ব্যঙ্গের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে কওমী মাদরাসা৷ আর এ সকল কওমী মাদরাসাগুলোই জঙ্গীবাদের আস্তানা ৷ জঙ্গীবাদ ঠেকাতে হলে কওমী মাদরাসার অগ্রগতি রুখতে হবে৷ আওয়ামী লীগের মধ্যে সব চেয়ে দুর্মুখা কুলাঙ্গার রাজাকার পরিবারের সদস্য টাকলু কামরুলের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য সহজভাবে গ্রহন করার সুযোগ নাই৷
আওয়ামী লীগের মুখপাত্রের ভূমিকা পালনকারী হানিফ আর দুর্মুখা টাকলু কামরুলের বক্তব্য আওয়ামী সর্বোচ্চ মহলের বিশেষ ইঙ্গিতবাহী হয়ে থাকে৷ আওয়ামী লীগের নতুন কোনো রাজনৈতিক প্লানেরই আভাস পাচ্ছি টাকলুর কথায়৷ কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে এমন আক্রমনাত্মক কথা বলার মত ব্যক্তি বলে রাজাকার পরিবারের সদস্য টাকলু কামরুলকে অন্ততঃ মনে হয় না৷ এখানে স্পষ্ট আলামত পাওয়া যাচ্ছে সরকারের উদ্দেশ্যমূলক দুরভিসন্ধি৷
সরকার চাইছে কওমী মহল ময়দানে নামুক৷ এটাকে কেন্দ্র করে নতুন কোনো পরিকল্পনা এটেছে তারা৷ এ জন্য বলির পাঠা হলো টাকলু৷ আওয়ামী লীগ হয়তো হুজুরদেরকে মাঠে নামিয়ে নিজেদের নতুন-পুরাতন ইসলামী দালালগোষ্ঠীকে সাইড দিতে চাচ্ছে৷ রাজনীতির আলো-আঁধারের খেইল যারা খেলতে অভ্যস্থ তাদের জন্য সামনে শুভ দিন আসছে৷ তাদের হাতে ময়দান গরম করার এজেন্ডা তুলে দিয়ে লাইম লাইনে আনা হবে৷ এরপর পাতানো মেকিং নির্বাচনের গেম হবে৷ সেখানে এমপি-মন্ত্রী হওয়া যাবে সহজেই৷
তবে সেটা যাই হোক, সম্মিলিতভাবে যেন হয়৷ ব্যক্তি বিশেষ বা গোষ্ঠী বিশেষের স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার যেন না হতে হয়৷ লড়াইও যেন সম্মিলিতভাবে হয়৷ আঁতাত হলেও যেন বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে নিয়ে হয়, এই আমাদের মত আম জনতার প্রাণের দাবি৷
ময়দানে তো এখন নামতেই হবে! সরকার কী উদ্দেশ্যে এই ঢিল আমাদের প্রতি ছুড়ে মারল তার নানা রকম বিশ্লেষণ হতে পারে৷ কিন্তু কোনো হিসাব ছাড়াই টাকলু কামরুলকে প্রতিরোধ করতে হবে৷ তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করতে হবে৷
জেলায় জেলায় জেগে ওঠো কওমী জনতা! রুখে দাড়াও রাবিশ-খবিশদের বিরুদ্ধে!!
লেখক : আলেম, লেখক, রাজনীতিবিদ।