শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সকাল ১১:০৩
Home / অনুসন্ধান / “সদ্য এস.এস.সি সমাপ্ত একজন ছাত্রীর আত্মবিলাপ”

“সদ্য এস.এস.সি সমাপ্ত একজন ছাত্রীর আত্মবিলাপ”

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অক্সফোর্ডকে হার মানানোর কাছাকাছি ? হাসো বাংলাদেশি হাসো প্রাণ খোলে হাসো…!

অনুসন্ধান ডেস্ক:
(এখানে একটি অক্ষরও পরিবর্তন করা হয়নি। হুবহু ডায়রীর পাতায় যা লেখা রয়েছে, তা তুলে ধরা হলো, আমাদের তথাকথিত শিক্ষক নামক জানোয়ারদের উদ্দেশ্যে)
মেজাজ খুব খারাপ হয়ে আছে। আজকে ইংরেজি ১মপত্র পরীক্ষা দিলাম। পরীক্ষা কেমন হযেছে এ সম্পর্কে কিছু বলবো না। স্যারেরা যেভাবে দেয়াবে পরীক্ষা সে রকমই হবে।
পরীক্ষায় নকল হয় জানতাম। কিন্তু নকল করতে বাধ্য করানো হয়, এটা জানতাম না। যতগুলো প্রশ্নের উত্তর ছোট ছোট ছিলো, স্যারেরা সেগুলো তো সবাইকে বলে দিয়েছেই, উপরুন্ত প্যারাগ্রাফটাও লিখেও সাপ্লাই করেছে। যখন বলে দিচ্ছিল প্রশ্নের উত্তরগুলো তখন মনটা খারাপ হয়েছিল। কিন্তু ভেবেছিলাম, লেখার সময়তো যে যা পারবে তাই লিখবে। কিন্তু সেখানেও লক্ষ্য করলাম মেয়েদের কাছে ছোট একটা টুকরা কাগজ যেটাতে ইয়ার পলোশন প্যারাগ্রাফটা পুরোপুরো ছোট অক্ষরে ছাপানো ছিল। আমিতো হতভম্ব হয়ে গেলাম। এটা কিভাবে সম্ভব? কোন মেয়ে তো এটা তার সঙ্গে করে নিয়ে আসেনি। স্যারেরা দিয়ে গেছে। দেখে দেখে লেখার জন্য। নকল করার জন্য। হায়রে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা! থুথু দিতে ইচ্ছে করে, লজ্জায় মাথা হেট হয়ে আসে।
যখন কারিগরই তার সৃষ্টিকর্মে কোন খাদ মিশিয়ে দেয়, তখন দুনিয়ার কারো সাধ্যনেই ভেজালমুক্ত করার।
বাংলায় চিঠি পড়েছি। ভাবসম্প্রসারণ পড়েছি। রচনা পর্যন্ত পড়েছি যে, “ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের কুফল”। অসদুপায় তো আমরা অবলম্বন করছি না। আমাদের করতে বাধ্য করানো হচ্ছে। কে করছে এসব? আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা, যারা নাকি মানুষ গঠনের কারিগর বলে পরিচিত।
মানুষ এতটা নির্লজ্জ কী করে হতে পারে? তার সামান্যতম বিবেকবোধটুকুও কী নেই? শুধুমাত্র স্কুলের সুনাম বাড়ানোর জন্য নিজ হাতে ধ্বংস করছে শিক্ষার্থীদের?

একটা দেশ, একটা জাতি কখন রসাতলে যায় বলতে পারেন? যখন শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে নকল তুলে দেয়। তাদের চুরি করতে বাধ্য করে।

কী লাভ হয়েছে সারা বছর পড়ে? যেই মেয়েটা বছরে একবার বইটা খুলেও দেখেনি, সেও গোল্ডেন এ+ পাবে। আমিও। সে কি এই রেজাল্টের যোগ্য? যে নিজে থেকে একটা লেটার লিখতে পারে না, কোথাও ভুল হলে আদৌ সেখানে ভুল হয়েছে কিনা বুঝার সাধ্য যার নেই, সে কী এ+ পাবার যোগ্য?
ঘেন্নায় মরে যেতে ইচ্ছে করে। যদি আমাদের না বলে দিতো, তাহলে কী আমরা লিখতে পারতাম না? অবশ্যই পারতাম। হয়তোবা সবার খুব ভালো রেজাল্ট হতো না।

সুত্র:  Syed Shamsul Huda

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

পুলিশি নির্যাতনে হত্যার বিচার চাইবেন কার কাছে?

ডক্টর তুহিন মালিক: (১) মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে যুবককে রাতভর নির্যাতন ...