লাবীব আব্দুল্লাহ
তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের মহড়া?
আরব বসন্ত৷ তিউনিসিয়া থেকে ইয়েমান৷ লিবিয়া থেকে সিরিয়া৷ আরব বসন্তের মাতাল হাওয়া থমকে দাঁড়ায় সিরিয়ায়৷ যুদ্ধের দামামা৷ গৃহযুদ্ধ৷ হত্যা লুন্ঠন৷ নারী শিশু নির্যাতন৷ পরাশক্তির দাবিদারদের আগমন৷ দাইশের রহস্যময় ভূমিকা৷ হিজবুল্লাহ ও ইরানের আসল চরিত্রের প্রকাশ৷ রাশিয়ার আগ্রাসন সিরিয়ায়৷
নিরীহ নাগরিকদের উদ্বাস্তু জীবন তুর্কী থেকে জার্মানে৷ ইউরোপ থেকে এশিয়ায়৷ আয়লানের ভাসমান দেহ সাগরে৷ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় এবার ইসলামী সামরিক জোটের স্থল হামলার প্রস্তুতি৷ তাহলে কি কিয়ামত সন্নিকটে? তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের প্রথম ধাপ৷ এবার কি তাহলে ব্যবহৃত হবে এটম ও হাইড্রোজেন বোম৷ ভূগোলময় পৃথিবী কি তাহলে মানবশূণ্য হবে! সৌদী আরব ইয়ামেনে যুদ্ধ করছে৷ এবার যুদ্ধের নতুন ফ্রন্ট সিরিয়ায়৷ তুরস্ক কি আবার যুদ্ধ করবে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ?
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে জার্মান জাপানের সাথে মিলে লড়াই করেছে তুর্কীরা৷ পরিনাম ভালো হয় নি৷ পরাজিত৷ জাপানে হিরোশিমা নাগাসাকিতে আমেরিকার এটম বোম বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে মানুষ ও মানবতার৷ ঠান্ডা লড়াই চলেছে সাত দশকে আমেরিকা বনাম রাশিয়ার৷ নব্বইয়ের দশকে শীতল যুদ্ধের সামিয়িক অবসান হলেও আবার জ্বলছে যুদ্ধের অনল৷ ইউক্রেনে শক্তির মহড়া৷ এবার সিরিয়ায় সব শক্তি জমায়েত হচ্ছে৷
তাহলে কি শুরু তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ৷ আরব ইসরাইল লড়াই আরবরা পরাজিত হয়ে ছিলো৷ এবার আরব আজম মিলে যাচ্ছে কসাই বাশশারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে৷ পৃথিবী কি শুধু এইসব যুদ্ধই দেখবে? ইসলামী সামরিক জোটের দেশগুলো কি ইসলামী চেতনায় উজ্জীবিত? কেন আরেকটি যুদ্ধ পৃথিবীজুড়ে! এইবারের যুদ্ধে অত্যাধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার হবে৷ পৃথিবী কি তাহলে ধ্বংসের দিকে এগুচ্ছে?
গত শতকে তিন নাটক
বিগত শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে তুরস্কের খেলাফতা বিলুপ্তি৷ মুসলিম উম্মাহকে খেলাফতশূণ্য করার ষড়যন্তে এগিয়ে আসে কামাল৷ কামাল আতাতুর্ক৷ আতা অর্থ পিতা৷ আতাতুর্ক অর্থ জাতির পিতা৷ এই জাতির পিতা আরবী নিষিদ্ধ করে তুরস্কে ৷ নিষিদ্ধ করে হিজাব৷ বাধ্য করে ইউরোপীয় পোষাক৷ আরবীতে আজানও নিষেধ করে৷ এই ট্র্যাজেডি ছিলো ১৯২৪ সালে৷
গত শতকের চল্লিশের দশকে মধ্যপ্রাচ্যে জন্ম নেয় অবৈধ সন্তান ইজরাইলের৷ এই নাটক হয় ১৯৪৮ সালে৷ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এটি মুসলিম উম্মাহর জীবনে বিপর্যয়ের করুণ কাহিনী৷ আপন ভিটা মাটি ছাড়তে হয় আরবদের৷ ফিলিস্তিনের ভূমি জবর দখল করে ইজরাইল৷ জায়নবাদী ইহুদীদের গ্রেটার ইজরাইলের ছক বাস্তবায়ণ শুরু হয়৷ কুরআনে সুরা বাকারাজুড়ে ইহুদীদের অপকর্মের বিবরণ৷ সুরা ফাতেহায় যারা মাগদুব আলাইহিম৷ এই মাগদুবরা দখল করে মুসলমানের প্রথম কিবলা৷ বাইতুল মুকাদ্দাস৷ পরা শক্তির দাবীদাররা ভাগ করে ফিলিস্থিনকে৷ মাজলুম আরব উদ্বাস্তু হতে থাকে৷ যুদ্ধ হয় আরব ইজরাইল৷ যুদ্ধ নাটকে আরেক পলাশী ঘটে আরবে৷
সামরিক শক্তিতে বলিয়ান হয় ইজরাইল৷ ঘুমিয়ে থাকে মুসলিম উম্মাহ৷ তাঁরা গোপনে এটম বানায় মুসলিম জাহান তখন মাযহাব ও মাসলাক নিয়ে নিজেরা লড়তে থাকে৷ ওয়াহাবী লাওয়াহাবী৷ দেওবন্দী বনাম বেরলুবী৷ মাযহাবী বনাম লা মাযহাবী৷ সালাফী বনাম খালাফী৷ মুসলিম উম্মাহ নামায বলবে না সালাত বলবে তা নিয়ে লড়াই৷ সিয়াম বলবে না রোযা বলবে তা নিয়ে যুদ্ধ৷ আল্লাহ কি আরশে না জমিনে তা নিয়ে ভলিয়ম লেখা৷ নামাযে আমীন সরবে বলবে না নীরবে তা নিয়ে বাহাস৷ নামাযে হাত কি নাভির নীচে না বুকে রাখবে তা নিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ৷ দাল্লিন বলবে জাল্লিন বলবে তা নিয়ে খুনাখুনি৷ এই ফাঁকে ইংরেজরা জন্ম দেয় আরেক সন্তান কাদিয়ানী৷ জন্ম হয় লাখ লাখ মাজারপুজারী৷ তলে পীরের ব্যবসা৷ লালসালুর পতাকা৷ হাড়ি পাতিলে খিচুড়ি পাকানোর হিড়িক৷ আরবে ভূগর্ভে আবিষ্কার হয় তৈল সম্পদ৷ আরব শাসকরা কেবলা বানায় ইউরোপকে৷ আমেরিকাকে বসায় রবের আসনে৷ বিলাসিতায় বিমান নিয়ে হলিউড বলিউডে৷ লড়াই করে কে সমাজতন্ত্রি৷ আরবে সাদ্দাম, আনোয়ার সাদাত ও গাদ্দাফীরা পুজা করে হিজবুল বাআছের৷
আরব ভুলে যায় খায়বরের কথা৷ উহুদ খন্কও বিদায় নেয় তাদের জীবন থেকে৷ আরব শাসকদের কারোর কিবলা বাবা আমেরিকা কারোর কিবলা বাবা সোভিয়েত ইউনিয়ন৷ রাশা৷ রাশিয়া৷ আরবরা কেউ সমাজতন্ত্রী কেউ রাজতন্ত্রী৷ বিদায় ইসলাম৷ বিলাসিতা ও আরব সমার্থক শব্দ হয়ে ওঠে৷ ওদিকে ইজরাইল বা ইসরাইল পরাশক্তি হতে থাকে৷ ইহুদী নাসারার আজন্ম শত্রুতা ভূলে তারা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে জোট হয়৷ জাতিসংঘে পাঁচ রাষ্ট্রের ভেটো পাওয়ার থাকলেও সাতান্নটি মুসলিম রাষ্ট্রের এইসব ভেটোর ক্ষমতা নেই৷ জাতিসংঘে দক্ষিন সুদান, পূর্ব তিমুরের সমস্যার সমাধান থাকলেও কাশ্মির কোনো সমাধান নেই৷ এইখানে কোনো গনভোটও নেই৷
গত শতকের নব্বইয়ের শুরুতে ইরাকের সমাজতন্ত্রী শাসক সাদ্দাম হোসেন দখল করে কুয়েত৷ যুদ্ধের উন্মাদণায় মাতাল সাদ্দাম৷ সৌদী আরব ভয় পেয়ে ডেকে আনে তাদের পিতা ও দাদা এবং বিগবস আমেরিকাকে৷ হাসতে হাসতে মধ্যপ্রাচ্যে ঘাটি বানায় সেই খায়বরে পরাজিত শক্তি৷ এই নাটক ১৯৯১ সালে৷ এরপর তিন দশক৷ এরপর টুইন টাওয়ার নাটক।
তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধে মানুষ বেঁচে থাকবে কি!
আগের যুগে যুদ্ধ করা হতো তীর তরবারিতে৷ মল্ল যুদ্ধ৷ সরাসরি যুদ্ধ৷ পৃথিবীতে প্রথম লড়াই হাবিল কাবিলের মাঝে৷ কাবিল হত্যা করে হাবিলকে৷ এই লড়াই নারীকে কেন্দ্র করে৷ হাবিল কাবিল হলো হযরত আদম আলাইহিস সালামের সন্তান৷ এই লড়াইয়ে হাবিল সবর করেন৷ প্রতিরোধ করেন নাই হাবিল৷
এরপর লড়াই ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে৷ সমাজে সমাজে৷ গোত্রে গোত্রে৷ জাতিতে জাতিতে৷ দেশে দেশে৷ এই লড়াইগুলো সম্পদ ও ভূমি দখলের উদ্দেশ্যে৷ এই যুদ্ধ শক্তি প্রদর্শণীর মানসে৷ এই হত্যা যজ্ঞ বিরত্ব প্রমাণের উদ্দেশ্যে৷ এই লড়াই হক ও বাতিলের মাঝে৷ দুনিয়াতে মানুষ আসার আগেও লড়াই হয়েছে মানুষ ও শয়তানের লড়াই৷
দুনিয়াতে হক বনাম বাতিলের লড়াই চলবে তা কিয়ামত৷ পরিনামে বাতিল পরাজিত হবেই৷ ইন্নাল বাতিলা কানা যাহুকা৷ মিথ্যা অপসৃত হবেই অবশেষে৷ ফেরাউন থেকে বুশরা দুনিয়ায় পরাজিত হবেই৷ পুতিনদের পরিনাম একই৷
নবীজী ছিলেন শান্তির দূত৷ নবীজীকে তেরো বছর বহুমুখী নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে৷ হাবাশা ও মদীনায় হিজরত করতে হয়েছে সাহাবায়ে কেরামের সুমহান কাফেলাকে৷ আবু জাহেলরা পরাজিত হয়েছে বদরে৷ নবীজী প্রতিরোধ করেছেন খন্দকে৷ তাবুকে তিনি লংমার্চও করেছেন৷ ইকদামী লড়াইও করেছেন এবং দিফায়ী৷ প্রতিরোধমূলক ও আক্রমনাত্মক লড়াই করতে হয়েছে শান্তির নবীকেও৷ সাহাবাহন রুহামা বাইনাহুম ও আশিদ্দাউ আলাল কুফফার ছিলেন৷ বর্তমান মুসলিম জাহান এর উল্টো৷
এই লড়াই সাহাবায়ে কিরাম, তাবিয়িন, তাবে তাবেয়িন ও আয়েম্মায়ে মুজতাহিদও করেছেন৷ এই লড়াই কেউ ইসলামের সীমানা রক্ষায় করেছেন৷ কেউ ইসলামী চিন্তার সীমানার হেফাজতে জীবন দিয়েছেন৷ কিয়ামত তক একটি তায়েফায়ে মানসৱরা লড়াই করে যাবে হকের উপর অটল থেকে৷ এই যুগেও লড়াই করছেন এই হকপন্থী দল৷
তবে এই দল নানা দেশে নানা নামে৷ নানা সেক্টরে৷ অনেক দল আবার জেহাদের নাম নিয়ে জেহাদ করলেও মূলত তারা আব্দুল্লাহ ইবনে সালুলের দল৷ কেউ কেউ হযরত উমর রাযিআল্লাহকে হত্যাকারী আবু লুলুর দল৷ কেউ কেউ ভাড়াটে মুজাহিদ৷ কেউ কেউ জেহাদের নামে সন্ত্রাস করে৷ কেউ কেউ জেহাদের অপব্যাখ্যা করে নিরীহ মুসলিমদের হত্যা করে৷ কেউ কেউ নানা দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভাড়াটে খাটে এবং নিজেদেরকে নাম দেয় মুজাহিদ৷ মুজাহিদ নাম দিলেই প্রকৃত মৱজাহিদ হয় না৷ এই জিহাদ হতে হবে কুরআন ও সুন্নাহতে বর্ণিত জেহাদনীতির আলোকে৷ শিশু নারী হত্যা করে এবং মসজিদে বোমা মেরে জেহাদ হয় না৷ আল জিহাদু মাদিন হিসেবে দুনিয়ায় এই জেহাদ বাকি থাকবে এবং প্রকৃত মুজাহিদও থাকবে প্রাশ্চাত্য বিরোধীতা করলেও৷ তবে জিহাদ সন্ত্রাস নয়৷ জিহাদ সব সন্ত্রাস প্রতিরোধ করার হাতিয়ার৷
এই জিহাদ সীরাতের আলোকে বুঝতে হবে৷ হাদীসের কিতাবে সিয়ার ও মাগাজির অধ্যায় পড়লে ইসলামের জিহাদ থিউরী ক্লিয়ার হবে৷ জিহাদ ফরজ কিন্তু সন্ত্রাস হারাম৷ অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা হারাম ইসলামে৷ এই হারামী কাজ করে মুসলমান দাবি করা কি ঠিক? তবে দেশে দেশে যারা আক্রান্ত এবং যাদের দেশের সীমানা আক্রান্ত অপশক্তির দ্বারা তাদের প্রতিরোধ লড়াই সন্ত্রাস নয়৷ যে পরিারে দুস্যরা আঘাত করে সেটির প্রতিরোধ সন্ত্রাস হয় কী করে? যাদের দেশ আক্রান্ত সেই দেশের নাগরিকরা যদি সীমানা রক্ষায় জীবনবাজী রাখে তাহলে সেটি যদি সন্ত্রাস হয় তাহলে আমেরিকার স্বাধীনতার লড়াই কি হবে তাহলে? ভারতীয় উপমহাদেশের দুই শত বছরের সংগ্রাম কি তাহলে সন্ত্রাস? বাংলাদেশের অভ্যুধয় হয়েছে রক্ত সাগর পেরিয়ে৷ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা এনেছে যারা তারা বীর৷ তারা শহীদ৷ এদের যুদ্ধ কে সন্ত্রাস বললে সেটি হবে দেশদ্রোহী অপরাধ৷ এই দেশের মিডিয়াকে আন্যদেশের প্রতিরোধ যুদ্ধ ও সীমানা রক্ষার লড়াইকে সন্ত্রাসী কাজ বললে পশ্চিমা মিডিয়ার অন্ধ অনুকরণ হয়৷ এই দেশের বুদ্ধিজীবের মনে রাখতে হবে ইরাকীদের ইরাক, আফগানীদের আফগান, ফিলিস্তিনীদের ফিলিস্তিনের সীমানা রক্ষার সংগ্রাম সন্তাস নয়৷ তাহলে আমাদের সংগ্রাম আমাদের ১৯৪৭, আমাদের ১৯৭১ আমাদের দেশের হাজি শরীয়তুল্লাহর যুদ্ধকে অপমান করা হয়৷ এই দেশের সাংবাদিকরা ঢালাওভাবে অন্যদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সন্ত্রাসী কাজ বলে চালিয়ে দিয়ে কলাম লিখেন এটি কি ইনসাফ? বুদ্ধি কি তা বলে?
পৃথিবীর সকল জালিমকে প্রতিরোধ করতে হবে তা হোক ধর্মের নামে বা সম্রাজ্যবাদের নামে বা সমাজতন্ত্রের নামে৷ জাতিসংঘকে মুসলিমদের উপর জুলুমকে উপলব্দি করতে হবে৷
আজকের সিরিয়ায় আমেরিকা এসেছে৷ এসেছে রাশিয়া ইরান৷ আসছে সৌদী তুর্কি জোট৷ জাতিসংঘ কী করলো তাহলে? ওআইসি কোথায়? একটি দেশের এক বাশশার আল আসাদের জন্য এতো মানুষের রক্তপাত! উদ্বাস্তু অমানবিক৷ নারী শিশু হত্যা! কথিত আইএস কি তাহলে সারা পৃথিবীর সকল শক্তিরচে বেশি সামরিক শক্তির অধিকারী! রাশিয়া কেন সিরিয়ার সাধারণ মানুষ মারছে?
আমেরিকা কী করে সিরিয়াতে?
ইরান কেন নিজের মুখোশ খোলে ফেলল? হিজবুল্লাহর জেহাদ কি সিরিয়ানদের হত্যা করা? হাসান নাসরুল্লাহর রক্তপিপাসা সাধারণ সিরিয়ানদের হত্যা করে মিটাতে হয় কেন? পাশেই ইসরাই কিন্তু কেউ কি সেখানে তাকাতে পারে না? সেই ১৯৪৮ সাল থেকে ফিলিস্তিনিদের উপর জুলম হলো পৃথিবী এই আরবদের জন্য কী করেছে? পৃথিবীতে শোনা যাচ্ছে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আওয়াজ৷ আগের দুই বিশ্ব যুদ্ধ হয়েছে ইউরোপের মাটিতে৷ এবারের তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ কি তাহলে সিরিয়াকে কেন্দ্র করে? এবারের যুদ্ধে পৃথিবীতে শুরু হবে ইযা যুলযিলাতের দৃশ্য! মানুষ নামের প্রাণী বেঁচে থাকবে কি? চলবে….