দু:খিত, মাত্র একজন। ওয়ান পিস। একজন আহমদ শফির জন্য শত বৎসর অপেক্ষা করতে হয় মিল্লাতকে। এবং বিস্ময়কর ব্যাপার, এই একজনের দ্বারাই একটি বিপ্লবের গল্প তৈরি হয়েছে।
সেই গল্প এমনই যে, দিনের পর দিন সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায়, মিডিয়ার মদদে শাহবাগ কেন্দ্রিক যে শক্তিটাকে ফুলানো হয়েছিল তা মাত্র একজনের ডাকেই ফুটো বেলুনের মত চুপসে গিয়েছিল। এবং কে না জানে গণজাগরণ মঞ্চ এখন শাহবাগের যাদুঘরেই সবচেয়ে বেশী মানানসই।
যদি দেশের সবকটি জেলায়, সবকটি থানায় একজন করে আল্লামা আহমদ শফি তৈরি করা যেত তাহলে কি ঘটত ভাবা যায়?
শত শত, হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ আহমদ শফি এবং তার উত্থিত তর্জনী! ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকতার ভুত ঘাড় থেকে নামতে সময় লাগত ক’ঘন্টা?
সাইন্স ফিকশন মুভি গুলোয় ক্লোনিং করার কিছু দৃশ্য থাকে। একটি রোবটের হাজার হাজার ক্লোন রোবট। ইদানিং বিভিন্ন প্রাণীরও ক্লোন করা হচ্ছে। কিন্তু এসব ক্লোন এ শুধু বাহ্যিক অবয়ব কিংবা শারীরিক গঠন ঠিক থাকে। মগজ বা জ্ঞান সেভাবে হয়না।
মাদ্রাসাগুলোকে আমরা সেই ক্লোন তৈরির জন্য ব্যাবহার করতে পারি। এখান থেকে তৈরি হবে হাজার হাজার আহমদ শফি, হাজার হাজার শায়খুল হাদিস, মুফতি আমীনী, জামানার ইমাম বুখারী কিংবা ইমাম আবু হানিফা। (আল্লাহ তাদের দরজা বুলন্দ করে দিন)।
এটা সম্ভব যদি সেই প্ল্যান সামনে রেখে কাজ করা হয়। দশটা বছরের জন্য রাজনীতিতে ছাত্রদের ব্যাবহার থাকুক না বন্ধ। মাদ্রাসায় দলীয় রাজনীতি আপাতত অফ করে রাজনীতির প্রশিক্ষণ চালু করা হলে খুব কি ক্ষতি হবে মাননীয় ইসলামী রাজনীতিবিদদের?
লোক তৈরি ছাড়া, আবারও বলছি কোয়ালিটি সম্পন্ন জনশক্তি ছাড়া কোন কাজই সাকসেস হতে পারেনা। বিশ্বের নেতৃত্ব যারা দিচ্ছে তারা মুলত কোয়ালিটি সম্পন্ন এমপ্লয়মেন্ট তৈরি করতে পেরেছে সর্বক্ষেত্রে।
একটু দুরবর্তী সময়ের দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করে এই কাজটা করা কি সম্ভব?
খুব কঠিন নয়। আমাদের প্রতিষ্ঠান আছে, নড়বড়ে হলেও অবকাঠামো আছে। দরকার দুরদর্শী চিন্তার, প্ল্যানিংয়ের এবং শুরু করার।
মনে আছে তো, আমাদের বেশী নয় মাত্র একলক্ষ আহমদ শফীর প্রয়োজন। দেখবেন কেমনে উল্টে যায় রাজনীতির হিসেব নিকেশ।