কমাশিসা ডেস্ক:: কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী; যারা দাখিল, আলিম বা জেএসসি, জেডিসি, এসএসসিসহ সরকারি বোর্ডে পরীক্ষা দিয়েছেন বা দিতে ইচ্ছুক- এমন কেউ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কোন প্রকার বাধা-বহিষ্কার, হুমকি-ধমকির সম্মুখীন হলে আমাদের অবহিত করুন। আমরা আপনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কারণ শিক্ষা হল একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। তাতে বাধা প্রদান একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। যেভাবে কেউ স্কুল-কলেজ, ভার্সিটিতে পড়ে কওমি বা আলিয়ায় পড়ে কিংবা পরীক্ষা দেয়ার অধিকার রাখে, ঠিক তেমনি যে কেউ কওমিতে পড়ে আলিয়া বা স্কুল-কলেজ, ভার্সিটিতে স্টাডির পূর্ণ সুযোগ রাখে। এটা তার ন্যায্য অধিকার। এমনকি প্রাইমারি কিংবা মাধ্যমিক লেভেলে কোন কর্তৃপক্ষ বাংলা ও আরবি ছাড়া উর্দু শিখতে এবং শেখাতে বাধ্য করতে পারেন না। তারপরও মাদরাসার স্বাভাবিক কার্যক্রম কিংবা পাঠদান শুধু উর্দু হলে আমাদের অবহিত করুন। আমরা আইনি ব্যবস্থাসহ এসব কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর।
তাই নির্ভয়ে এগিয়ে চলুন। জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করুন। মেধা বিকশিত করুন। দেশ ও জাতির জন্যে সেরা ব্যক্তিত্বরূপে নিজেকে তৈরি করুন।
এ বিষয়ে আমরা শাইখুল ইসলাম আল্লামা তক্বী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম এর পরামর্শ নিয়েছি। বাংলাদেশি হয়ে উর্দুর পিছনে দৌড়ানোর বিষয়ে তিনি আমাদের তিরস্কার করেছেন। বলেছেন, আমি নিজে দারুল উলূম করাচিতে পড়ার পাশাপাশি করাচি ল’কলেজে স্টাডি করেছি। ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রীও নিলাম। কেউতো আমাকে তিরস্কার করলো না। দারুল উলূম করাচিতে মেট্রিক পাশ না হলে উপরের ক্লাসে দাখেলা নিষিদ্ধ সেই কবে থেকে। বাংলাদেশের কওমি কর্তৃপক্ষের অদূরদর্শিতা, বিচক্ষণহীনতা এবং দেশপ্রেমহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সিলেবাস ও জামানার জরুরত সংক্রান্ত কোন সেমিনার বা আলোচনার সুযোগ হলে বিস্তারিত মতামত পেশ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।