পকেটে পকেটে থাকে সন্তান সন্ততির রাঙা ছবি।কেন? যে গরিবের সন্তানরা লেখাপড়া করছে তাদের উন্নত লেখাপড়া করার কোন অধিকার নেই? তাদের কেন দেশের রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহন করতে দেয়া হচ্ছেনা? কেন তাদের জাতীয় শিক্ষার অধীনে পরীক্ষা দিতে মানা। আগে তো মারপিঠ বহিষ্কার ছিলো এখন তলে তলে কর যাও কাউকে কিছু বলনা। এইসব লুকোচুরি খেলার অর্থটা কি? মসনদ মাকাম প্রথা লোভ আমিত্ব কিবির রিয়া হিংসা অলসতা জ্ঞানের দৈন্যতা ফিরকাওয়ারি মানসিকতা। এসবের জবাব কি দিবেন বলুন? আকাবির আসলাফের কথা বলে আপনারা জাতিকে ধোকায় রেখেছিলেন এতোদিন। আকাবির আসলাফ কি বলেছেন করতে উপদেশ দিয়েছেন তা এতোদিন লুকানো ছিলো। শোনেও না শোনার ভান করেছেন। এখন কমাশিসা বাজারে সকল ঢোল পিটিয়ে দিচ্ছে। দিবে দিতেই থাকবে। আমাদের মদনী থানভী নদভী শফী উসমানী কাসেমী মক্কী শাহ ওলী উল্লাহ গাজ্জালী নোমান বিন সাবিত সহ তারা কি করতে বলেছেন আর আমরা কি করছি তার হিসাব কষার সময় এখন উপস্থিত। কেউ তার বাপের টাকায় মন যা করলে আমাদের মাথা ব্যথা নেই। উম্মাহর অর্থ নিয়ে উম্মহার প্রজন্মদের গোমরাহ করা হবে অন্ধ করে রাস্তায় ছেড়ে দেয়া হবে। তাদেরকে অন্যের অনুকম্পা ও করুনার পাত্র বানিয়ে ময়দানে ছেড়ে দেয়া হবে তা কি করে মানা যায়। তাই বলছিলাম যে বাংলাদেশের ভিতর বসবাস করেই একখন্ড পরাজিত বাংলাদেশের অবস্থান যেন আমাদের সামনে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
আল্লাহকে ভয় করুন। সংস্কার স্বীকৃতি ও স্বকীয়তার জন্য জেগে উঠুন। প্রজন্মকে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করুন।
পরিশেষে কওমির উজ্জল তারকা মেধাবী মানস উদীয়মান আলেমে দ্বীন শাইখ লাবীব আব্দুল্লাহ সাহেবের পোস্ট টি ্আপনাদের সামনে হাজির করাহলো।
কওমীর একক জাতীয় শিক্ষা বোর্ড
এবং ফলাফল বাংলায়
কওমী মাদরাসা৷
কওম মানে জাতী৷ কওমী জাতীয়৷ জাতীয় মাদরাসা৷ জাতি হিসেবে বাঙ্গালী বা বাংলাদেশী যাই হোক আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা৷ রাষ্ট্রভাষা বাংলা৷ জাতীয় মাদরাসার শিক্ষার মাধ্যম বাংলা হবে এটা যৌক্তিক৷ কুরআন হাদীসের ভাষা আরবী৷ আরবে মুসলিম উম্মাহর ভাষা৷ মুসলিম উম্মাহর মায়ের ভাষা৷ মাতৃভাষার মতো৷ যদিও অবহেলিত নানা কারনে৷ এই হিসেবে মাদরাসার উচ্চ শিক্ষা হতে পারে আরবী মাধ্যমে৷ ইংরেজি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ভাষা৷ দাওয়ার প্রয়োজনে তাও আমার প্রয়োজন৷ মাদরাসার ভাষা তাহলে আরবী বাংলা ও ইংলিশ হতে পারে৷ উর্দু ফার্সীর জন্য পৃথক বিভাগ থাকতে পারে৷ কিন্তু তা শিক্ষার মাধ্যম হতে পারে না৷ অতীতে ছিলো অতীতের প্রয়োজনে৷ বর্তমান যুগে যৌক্তিকভাবেই উর্দু মাধ্যম হতে পারে না এ দেশের মাদরাসায়৷ বাংলাদেশের মাদরাসায় উর্দুতে কাজ চলবে কোন যুক্তিতে? কওমী মাদরাসার দুই ডজন বোর্ডের অধিকাংশের ফলাফল প্রকাশ হয় উর্দু ভাষায়! আরবীতে হতে পারে যেহেতু ধর্মীয় শিক্ষা৷ বাংলা হতে পারে আমাদের জাতির ভাষা৷ কিন্তু কোন যুক্তিতে কওমী মাদরাসা বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল উর্দু পরিভাষায় হবে? উর্দু ইলমী ভাষা বলা হবে৷ উর্দু আকাবিরদের ভাষা লা হবে৷ স্বীকার করেও বলা যায় আরবী হলো ইলমী ভাষা মূলত৷ আকাবিরের প্রধান শাহ ওয়ালীউল্লাহ রহ হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা আরবীতে লিখেছেন৷ ভারতীয় উপমহাদেশ ছাড়া আরব আকাবিরের ভাষা আরবী৷
প্রস্তাবনা:
কওমী মাদরাসার শিক্ষার মাধ্যম হোক বাংলা -আরবী৷ আরবী- বাংলা৷
এবং ব্যাক্তিকেন্দ্রিক বা মাদরাসাকেন্দ্রিক সকল বোর্ড বিলুপ্ত করে শিক্ষা বোর্ড হোক জাতীয়৷ জীতায় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ৷ বিভাগীয় শাখা থাকতে পারে৷ এবং সকল বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল আরবীতে এবং বাংলায় হোক উর্দুতে নয়৷
একুশ শতক এবং বিশ্বায়নের চাহিদা মাথায় রেখে কওমী মাদরাসায় ইংরেজি শিক্ষাকে দাওয়াহর নিয়তে বাধ্যতামূলক বিষয় করা হোক৷