বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১২:৩১
Home / খোলা জানালা / সংবাদ সম্মেলনের আগেই বাড়ি ঘিরে ফেলে র‌্যাব-বিজিবি : রাজপথে সংবাদ সম্মেলন জেলা বিএনপির

সংবাদ সম্মেলনের আগেই বাড়ি ঘিরে ফেলে র‌্যাব-বিজিবি : রাজপথে সংবাদ সম্মেলন জেলা বিএনপির

1909590_452939384906301_4897304739212849058_nমুনশি আবু আরফাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ১১ জানুয়ারি ঘটে যাওয়া সহিংসতার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন ডাকে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির মোড়াইলস্থ বাসভবনে সোমবার বেলা ১১টায় এই সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে তার বাড়ি ঘিরে ফেলে চার প্লাটুন বিজিবি, এক প্লাটুন র‌্যাব ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ। জলকামান, প্রিজন ভ্যানসহ সব সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে অনেকটা ‘কমান্ডো স্টাইলে’ জায়গা পরিবর্তন করে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি। সেখানে লিখিত বক্তব্যে সংঘর্ষে মাদরাসাছাত্র হাফিয মাসউদুর রহমান নিহতের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হয়। একই সঙ্গে জেলা বিএনপির অভিযোগ, ‘উদোর পি-ি বুদোর ঘাঁড়ে’ দিতেই এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপিকে জড়ানো হচ্ছে।
জানা গেছে, মূলত জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির মোড়াইলস্থ বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। কিন্তু সকাল থেকে কচির বাড়ির সামনে ২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চার প্লাটুন বিজিবি ও এক প্লাটুন র‌্যাবসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়। রাখা হয় প্রিজন ভ্যান, জলকামানসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। বিষয়টি টের পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকায় পাওয়ার হাউজ রোডে জড়ো হন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। সেখানেই তারা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে দ্রুত জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনিয়ে সটকে পড়েন।
লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন বলেন, গত ১১ জানুয়ারি বিকেলে কওমী ছাত্রঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি খালেদ মোশাররফ কাউতলী যাওয়ার পথে জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে বিজয় টেলিকমের মালিক রনির সঙ্গে বাকবিত-া হয়। এ খবর সারা শহরে ছড়িয়ে পড়লে মাদরাসা ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ হয়। তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে মাদরাসায় হামলার সময় ব্যবহৃত গুলি ও টিয়ারশেল জায়েয করার জন্যে বিএনপির বিরুদ্ধে সাজানো ও ভুয়া মামলা দেয় পুলিশ।’
খোকন বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোনো মানুষই বলতে পারবে না ওই সময় বিএনপি শহরে কোনো মিছিল করেছে কিংবা কাউকে উস্কানি দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ, স্টিল ছবি পর্যবেক্ষণ করলেই বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে। সেটি না করে পুলিশ ‘উদোর পি-ি বুদোর ঘাঁড়ে’ চাপাতেই বিএনপিকে এ ঘটনায় জড়িয়েছে।’ জহিরুল হক খোকন পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। একই সঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে হয়রানি না করার আহবান জানান। তিনি মাদরাসা ছাত্র হাফিয মাসউদুর রহমানকে হত্যার যেমন নিন্দা জানিয়েছেন,  তেমনি এ ঘটনার জের ধরে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুরেরও তীব্র নিন্দা জানান।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...