রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১:২৫
Home / আমল / “নামাজ কিভাবে পড়বো”

“নামাজ কিভাবে পড়বো”

Namajএই দশদিনে যে-সব নামাজ পড়া হবে, সেগুলো পরিপাটি করে পড়বো। প্রতিটি রোকন ধীরে সুস্থে আদায় করে পড়বো। অর্থাৎ, রুকু-সেজদা ধীরস্থিরভাবে থেমে থেমে আদায় করবো। ‘খুশু-খুজুর’ সহিত পড়ার চেষ্টা করবো। শান্ত হয়ে পড়বো। আপন প্রতিপালকের সামনে এইভাবে নামাজ পড়ার অুনশীলন করবো।

হজরত ইসমাইল শহিদ রহ.একবার তার শায়খ সাইয়েদ আহমদ শহিদ রহ.-এর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। শায়খ জিজ্ঞেস করলেন— ভাই কী চাও? তিনি বলেন— হজরত, আমাকে সাহাবিদের মতো কোনো নামাজ পড়িয়ে দেন।

শায়খ শুনে চুপ হয়ে রইলেন। রাত হলো। তাহাজ্জুদের সময় আমি উঠে পড়লাম। শায়খ আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন— উঠে পড়েছো?

বললাম— হ্যাঁ, উঠে পড়লাম। শায়খ বললেন— যাও, আল্লাহর জন্যে অজু করে এসো।

এই কয়েকটি শব্দে জানা নেই কী দীপ্তি ভরে ছিলো। ‘আল্লাহর জন্যে অজু করে এসো’ শুনতেই আমার হৃদয়ে আল্লাহর ভয় ও বড়ত্বের বিস্ময়কর এক তরঙ্গ বয়ে গেলো। আমি যেইমাত্র অজু করা শুরু করলাম, আমার মনে হচ্ছিলো যে, আল্লাহ আমাকে লক্ষ করছেন আর আমি তার সামনেই অজু করছি।

আমি অজু করে এলাম। শায়খ জিজ্ঞেস করলেন— অজু করেছো? বললাম— হ্যাঁ, করে নিয়েছি। বললেন— আল্লাহর জন্যে দুই রাকাত নামাজ পড়ো এবার।

দুই রাকাত নামাজ পড়বো। যখন আমি শুনলাম— আল্লাহর জন্যে পড়ো। আমি তখন দুইরাকাতের জন্যে নিয়ত বাঁধলাম বটে। সঙ্গে সঙ্গে আমার ওপর কান্না এসে ভেঙে পড়লো। আমি তো দুই রাকাত পড়বো মাত্র, কিন্তু হঠাৎ আমার মনে হলো আমি তো সঠিকভাবে পড়ি নি। তাই আবার দুইরাকাত পড়লাম। তারপর আবার দুই রাকাত। এভাবে রাতভর আমি একশ’ নফল পড়লাম। কিন্তু আমার ‘একটি’ দুইরাকাতেও তৃপ্তি হয় নি। এরপর শায়খ বললেন— সাহাবায়ে কেরাম এমন করেই নামাজ পড়তেন। নিজেদের পক্ষে যতদূর সম্ভব দৃঢ়ভাবে আদায় করতেন, তারপর বলতেন—

ما عبدناك حق عبادتك وما عرفناك حق معرفتك

আমরা যেভাবে উচিত সেভাবে তোমার ইবাদত করতে পারি নি। সেভাবে তোমাকে চিনতে পারি নি, যেভাবে চেনা উচিত।

এই ছিলো সাহাবায়ে কেরামের নামাজ। আমরাও ধীরে সুস্থে প্রতিটি রোকন আদায় করে নামাজ পড়বো।

সূত্র : আমল সে জিন্দেগি বনতি হ্যায়, পৃষ্ঠা ২৮

লেখক : জুলফিকার আহমাদ নকশবন্দি

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

তারাবীহ’র নামায ২০ রাকাত (১ম পর্ব)

মুফতী মাসুম বিন্নুরী:: (প্রথম পর্ব) ‘তারাবীহ’ শব্দটি আরবী শব্দ। এটা تَرْوِيْحَةٌ (তারবীহাতুন) এর বহুবচন। এর ...