মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এ অভিযোগ করা করেন।
২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের পর সেনাসমর্থিত সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করার কথা স্বীকার করার পর মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রদ্রোহসহ প্রায় ৪০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি মানহানি মামলায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
মানববন্ধনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম দিগন্ত টিভি বন্ধ, মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদের মতো সাংবাদিকদের আটকে রাখা হয়েছে। মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে মিডিয়ার স্বাধীনতাকে হরণ করার চেষ্টা চলছে।
আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে মাহমুদুর রহমানের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছিলাম। তিনি ন্যায়বিচার করেছিলেন কিন্তু এই সরকার আবার নতুন নাটক করে আবার এক মামলায় তাকে আটক রেখেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিছুদিন আগে বলেছে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে, দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। বাংলাদেশে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। এসব আলামত দেশের জন্য ভালো না।
অবিলম্বে কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি এবং বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার দাবি জানান রুহুল আমিন গাজী। সব মামলায় জামিন সত্ত্বেও মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি না দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো ও রিমান্ড আবেদনের প্রতিবাদও জানান তিনি।
বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুদ্দিন হারুনের সভাপতিত্ব মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী।
কওমীনিউজডটকম/এম