মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জাতীয় ফতোয়া বোর্ডের মুফতিগণ।
বিবৃতিতে মুফতিগণ বলেন, জগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আদর্শবিরোধী ২৮ বছর আগের চরম বিতর্কিত ও পরিত্যক্ত একটি মামলা হঠাৎ সচল করে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে কি থাকবে না, এর ওপর হাইকোর্টের শুনানি গ্রহণের সিদ্ধান্তে দেশের উলামা-মাশায়েখ ও কোটি কোটি তৌহিদী জনতা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের দেশের সংবিধানের প্রথম পরিচ্ছেদের ২-ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন।’ এরপরও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের প্রশ্ন তোলার মানেই হচ্ছে, সাংবিধানিকভাবে এ দেশে উগ্র ও ভ্রান্ত নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠার অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। ইসলামী আকিদা-বিশ্বাস, তাহজিব-তমাদ্দুন ও মুসলিম চেতনাবোধের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে এদেশের উলামা, পীর, মাশায়েখের নেতৃত্বে কোটি কোটি মুসলমান চুড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করবে। দেশের শান্তি-শৃংখলা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে এ দেশের উলামা, পীর, মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা নাস্তিক্যবাদীদের নানা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ধৈর্যের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা এটাকে দুর্বলতা বা নিস্ক্রিয়তা মনে করে ধারাবাহিকভাবে দেশ থেকে ইসলাম নির্মূলের চক্রান্ত করেই চলেছে।
তারা বলেন, সকলকে মনে রাখা উচিত, সরকার আসে, সরকার যায় ইসলামের বিরোধিতা করে কারোর শেষ রক্ষা হয়নি। রাষ্ট্রীয়ভাবে নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠার যেকোনো উদ্যোগ মুসলমানরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও প্রতিহত করবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন- শীর্ষ আলেমে দ্বীন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, ফতোয়া বোর্ডের সভাপতি প্রফেসর ড. মুফতি ইয়াহইয়া রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ড. মুফতি খলিলুর রহমান মাদানী, মুফতি আবু তাহের কাসেমী, মুফতি জুবায়ের আহমদ, মুফতি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মুফতি মুহাম্মদ ইখলাস উদ্দিন, মুফতি মাহবুবুর রহমান, মুফতি নাসির উদ্দীন, মুফতি গোলাম রহমান, মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল আমিন প্রমুখ।