বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সন্ধ্যা ৬:৩৪
Home / অনুসন্ধান / কুফরের বিজয় উৎসব!

কুফরের বিজয় উৎসব!

10361974_541349715965286_6098909924195122716_nআহমদ যাকারিয়া ::

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের মূল কারিগর ছিল যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। এ যুদ্ধ থেকে সবদিক দিয়েই ফায়দা হাসিল করে মার্কিনিরা, বিপরীতে ব্রিটেন এ থেকে সুফল অর্জনের বদলে পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের পতনকে ত্বরান্বিত করে। সে সময়  জার্মানিতে হিটলারের ক্ষমতা গ্রহণ এবং তার নেতৃত্বে নাৎসি বাহিনীর মাধ্যমে একক কর্তৃত্ব  প্রতিষ্ঠায় পুঁজিবাদী আমেরিকা ও ব্রিটেন পর্দার আড়ালের পেছন থেকে বড় ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করে। লক্ষ্য ছিলো তখনকার সময়ের তাদের আদর্শিক শ্ত্রু তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নকে ঠেকানো।
একারণেই নাৎসি বাহিনীকে তৎকালীন আমেরিকার জেনারেল মোটর তার সর্বাধিক প্রযুক্তি হস্তান্তর করে নাৎসি বাহিনীর সামরিক সক্ষমতাকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে। সুতরাং  হিটলার আমেরিকা, ব্রিটেনের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে হামলা করে। হিটলার রাশিয়ায় যুদ্ধের প্রথমদিকে তার বাহিনীর অসাধারণ সাফল্য দেখে ব্রিটেন ও আমেরিকার সাথে সব ধরনের যোগাযোগ ও কুটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে বসে। শেষ পর্যন্ত নাৎসি বাহিনী ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস দখল করে, মস্কো থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করা নাৎসি বাহিনী রাশিয়ায় নিজেদের জয়কে নিশ্চিত  ভেবে ব্রিটেনে হামলা করে বসে। সাথে সাথে এশিয়ায় তার শক্ত সামরিক মিত্র হিসেবে জাপানকে পেয়ে যায়। জাপানও নতুন বন্ধু দেশের সার্বিক আব্দার ও প্রয়োজন মেটাতে চীনের অনেকাংশ দখল করে বসে। জাপান চীনে ধর্ষণ নামক পাশবিক উৎসব (?) চালিয়ে লাখ লাখ
চীনা নারীর ইজ্জত লুণ্ঠন করে। আবেগের আতিশয্যে অতি উৎসাহী হয়ে জাপান ৪১ এ আমেরিকার নৌ ঘাঁটি ‘পার্ল হারবারে’ হামলা অন্যায়ভাবে হামলা করে বসে। এমন ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতি দেখে শেষ পর্যন্ত আমেরিকা এ যুদ্ধে সরাসরি জড়িত হতে বাধ্য হয়। এরপরের যুদ্ধের ইতিহাস আশাকরি সবারই জানা।
আমেরিকা তার বিশাল সামরিক শক্তি নিয়ে বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিবাদ জানাতে সহায়তা করে সোভিয়েত ইউনিয়নকে। সাথে সাথেই যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেল। এক্ষেত্রে প্রকৃতির আকস্মিক পরিবর্তন রাশিয়ায় জার্মান বাহিনীর বিপর্যয়ের কারন হয়ে দাঁড়াল। কয়েক লাখ জার্মান সৈনিকের সলিল সমাধি ঘটে রাশিয়া তপ্ত মাটিতে। অপরদিকে ফ্রান্স উপকূলে মার্কিন- ব্রিটিশ বাহিনীর কয়েক লাখ সেনা ববাহিনীর বীর দর্পে সফল পদার্পণ জার্মান বাহিনীকে মানসিক ভাবেও ঘায়েল করে দেয়। জার্মানের রাজধানী ‘বার্লিনের’ পতন ঘটে অল্প সময়ের মধ্যেই মার্কিন ও রাশিয়ান সৈন্য বাহিনীর হাতে। পরিশেষে ‘বার্লিনে’ জার্মানদের উপর ধর্ষণ নামক পাশবিক উৎসবে (?) মেতে উঠে মার্কিন ও রাশিয়ান উভয়ই দাম্ভিকতার সাথে। দু’দিনেই বার্লিনে তিন লাখ জার্মান নারীকে ধর্ষণ করে রাশিয়ার স্টালিনের কমিউনিস্ট রেড আর্মি।hiroshima bomb

অপরদিকে পুঁজিবাদী মার্কিন বাহিনী মাস খানেকের মধ্যে ধর্ষণ করে কয়েক লক্ষ জার্মান যুবতী নারীকে। জাপানের নিশ্চিত পরাজয় সত্ত্বেও জাপানে মার্কিনিরা পারমানবিক বোমা ফাটানোর উৎসব (?) করে ঘৃণ্য উল্লাসে মেতে ওঠে। এটা হলো যেকোন ‘কুফর’ বিশ্বাসের উপর গড়ে উঠা ‘কুফর’ শক্তিসমুহের বিজয় পরবর্তী আনন্দ, উৎসবের (?) ক্রমধারা। ইতিহাস সাক্ষী তাদের এসব উৎসবে বরাবর নারীরা ধর্ষণ নামক পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। আজ এদেরই সম্মিলিত ঐক্যের উপর গড়ে উঠা ‘কুফর’ পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে যারা সমূলে উৎপাটিত করে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন ‘ইসলামকে’ প্রতিষ্ঠা করতে চায়,
তারা আজ “চিন্তা প্রতিবন্ধিদের” নিকট আল্লাহর সৈনিকের বদলে জঙ্গি (?) কিংবা সন্ত্রাসী (?) হিসেবে পরিচিত।  অথচ এদের হাতে শ্ত্রু পক্ষের নারীরাও বন্দি হলে এদের মর্যাদা সামান্যতম ভূলন্ঠিত হয় না বরং তাদের আচরনে মুগ্ধ হয়ে পরবর্তীতে দ্বীন ইসলাম গ্রহন করে সঠিক ভাবে জীবন যাপন করতে শিখেছে হাজারো নারী। সন্ধ্যান পেয়েছে ঐশী বানির। তালেবানদের হাতে গুপ্তচর সন্দেহে বন্দি ব্রিটিশ নারী রেডলি কিংবা আল কায়েদার সিরিয়া শাখা জাবায়াত আন-নুসরাহর হাতে বন্দি সিরিয়ার গির্জার সেসব সিস্টাররাই এর জ্বলন্ত উদাহরণ।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...