শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ দুপুর ১:৫৫
Home / অনুসন্ধান / তনু হত্যাকাণ্ড : কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর

তনু হত্যাকাণ্ড : কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর

imagesফারজানা হুসাইন :: ১৯ বছরের মেয়েটি বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল টিউশনি করতে। রাতে দশটা নাগাদ সে বাড়ি না ফিরলে মেয়েটার বাবা বের হন মেয়েকে খুঁজতে। বাড়ি থেকে কিছু দূরেই মেয়ের একপাটি জুতো, এক গোছা চুল, মোবাইল ফোন এবং সবশেষে মৃত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। মুখে, শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল তার, রক্তাক্ত জখম। মেয়েটার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে কুমিল্লা ক্যানটনমেন্ট এলাকা থেকে, ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মেয়েটির নাম সোহাগী জাহান তনু।

দেশজুড়ে এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন হচ্ছে। রাস্তায়, পত্রিকায়, অনলাইনে তর্কের ঝড় উঠেছে। অনেক অনেক প্রশ্ন সবার মনে, প্রশ্ন থাকাই স্বাভাবিক। মৃতব্যক্তি কথা বলতে পারে না তাই সে বলতে পারেনি সেদিন কী হয়েছিল, কীভাবে হয়েছিল, কে বা কারা করেছিল। এখনও প্রশাসন সন্দেহভাজন কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি, কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি, ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই। শুধু আছে প্রশ্ন আর আছে অনুমাননির্ভর উত্তর।
ঘটনার এই অবস্থায়, কয়েকটি সাদাসিদে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না। তবু কেন যেন আমরা উত্তর পাই না, জল ঘোলা করি অকারণে।
১. কেন থানায় হত্যা মামলা হয়েছে? কেন ধর্ষণ মামলা হয়নি?
– তনুকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, শরীরে আঘাতের চিহ্ন, ক্ষত, রক্তাক্ত। এটা নিশ্চিত তাকে হত্যা করা হয়েছে। সুতরাং হত্যা মামলা যৌক্তিক। এখন প্রশ্ন ধর্ষণ মামলা নয় কেন? তনুকে যে অবস্থায় পাওয়া গেছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে হত্যার পূর্বে তাকে ধর্ষণ করা হতে পারে বা ধর্ষণের চেষ্টা করা হতে পারে কিন্তু এখনও সে বিষয়ে সুনিশ্চিত নয় কেউই। ময়নাতদন্ত শেষে রিপোর্টের জন্য সবাই অপেক্ষমাণ। রিপোর্ট হাতে আসলেই জানা যাবে তনুকে হত্যার আগে ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে কিনা?
২০১২ সালের দিল্লি গ্যাঙ রেইপ কেসটার কথা মনে আছে? নির্ভয়া (ছদ্মনাম) নামের মেয়েটাকে সেই রাতে বাসের মধ্যে বারংবার ধর্ষণই করা হয়নি শুধু একপর্যায়ে মেয়েটার যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে এফোড়-ওফোড় করা হয়েছিল। মজার বিষয় হলো, অপরাধ আইন বলে পুরুষাঙ্গ ব্যাতীত আর যে কোনও কিছুই ( যেমন: লোহার রড, বোতল, কাঠের দণ্ড, হাত) যোনিতে প্রবেশে ধর্ষণ হবে না, খুব বেশি হলে শারীরিক নির্যাতন বলে গণ্য হতে পারে। আইনের চোখে ধর্ষণ হতে হলে পেনিট্রেশন প্রমাণ করতেই হবে। (ধারা ৩৭৫, পেনাল কোড ১৮৬০) তাই তনুর ময়নাতদন্ত শেষে তার যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের উপস্থিতির প্রমাণ না পাওয়া গেলে তা শারীরিক নির্যাতনের বলে গণ্য হতে পারে কিন্তু ধর্ষণ হবে না। যতক্ষণ শারীরিক পরীক্ষা করে তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া যায় ততক্ষণ ধর্ষণ মামলা দায়ের করা যাচ্ছে না।
২. সেনানিবাসের সুরক্ষিত এলাকায় মৃতদেহ পাওয়া গেছে। নিশ্চয়ই সেনাবাহিনীর কেউ জড়িত। কেন সেনাবাহিনীকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা হচ্ছে না?
– কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় মৃতদেহ পাওয়া গেছে তার মানে একথা প্রমাণিত হয় না যে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনও সেনাসদস্য জড়িত কিংবা সেনানিবাস এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে সুরক্ষিত সেনা এলাকায় মৃতদেহ পাওয়া নিঃসন্দেহে ভাবিয়ে তোলে আমাদের। আমাদের সুরক্ষিত সেনা এলাকা আসলে কতটা নিশ্ছিদ্র তা খতিয়ে দেখার বিষয়।
আমার জানা মতে, কুমিল্লা সেনানিবাসের সঙ্গে অন্য সেনানিবাসের মূল পার্থক্য হচ্ছে, এর বুক দিয়ে চলে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। সিলেটের সড়কটি সেনানিবাসের ভেতরেই চট্টগ্রাম অভিমুখী গ্র্যান্ড ট্রাংক রোডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। স্টেশন সদরদফতর থেকে শুরু করে বেশ কিছু স্থাপনার অবস্থান একেবারেই মহাসড়কের লাগোয়া। সেনানিবাসের মধ্যে অথবা গা ঘেঁষেই রয়েছে বেসামরিক বাজার, আবাসিক এলাকা; যা সেনানিবাসের নিরাপত্তায় বাড়তি ঝুঁকি আরোপ করে। মোটকথা, এই সেনানিবাসে গেট দিয়ে, চেকপোস্ট বসিয়ে যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যাওয়া হয়, তবে মহাসড়কগুলো যানজটে ফেঁসে থাকবে সর্বদা।
পত্রিকার সূত্রধরে জানা যায়, ঘন গাছপালার মধ্যে কালভার্টের কাছে যে স্থানে তনুর মৃতদেহ পাওয়া গেছে তা কুমিল্লা সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকা এবং এখানে সেনানিবাসের কোন সীমানা প্রাচীর নেই। এই রাস্তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরের কেউ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এমন কোনও প্রমাণ এখনও নেই, তেমনি হত্যাকারী সেনাবাহিনীর কেউ নয় সে প্রমাণও কিন্তু নেই। আমাদের সেনাসদস্যদেরকে অপরাধের জন্য মিলিটারি আইনের অধীনে জবাবদিহি করতে হয়, সেই আইনে তাদের বিচার হয়, কোর্ট মার্শাল হয়।
তবে, বাংলাদেশ মিলিটারি আইন সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে ভিকটিম যদি মিলিটারি, নেভাল বা এয়ার ফোর্সের অন্তভূর্ক্ত কেউ না হয় সেক্ষেত্রে হত্যা বা ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিচার কোর্ট মার্শাল করতে পারে না। আইন আমাদের এতটুকু আশ্বস্ত করে যে  হত্যাকারি যদি সেনাসদস্য হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বিচার দেশের প্রচলিত বিচার প্রক্রিয়াতেই সম্পন্ন হবে।
সুতরাং, প্রশাসন এই হত্যাকাণ্ডের দোষী বা সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে শনাক্ত করার আগ পর্যন্ত আবারও ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। কারণ আইনের প্রথম সবক, every one is innocent until proven guilty.
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পযর্ন্ত আইনের চোখে প্রত্যেকেই নিদোর্ষ। আমাদের দেশের সংবিধান ও সবার জন্য ফেয়ার ট্রায়াল বা নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করে। আসামীকে ও ফেয়ার ট্রায়াল বা নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করার অর্থ ভিকটিমের কাছ থেকে ন্যায় বিচার কেড়ে নেওয়া নয় মোটেই। আইন আর আবেগের মাঝখানে যে ঠায় দাঁড়িয়ে রয় তার নাম সাক্ষ্য-প্রমাণ, অনুমাণ নয়।
৩. মেয়েটা যদিও হিজাব পরতো, তবে নাট্যকর্মী ছিল। নিশ্চয়ই খারাপ মেয়ে ছিল। এদের সঙ্গে এরকম তো হওয়ারই কথা।

– যতগুলো ধর্ষণের ঘটনার কথা আমরা জানতে পারি, তারচেয়ে আরও বেশি ঘটনা আমাদের নজরে পড়ে না, খবরের কাগজে আসে না,  আমরা লুকিয়ে যাই। কারণ, বিচার চাইতে গেলে ধর্ষণের শিকার নারীকে মিডিয়ার সামনে, সমাজের সামনে, আইনের সামনে বারবার ধর্ষিত হতে হয়। সে নারী থানায় গেলে কিছু চকচকে চোখের সামনে তার রগরগে ধর্ষণ গল্প শোনাতে হয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে, Forensic Medical examination বা শারীরিক পরীক্ষার নামে তার যৌনাঙ্গে  আঙুল ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয় ( two finger test),
প্রথম পরীক্ষা ধর্ষকের নয় বরং ধর্ষণের শিকার ওই নারীর। হাইমেন বা সতীচ্ছেদ পর্দা আছে তো?  আর আছে সাক্ষ্য আইন যেখানে ভিকটিমের পূর্ববর্তী ক্যারেক্টার অ্যাভিডেন্স আদালতে হাজির করে প্রমাণ করে দেওয়ার চেষ্টা চলে যে ধর্ষণের ঘটনার জন্য ধর্ষকের চেয়ে ভিকটিম বেশি দায়ী।
টু ফিঙ্গার টেস্ট-এর নামে ধর্ষণের শিকার নারীকে ডাক্তারের কাছে প্রমাণ করতে হয় তার যৌন-অনভিজ্ঞতা, তার সতীত্ব। যোনিপথ কতটা মসৃণ, কতটা সংকীর্ণ, সতীচ্ছেদ পর্দা কোথায় কতটা ছেঁড়া, যোনিপথে জখম আছে কীনা- ধর্ষণের পর পরই ভয়ঙ্করভাবে ট্রমাটাইজড ভিকটিমকে এসব কিছু পরীক্ষা করে দেখেন ডাক্তার। আমাদের নারী ডাক্তারের অপ্রতুলতার কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ ডাক্তার আর ওয়ার্ড বয়ই এই পরীক্ষা করে। কোনও বিধান নেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ভিকটিমের জন্য কোন সাইক্রিয়াটিস্ট সেখানে উপস্থিত থাকার।
সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ এর ১৫৫(৪) ধারা অনুযায়ী ধর্ষণ মামলায় ভিকটিমের পূর্ববর্তী যৌনাভিজ্ঞতা, জীবনাচরণ আদালতের সামনে এনে ডিফেন্স আইনজীবী প্রমাণ করতে চান যে ভিকটিম immoral character বা অসৎ চরিত্রের ছিল। সোজা কথায় আগে থেকে চরিত্রহীন, নষ্টা মেয়েকে ধর্ষণ করার তো কিছু নেই, সে সেচ্ছায় আসামির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেছে এবং এখন ধোয়া তুলসি পাতা ওই আসামিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
সুতরাং ন্যায়বিচার পাওয়ার আগে বিচারপ্রার্থীকে প্রমাণ করতে হয় সে নির্দোষ, সতী। এই ধরণের ক্যারেক্টার এভিডেন্স বা সতীত্বের প্রমাণ ধর্ষণ মামলা ছাড়া আর অন্য কোনও ক্রিমিনাল কেইসে বিচার প্রার্থীকে প্রমাণ করতে হয় না।
ভিকটিম শুধুমাত্র সমাজের প্রচলিত নিয়মে নিজেকে সতী প্রমাণ করতে পারলেই তবে আদালতে বিচার পাওয়া যায়, সহানুভূতি পাওয়া যায় সমাজের। ধরুণ, যদি আগামীকালের পত্রিকায় জানা যায় যে তনু সতী নয়, তার অতীত যৌন-অভিজ্ঞতা ছিল; তবে আমাদের কতজন তনুকে আগামীকাল বোন বলে সম্বোধন করবেন?
যদি মেয়েটি ধর্ষিত হয়ে বেঁচে ফিরতো কতোটা স্বাভাবিক জীবনযাপনের নিশ্চয়তা আমরা তাকে দিতে পারতাম? আমাদের মহান মুক্তিসংগ্রামের পর কত শত পরিবার নিষ্পাপ ধর্ষিতা মেয়েকে ঘরে ফেরত নিতে অস্বীকার করেছে? কতজন বীরঙ্গনাকে আমরা চিনি জানি, অথচ ফাঁকা বুলি আওড়াই, লক্ষ-লক্ষ মা-বোনের “ইজ্জতের বা সম্ভ্রমের বিনিময়ে” আমাদের এই স্বাধীনতা।
ধর্ষণ শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার হতে পারে, ব্যক্তির মানবাধিকারের লঙ্ঘন হতে পারে কিন্তু সম্মানহানিকর হতে পারে না, ধর্ষণের শিকার নারী সম্ভ্রম হারিয়ে সমাজের চোখে অসম্মানিত হতে পারে না। নারীর সম্মান তার সতীচ্ছেদে নয়, তার যোনিতে নয়। বরং ধর্ষক আর ধর্ষকামী হবে অসম্মানের পাত্র, নিচ আর ঘৃণ্য নরকের কীট।
১৯৭২ সালের মাথুরা রেইপ কেইস ভারতীয় ধর্ষণ আইনকেই পরিবর্তন আনতে বাধ্য করেছিল সরকারকে। আদিবাসী মেয়ে মাথুরাকে উপর্যপুরি ধর্ষণ করা হয় মহারাষ্ট্রের এক পুলিশ স্টেশনে। ডাক্তারি পরীক্ষায় সতীত্বের বৈতরণী পার হতে পারেনি মাথুরা, সতীচ্ছেদ আগেই খুইয়ে বসেছিল মেয়েটি, সাটির্ফিকেটে লেখা হয়, হ্যাবিটুয়েটেড টু সেক্স বা যৌনসম্পর্কে অভ্যস্ত। অবিবাহিত মেয়ের যৌনসম্পর্কের ট্যাবু থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি ভারতীয় আদালত। যৌনাচারে অভ্যস্ত মাথুরা নিজেই মদ্যপ পুলিশ অফিসারদেরকে প্রলুব্ধ করেছে বলে রায় দেয় সবোর্চ্চ আদালত, অভিযুক্ত পুলিশের কনস্টেবলরা খালাস পেয়ে যায় ফলশ্রুতিতে। সাধারণ জনগণের প্রতিবাদের জের ধরে প্রায় ১১ বছর পর ভারতীয় সরকার ধর্ষণ আইনে পরিবর্তন আনেন। আমাদের আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে সময়োপযোগী একটা পরিবর্তনের জন্য?
ধর্ষণের শিকার হতে পারে শিশু, বৃদ্ধা, যৌন-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অবিবাহিতা, বিবাহিতা, যৌনকর্মী যে কেউ এবং আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে সবাই যেন আইনের চোখে সমান পরিলক্ষিত হয়, ন্যায় বিচার পায়। ধর্ষণ ও স্বেচ্ছায়  শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে পাথর্ক্য হলো কনসেন্ট বা সম্মতি। কার সঙ্গে যৌনসম্পর্কে সম্মতি দেবে তা ব্যক্তির নিজের ইচ্ছে। একজনকে সম্মতি দেওয়া মানে সবার জন্য নিজেকে উন্মুক্ত করা যে নয়- একথা আমাদের মূক-বধির সমাজকে কে বোঝাবে।
এখানে বলাই বাহুল্য ধর্ষক যদি ভিকটিমের স্বামী হয়, তবে তো স্বামী কতৃক জোরপূবর্ক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়ে যাবে স্বাভাবিক বৈবাহিক সম্পর্ক । স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলে চারিদিকে ছিছি পড়ে যাবে এতক্ষণে- সমাজ আর ধর্ম বলে দেয় বিয়ের সম্মতি দিয়ে নিজের শরীরের ওপর যখন তখন কর্তৃত্ব করার অধিকার পুরুষকে দিয়ে দেয় নারী। স্বামী যদি ধষর্কও হয়, ওই ধর্ষকের পায়ের নিচে নারীর যেন কী?

রবি ঠাকুরের কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করেছিলো সে মরে নাই, আমাদের তনুকে মরেই বাঁচতে হয়েছে আমাদের ধর্ষকামী সমাজের কাছ থেকে।

লেখক: আইনজীবী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও মানবাধিকারকর্মী।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...