এহসান বিন মুজাহির, মৌলভীবাজার :: মৌলভীবাজার শহরের জামেয়া রাহমানিয়া টাইটলে মাদরাসায় বুধবার (২৪ ফ্রেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় মাদরাসায় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইন্ধনে হক্কানী আলেম বিদ্বেষী কওমী মাসলাক বিরোধীরা হামলা চালিয়েছে। এসময় তারা ৫০-৬০ জন সন্ত্রাসী মাদরাসার গেইট ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে মাদরাসার শিক্ষক ছাত্রদের উপর নিপীড়ন চালায় এবং শ্রেণীকে ঢুকে পিটিয়ে আহত করে মাদরাসার শিক্ষক ছাত্রদের। আহত শিক্ষক-ছাত্ররদেরকে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা হাসপাতাালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া মাদরাসার হিফজখানার শিশু ছাত্রদের কিল ঘুষি মেরে আহত করা হয়। এ সময় কওমী মাদরাসা বিদ্বেষীরা পবিত্র কুরআন শরিফ, হাদিসের কিতাবসহ দরসের অন্যন্য কিতাবগুলো মাটিতে চুড়ে ফেলে। চরম অবমাননা করে কুরআন-হাদিসের। মাদরাসার প্রধান গেট, হিফজখানার টিনসেট ঘর, প্রিন্সিপালের গাড়ি (লাইটেস), মটর সাইকেল, মাদরাসার গ্রিল ও দরজা-জানালা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মাদরাসার হামলার ব্যাপারে মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী বলেন, কওমী মাসলাকের বিরোধীরা (বিদআতীরা) স্থানীয় প্রভাবশালী আাওয়ামীলীগ নেতার নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন সন্ত্রাসীকে সাথে নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আমার গাড়ি, বাড়ি, মাদরাসার হিফজখানার টিনসেট ঘর, মাদরাসায় রাখা মটর সাইকেল, মাদরাসার দরজা-জানালঅ-গেট ভাঙচুরসহ আরও কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল নষ্ট করে। মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকের উপর ব্যাপক মারধর করে। এত মাদরাসার কয়েকজন শিশু ছাত্রসহ শিক্ষক আহত হয়েছেন। ঘটনার সুত্রপাত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে করে পরে জানানো হবে।
মাদরাসার হামলার ব্যাপারে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক বাসিন্দা ও মাদরাসার ছাত্র,-শিক্ষক জানান, গত সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাহমানিয়া মাদরাসার বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন ছিলো। সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর আহব্বায়ক মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিবসহ আনেকেই বক্তব্যে সরকারের ইসলামবিরোধী কর্মের সমালোচনা করেন। জুনাইদ আল হাবিব ঈদে মিলাদুন্নবীর ‘পালনীয় নয়’ বলে ‘সিরাতুন্নবীর পক্ষে’ কুরআন হাদিসের আলোকে বক্তব্য রাখেন, উপস্থিত অন্যান্য বক্তারাও ভন্ডপিরদের বিরুদ্ধেও কথা বলেন। মুলত ওয়াজের বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই মাদরাসায় হামলার কারণ। ধারণা করা হচ্ছে ইসলাম বিরোধীদের বিরোধীতা ও ভ্রান্তদের ভ্রান্ত বলাই হামলাকারীরের আক্রোশের শিকার দ্বীনি মাদরাসা। এখনও (সাড়ে বারোটা) মাদরাসায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মাদরাসার আলেমগণ ঘটনাস্থালে উপস্থিত রয়েছেন।
Komashisha


