ইলিয়াস মশহুদ :: হাজারো জনতার উপস্থিতিতে আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন বাংলাদেশের প্রতিষ্টাতা, অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রাণ শায়খুল কুররা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আলী আকবর সিদ্দীক রাহ.’র জানাযার নামায আজ বাদ আছর মরহুমের প্রতিষ্ঠিত আঞ্জুমান কমপ্লেক্সে সম্পন্ন হয়।
জানাযার নামাযের পূর্বে তাঁর সম্পর্কে বক্তারা বলেন, আঞ্জুমান এমন একটি কুরআন শিক্ষার প্রতিষ্ঠান, যার শাখা-প্রশাখা দেশ-বিদেশের আনাচে কানাচে রয়েছে। দ্বীনের খেদমতে ব্রত আছে। যা ইতিহাসে বিরল।
সিলেটের দক্ষিন সুরমার গোটাটিকরস্থ আঞ্জুমান কমপ্লেক্সে বিপুল জনতার উপস্থিতিতে অন্তিম শয়ানে সমাহিত হলেন শায়খুল কুররা মাওলানা আলী আকবর সিদ্দিক ভানুগাছী হুজুর। মঙ্গলবার বাদ আসর মরহুমের বড় ছেলে মাওলানা ইমদাদুল হক নোমানীর ইমামতিতে জানাযা সম্পন্ন হয়।
আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জামিয়া তা’লীমুল কুরআন গোটাটিকর, সিলেট ও সরইবাড়ী ইসলামিয়া আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা এবং ভানুগাছ জামিয়া তাজবীদুল কুরআন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম শাইখুল কুররা মাওলানা আলী আকবর সিদ্দিক শায়খে ভানুগাছী হুজুর মঙ্গলবার ৮ মার্চ ভোর সাড়ে ৬টায় সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিলাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি ৪ ছেলে, ৪ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মাওলানা আলী আকবর সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে মুহুর্তের মধ্যে ভানুগাছি হুজুরের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িলে পড়লে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তার হাজার হাজার ভক্ত-অনুরাগী, উলামা-মাশায়েখ, মুহিব্বিন-মুতাআল্লিকীন, ছাত্র-শিক্ষক ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ শরীক হন। সকলের গন্তব্য ভানুগাছি হুজুরকে শেষ বারের মতো দেখা ও জানাযায় অংশ নেওয়া।
খাদিমুল কোরআন হযরত ভানুগাছি হুজুরের ইন্তেকালে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রমুখ।