মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১০:০৬
Home / পরামর্শ / জঙ্গিবাদের বিষয়ে ইমামদের সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

জঙ্গিবাদের বিষয়ে ইমামদের সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

chokkahajiblog_1381093420_3-015675870_30300অনলাইন ডেস্ক :: সলামকে ব্যবহার করে কেউ যেন অপরাধ সংঘটন, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি ও কুৎসা রটনা না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খতিব-ইমামদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা দয়া করে দেখবেন পবিত্র শান্তির ধর্ম ইসলামকে কেউ যেন বিপথে ঠেলে দিয়ে এই ধর্মের নামে কোনো অপরাধ সংঘটন করতে না পারে। কোনো কুৎসা রটনা করতে না পারে।’
তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না। যারা ইসলামের নাম ভাঙিয়ে একে হেয়-প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করে তারা সত্যিকারের ইসলামে বিশ্বাস করে না। ধর্ম নিয়ে যেন কোনো বাড়াবাড়ি না করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্যও প্রধানমন্ত্রী আলেম সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
আজ মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং জাতীয় খতিব সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আলেম সমাজের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার কষ্ট হয় কখনো কখনো জঙ্গিবাদ নাম নিয়ে যখন ইসলাম ও জঙ্গিবাদকে এক করে ফেলা হয়। মুষ্টিমেয় লোকের জন্য আমাদের এত বড় দুর্নাম বয়ে বেড়াতে হয়। কাজেই ইসলামে যে জঙ্গিবাদের স্থান নেই, সন্ত্রাসবাদের স্থান নেই, ইসলাম যে পবিত্র ধর্ম শান্তির ধর্ম এই বিশ্বাসটা যেন মানুষের মধ্যে আসে। সে বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার যার ধর্মকর্ম পালনে তাদের যদি সেই সুযোগ না দেওয়া হয় তাহলে বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেখানে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা কম তাদের ভাগ্যে কী ঘটবে। আমি এটা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব বলেই মনে করি। আমাদের রাসুল মুহাম্মদ (সা:) এর শিক্ষাও তাই। কাজেই আমরা সব সময় এটাই বিশ্বাস করি যে, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।

বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসেই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় তারা আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা চালায়। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম নির্যাতন শুরু করে। জামায়াত নেতাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে ইসলামকে কলুষিত করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৮ সালে সরকার গঠন করে আবার দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনি। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করি। জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করি।

অনুষ্ঠানে দেশব্যাপী একযোগে কোরআন শরীফ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআনুল করীম বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস-এর চেয়ারম্যান ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ে সচিব মোহাম্মদ আব্দুল জলিল। খতিবদের প‌ক্ষে জাতীয় খতিব কাউন্সিলের আহ্বায়ক জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব মাওলানা জালালুদ্দিন আল ক্বাদরী বক্তব্য দেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে মহাপরিচালক শামিম মোহাম্মদ আফজাল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যাবলি তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস-এর সদস্যবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ এবং আলেম ও ওলামা সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...