উলামায়ে দেওবন্দ বৃটিশ খেদাও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। দেশ মাতৃকার প্রেমে সবচেয়ে বেশি রক্ত দিয়েছে উলামায়ে দেওবন্দের অনুসারীরা। নিঃস্বার্থ এমন রক্ত দান আর কোন গোষ্ঠী দেখাতে পারবে না। রেশমী রুমাল আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের এক প্রান্তের ফরায়েজী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এদেশের হকপন্থী উলামায়ে কেরাম। আজকে যারা ইসলামী আন্দোলনের নামে বগড় বগড় করে তখন তাদের জন্মই হয়নি।
পাকিস্তান গড়ার আন্দোলনে এদেশের উলামায়ে কেরাম এবং ইসলামী চিন্তাবিদদের সমন্বয় ঘটেছিল। ফলে আজকের বাংলাদেশ কলকাতার ভ্রাম্যন্যবাদীদের খপ্পর থেকে স্বাধীন হতে পেরেছিল।
বাংলাদেশ আন্দোলনে এদেশের অনেক আলেম সরাসরি পৃষ্টপোষকতা করেছেন। কেউ কেউ ভারত আতঙ্কে নিরব থেকেছেন। কোন কওমী আলেম কোন ধরণের যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না। ভারতভীতির কারনে 71এর মুক্তিযুদ্ধে উলামায়ে কেরাম নিরব থাকার কারনে উলামাদের মধ্যে রাজনৈতিক ময়দানে এক প্রকার স্থবিরতা চলে এসেছিল। হাফেজ্জী হুজুর রহ. সে নিরবতাও ভেঙ্গে দিয়েছেন।
কওমী উলামাদের একটি ব্যর্থতা হলো রাজনৈতিক ময়দানে নোংরামীর কারনে তাদের অংশগ্রহনটা সীমিত করে ফেলেছিলেন। ৪দলীয় জোটের মাধ্যমে রাজনৈতিক শুন্যতাকেও তারা গুছিয়ে এনেছিলেন। ২০১৩ সালের হেফোজতের জাগরণটাতো রীতিমতো বিপ্লব ঘটে গেছে। হেফাজত নামক ব্যানারটি এটা প্রমাণ করে যে, এদেশের কওমী উলামায়ে কেরাম এক ও অভিন্ন। সাময়িক স্বার্থের দ্বন্ধে তারা বিভক্ত হলেও ইসলামের উপর যে কোন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারা পাহাড়সম ঐক্যবদ্ধ শক্তি।
আর এ কারনেই আজকের তথাকথিত মোড়লদের মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। টাকলো পাকলোদের দিয়ে উল্টা-পাল্টা বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়। আজ লাল সবুজের পতাকা উলামাদের গায়ে দেখে অনেকের জ্বালা ধরে গিযেছে। কওমীদের তরুন প্রজন্ম আগামী দিনের জাতির কর্ণধার। তাদেরকে রুখে সাধ্য কার?