সাইমুম সাদী
আপনি কি মাইন্ড করবেন যদি বলি-
এই দেশের সমাজপতি, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, আমলা- সবাই লেংটা। সবাই লেংটা হয়ে বক্তৃতা দেয়, টকশো করে, খায় দায় ঘুমোয়, অফিসে যায়, বাজারে যায়, মঞ্চে গলা ফাটায়। ভাইজান তাহলে মাইন্ড করবেন?
দুই বছর বয়সের এই একটি উলংগ শিশুই আমাদেরকে; আমাদের তথাকথিত সমাজ ও সভ্যতাকে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আমরা কতটুকু ভন্ড, কতটুকু উলংগ, কতটুকু মিথ্যাবাদী, কতবড় অমানুষ। আমরা সবাই কত বড় এক একজন নাংগু বাবা।
পিতা পলাতক তাই দুই বছরের শিশু ১৮ ঘণ্টা থানা হাজতে
কমাশিসা ডেস্ক:
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) উপজেলা : শিশুদের সুরক্ষায় দেশে যথেষ্ট আইন থাকলেও মহেশপুর থানা পুলিশের কাছে সে আইনের কোন মূল্য নেই। তাই থানার টিএসআই আমির হোসেন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে না পেয়ে তার নিরপরাধ স্ত্রী ও দু’বছরের শিশুকে ধরে এনে থানা হাজতে রেখেছেন। নিরপরাধ মায়ের সাথে শিশু পুত্রকে গতকাল বেলা ৩টা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টা হাজতে পুরে রাখা হয়। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা থানা হাজতে গিয়ে ছবি তুললে তাদের ছেড়ে দিতে তৎপর হয় পুলিশ।এলাকাবাসী জানান, মহেশপুর থানার টিএসআই আমির হোসেন বুধবার রাত ৯টার সময় ভালাইপুর গ্রামের বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামী আজব আলীর পুত্র রাজুুুকে গ্রেফতার করার জন্য তার বাড়ীতে হানা দেয়। কিন্তু রাজুকে না পেয়ে তার স্ত্রী লিপি খাতুন (২৭) ও শিশু পুত্র আলিফ (০২) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর তাদেরকে অন্যান্য আসামীদের সাথে হাজতে রাখা হয়। এ ব্যাপারে টি এস আই আমির হোসেন জানান, আসামী রাজুকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে আটক করে ওসির নির্দেশেই হাজতে রাখা হয়েছে।এদিকে রাত ৮টায় টি এস আই আমির হোসেন তার পূর্বে দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে বলেন, আসামী রাজুকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নাটিমা এলাকার একটি বাড়ী থেকে আটক করে হাজতে রাখা হয় এবং দুপুর আড়াইটার সময় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।অন্যদিকে মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, নাটিমা এলাকার লোকজন অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার সন্দেহে লিপি খাতুনকে তার শিশুসহ আটক করে পুলিশে দেয়। যাচাই করে দেখা যায়, সে তার স্বামী পলাতক আসামী রাজুর সাথেই একত্রে অবস্থান করছিল।
সুত্র: ইনকিলাব অনলাইন