অনলাইন ডেস্ক :: সুরঞ্জিত সেনগুপ্তআওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর নির্বাচন কমিশন। কমিশন ইচ্ছা করলে নির্বাচন বাতিলও করতে পারে, ইচ্ছা করলে নির্বাচন গ্রহণও করতে পারে। যে কারও চাকরি খেতে পারে। তিনি বলেন, ‘কিন্তু এ কেমন কমিশন, লড়েও না, চড়েও না। আগায়ও না পিছায়ও না। একটা কিছু ক, গোলাপি একটা কিছু ক। আপনাদের তো কিছু বলতে হবে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সুরঞ্জিত এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গতকালও নয়জন মারা গেল। এখানে তুমি-আমি চক্ষু বুজে রাখতে পারি না। যখন এর মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদেরও আত্মাহুতি দিতে হচ্ছে, এদের তো রক্ষা আমাদের নির্বাচন কমিশন করতে পারে না। এই রকম নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিয়ে তো আমরা আসি নাই।’
নির্বাচনী সহিংসতার বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘এতগুলো মানুষ মারা গেল! তাও যদি এটা থাকত যে বিচার হয়। বিচার করেন না, বিচার করার জায়গায় কথা বলেন না। বলার সাহস রাখেন না। ইনিয়ে-বিনিয়ে অন্যভাবে বলার চেষ্টা করেন যে, এটা করায় ঠিক হইছে। এই হাইব্রিড যাঁরা বইসা থাকেন, আমি তো দেখি। এইগুলা কমাতে হবে।’
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার ১০০ ভাগ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিচ্ছে, এটা দাবি করছি না। তবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হবে, আর শেখ হাসিনা সরকার ঘরে বসে থাকবেন, এটা কখনো হবে না। তিনি বলেন, ‘একজন হিন্দুকে হিন্দু বলে, খ্রিষ্টানকে খ্রিষ্টান বলে, গারোকে গারো বলে নির্যাতন করা হবে, বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে। এটা সভ্য সমাজে হবে না। এটা মানবতা না। এইটা আমাদের প্রতিরোধ করতেই হবে। শুধু হিন্দুরা তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করবে তা না, আমি কেন আছি, বাকিরা কেন আছে?’
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথের সভাপতিত্বে দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, সাংসদ পঙ্কজ নাথ, পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেব প্রমুখ। সূত্র. প্রথম আলো।