ইলিয়াস মশহুদ :: খবরে প্রকাশ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে আদালতে যে রিট করা হয়েছে সে বেঞ্চের যারা বিচারক তাদের মধ্যে একজন হিন্দু, আরেকজন কাট্টা ইসলাম বিদ্বেষী। নাউযুবিল্লাহ!
প্রশ্ন হচ্ছে, ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে, কি থাকবে না- তা ফায়ছালা করার দায়িত্ব হিন্দুর হাতে কেন? এদেশে কি মুসলমান বিচারকের অভাব পড়েছে? আর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম-এর বিষয়ে ফায়সালা করার ক্ষমতা কী কোন বিচারকের আছে?
সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, অনতিবিলম্বে এ দুজন বিচারককে সরিয়ে এ বিষয়কে আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত ঘোষণা করা নচেৎ ৯৭ ভাগ মুসলমান তাদেরকে কখনোই ক্ষমা করবে না।
বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্ট থেকে কায়দা-কানুন করেই তা তুলে দেওয়ার সকল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মিডিয়া রয়টার্সে বিস্তারিত খবরও এসেছে। (http://goo.gl/lHoqnF)
তবে আমাদের মনে হয়, বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ইসলাম বাদ দিলে বাংলাদেশী মুসলমানরা ততটা দুঃখিত নয়, যতটা তারা দুঃখিত হয়েছে ক্রিকেটার আরাফাত সানী আর তাসকিন আহমেদকে বাদ দেওয়ার কারণে। এর দ্বারা অবশ্য এটাও প্রমাণ হয়-বাংলাদেশের মুসলমানদের কাছে ইসলামের থেকে ক্রিকেট খেলা অধিক প্রিয় বস্তু।
তবে এ ধরনের একটি তুলনা বাংলাদেশীদের জন্য আরেকটি বিপদের আভাস দিচ্ছে। ইতিহাস বলে- যখন কোন মুসলিম গোষ্ঠী নিজের ধর্ম বাদ দিয়ে অন্যবিষয়য়ে বেশি মত্ত হয়েছে, তখন সেই সুযোগেই মুসলমানদের ধরাশায়ী করেছে অমুসলিম গোষ্ঠী, মুসলিমদের পরিয়েছে পরাধীনতার শিকল। আমার মনে হচ্ছে বাংলাদেশের মুসলমানদের সেই পরিণতি ভোগ করার সময় চলে এসেছে, এখন শুধু অপেক্ষার পালা…..