হাজারো কোটি মানুষদেরকে গোনাহের কবল থেকে উদ্ধার করেন মুয়াজ্জিন সাহেব। সময়মত আযান দিয়ে নামাযের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। হাইয়্যা আ’লাস সালাহ বলে ডাকেন। আসসালাতু খাইরুম্মিনান্নাউম বলে ঘুম থেকে নামায বড়, বড়ত্বের কথা বলে আরামের বিছানা থেকে মানুষদেরকে উঠিয়ে নিয়ে আসেন।
একজন মুয়াজ্জিন সাহেব কতইনা ভালো কাজ করেন, বলার অপেক্ষা রাখেনা। এজন্যই হাদিসে বলা হয়েছে, ক্বিয়ামাতের দিন মুয়াজ্জিনগণ সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবেন।
আর সেই মুয়াজ্জিন সাহেবগনকে সমাজে আমরা অবহেলা করি। এই হাজারএক টাকাবেতনওয়ালা মানুষকে ঘৃণার চোখে দেখি। চাকরের মত কাজ করাই। তাঁর কিছু হলে এগিয়ে না এসে দূরে সরে যাই, যদি কোনকিছু দেওয়া লাগে মনে করে! অথচ সেই মুয়াজ্জিন আযান দিয়ে আমাদেরকে নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন। বেখেয়ালের বশে নামাযের টাইম বলতে পারিনা, কিন্তু তিনি ডাক দিয়ে গোনাহ থেকে বাঁচান।
এই যে একজন মুয়াজ্জিন মারা গেলেন। কোন মিডিয়া নেই। টক-শো নেই। কথাবার্তা, আলোচনা কিছুই নেই। পুরান ঢাকার ইসলামপুরে মসজিদের ভেতরে ঢুকে একজন জিম্মাদারকে ছুরিকাঘাত করে মারা, যেই সেই বিষয় নয়। নিশ্চয়ই এটা পরিকল্পিত!
আমরা হুজুর। আলেম। মাদরাসায় পড়াই, ইমামতি করি, মুয়াজ্জিনি করি। এই সকল স্থান, আল্লাহর ঘর, নবী সঃ-এর বাগান যদি নিরাপদ না থাকে, বা দেশ নিরাপত্তা দিতে না পারে, এরচেয়ে অযোগ্য আর কে হতে পারে! দেশ পরিচালনাকারীরা এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। নয়তো পরিণতি ভালো হবে বলে মনে করিনা। একদিন না একদিন আঘাত নিজেদের ওপরেই আসবে না যে, বিশ্বাস কেমনে রাখি! অতএব আমরা কেউ নিরাপদ নয়। আমি নিরাপত্তা চাই।
তনু’র জন্য আমরা অনেক করেছি। মাথার ঘাম পা’য়ে ফেলে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে রাস্তায় নেমেছি। কেউ নাট্যকর্মী, কেউ এই সেই বলে আমাদেরকে থামাতে পারেনি। মানবতার জন্য আমাদের আন্দোলন এখনো অব্যাহত আছে।
তাই আসুন! আমাদের অস্তিত্ব রক্ষায় আমরা মাঠে নামি। আমাদের স্বজাতি ভাইয়ের জন্য, ইসলামের তরে সারাটা জীবন উৎসর্গকারী মানুষটার জন্য আমরা কিছু করি। আমাদের দাবীটা বিশ্বদরবারে দেখিয়ে দেই। হত্যাকারীদের বিচার একদিন হবেই। ইনশাআল্লাহ।