শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১:০৬
Home / অর্থনীতি / ব্যাংক থেকে অর্থ লুটপাট : গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে পদত্যাগে বাধ্য করা হতে পারে

ব্যাংক থেকে অর্থ লুটপাট : গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে পদত্যাগে বাধ্য করা হতে পারে

Atiur_Rahman1457944946অনলাইন ডেস্ক :: 

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮১০ কোটি টাকা চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করতে পারেন। তা না হলে যে কোনো সময় তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্য এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সোমবার ভারত সফর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। দেশে ফেরার পর তার পদত্যাগ কিংবা তাকে সরানোর মতো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার এক সদস্য জানান, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির বিষয়টি আজকের কেবিনেটে প্রকাশ্য আলোচনা হয়নি। তবে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী ক্ষুব্ধ ছিলেন। মন্ত্রিসভার শুরুতে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনেকটা ওয়ান ওয়ান কথাও বলেন। এ সময় অর্থমন্ত্রীকে কিছুটা রাগান্তিত চেহারায় দেখা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পদত্যাগ করানো কিংবা সরানোর বিষয়েই মূলত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর কথা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’

যে কোনো সময় গভর্নরের পদত্যাগ কিংবা সরানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও মন্ত্রিসভার ওই সদস্য ইঙ্গিত দেন।

আজ মন্ত্রিসভায় তিনটি আইনের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর একটি ছিল অবহিতকরণ। তার মধ্যে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা আইন ও বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট আইন ২০১৬’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া ‘সার্ক যুব সনদের খসড়ার অনুমোদনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তাব করার পর মন্ত্রিসভায় এটিও অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

অর্থমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন মঙ্গলবার

অর্থমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন মঙ্গলবার

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন অর্থমন্ত্রী।

আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। গভর্নর ভারতে একটি সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বিকেলে ফিরেছেন। এসেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয় কিন্তু বৈঠক হয়নি।

এর আগে সকালে অর্থমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বেলা ২/৩টার দিকে তিনি কিছু একটা জানাবেন। এ সময় সাংবাদিকেরা তার কাছে জানতে চান বাংলাদেশ ব্যাংকে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হবে কি না। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ আমি জানাব। নিশ্চিতভাবে এটি একটি বড় ঘটনা।’

প্রসঙ্গত, ফিলিপাইনের ডেইলি ইনকোয়ারারে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি  প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার লোপাটের খবর এলে গণমাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে অর্থ লোপাট হলেও তা চেপে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেভাবে তা ‘সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে’ তাকে ‘অযোগ্যতা’ অভিহিত করে ক্ষুব্ধ অর্থমন্ত্রী রোববার বলেছিলেন, এই ‘স্পর্ধার’ জন্য ‘অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন মুহিত। তবে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেও দুপুর পর্যন্ত সেই বিবৃতি না আসায় সাংবাদিকরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে যান।

তখন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আর কিছু স্টেটমেন্ট নাই। গভর্নর ফিরে আসলে আই উইল… স্টেটমেন্ট। সেটা আজও হতে পারে, কালও হতে পারে। কারণ সে কখন আসবে, তার কোনো ঠিক নাই।’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হলেও আলোচনার ফলাফল সাংবাদিকদের বলেননি অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আই অ্যাম ওয়েটিং ফর আতিউর। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব বলেছিলাম, আলোচনা আমার হয়েছে।’

এদিকে ভারত থেকে ফিরে গভর্নর আতিউর রহমান বিকেলেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন- এমন খবরে গণমাধ্যমের কর্মীরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে ভিড় করেন। তবে গভর্নরকে দেখা যায়নি।

আর এর মাঝেই সন্ধ্যায় অর্থমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা আসে। তার একান্ত সচিব এসএম জাকারিয়া হক সাংবাদিকদের জানান মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এই সংবাদ সম্মেলন হবে।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে ফিলিপাইনে স্থানান্তরিত ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে ৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার দেশটির ক্যাসিনোতে ঢুকেছে। এমন তথ্য দেয় সে দেশের বিনোদন কেন্দ্র ও ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থা ফিলিপাইন অ্যামিউজমেন্ট গেমিং করপোরেশন (পিএজিসি)। আর ওই সংস্থাকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য প্রকাশ করেছ ফিলিপাইনের ইংরেজি দৈনিক ইনকোয়ারার।

নিউইয়র্কের ব্যাংকে গচ্ছিত বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে চুরি গেছে মোট ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার (৮০৮ কোটি টাকা, প্রতি ডলার বিনিময় মূল্য ৮০ টাকা ধরে)। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার জমা হয় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) চারটি হিসাবে।

সেখান থেকে পরবর্তী সময়ে কয়েক হাত ঘুরে ওই অর্থের ৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার (৩৬৮ কোটি টাকা) ক্যাসিনোতে গেছে বলে জানায় পিএজিসি। আর বাকি অর্থ কোথায় কী অবস্থায় রয়েছে, তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। সূত্র. রাইজিংবিডি.কম।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...