অনলাইন ডেস্ক :: ‘ইসলাম বিতর্ক’ বই প্রকাশের জন্য তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় বইটির লেখক-প্রকাশকসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এর আগে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় একটি মামলা (নম্বর-২৩) দায়ের করেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা।
মঙ্গলবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরীর আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক জাফর উল্লাহ বিশ্বাস।
শুনানি শেষে আদালত শামসুজ্জোহা মানিকের পাঁচ দিন, ছাপাখানা শব্দকলির মালিক ফকির তসলিম উদ্দিন কাজলের দুই দিন ও ব-দ্বীপের বিপণন কর্মকর্তা শামসুল আলম চঞ্চলের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রকাশক-মুদ্রাকরদের পক্ষে আইনজীবী উদয় ও রফিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন। তবে সেই আবেদন হাকিম নাকচ করে দেন।
‘ইসলাম বিতর্ক’ বইটিতে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ হানার উপাদান রয়েছে দাবি করে বাংলা একাডেমির অনুমতি নিয়ে সোমবার রাতে একুশের বইমেলায় ব-দ্বীপের স্টলটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
এরপর রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রকাশনা সংশ্লিষ্ট ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানোর আগে শাহবাগ থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার আব্দুল বাতেন।
তিনি বলেন, সোমবার ৬ কপি বই জব্দ করা হয়েছিল, গ্রেপ্তারের সময় আরো ৭৫ কপি জব্দ করা হয়। আমরা পড়ে দেখেছি, বইটিতে সাংঘাতিকভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে।
এই বই প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রকাশকের কোনো দুরভিসন্ধি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘ইসলাম বিতর্ক’ শিরোনামে বইটিতে ইসলাম ধর্ম এবং নবী মোহাম্মদ সম্পর্কে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য রয়েছে জানতে পেরে তারা দ্রুত এর প্রকাশনা সংস্থা ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। স্টল থেকে বেশ কিছু বইও জব্দ করা হয।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান জানান, বইটিতে মহানবী সম্পর্কে এমন কুৎসিত ও জঘন্য কথাবার্তা রয়েছে যার কারণে বইমেলা চালিয়ে যাওয়াটাই কঠিন হয়ে পড়েছিল।