শেমন্তঘর ছাত্র উলামা ঐক্যপরিষদ কর্তৃক ‘শহীদ মাসউদুর রহমানের স্মরণে’ আয়োজিত শোকসভায় নেতৃবৃন্দমুনশি আবু আরফাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ::
পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রসীরা নির্মম নির্যাতন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার হেদায়াতুন্নাহু জামাতের মেধাবী ছাত্র হাফিয মাসউদুর রহমানকে হত্যা করেছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। প্রকৃত অপরাধীদের ফাঁসি চাই। তিনি সরকারের প্রতি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, অপরাজনীতির সকল খেলা বন্ধ করুন। অন্যথায় সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।
গতকাল ১৭ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শেমন্তঘর ছাত্র উলামা ঐক্যপরিষদ কর্তৃক ‘শহীদ মাসউদুর রহমানের স্মরণে’ আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা শামসুল হক সরাইলী এই হুশিয়ারি দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমী বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। কিন্তু সিংহাসনে যারা বসে আছে, তাদের প্রায় সবাই নামে মুসলমান। সংসদে বসে বিজাতীয় কৃষ্টি-কালচার চর্চার আইন করে। বর্তমান সরকার ইসলাম বিদ্বেষী সরকার। যতবার ক্ষতায় এসেছে, ততবারই মুসলমানদের কলিজায় আঘাত হেনেছে। আমরা রব্বে কারীমের দরবারে এই সরকারের পতনের আপিল করছি।
শোক সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার আমাদের সাথে মিথ্যা নাটক করেছে। কোন আলেম, মাদরাসা ছাত্র অথবা তৌহিদী জনতাকে হয়রানী করা হলে আমরা বসে থাকব না। আবারো রাজপথে নেমে আসব। নিরস্ত্র ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতার এক দিনের গণআন্দোলনে যাদের ক্ষমতার মসনদে ঝাকুনি এসে যায়, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মিমাংসার পথ খুঁজে, এদের আবার কিসের বড়াই!
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সংগ্রামী মহাসচিব কোটি আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী গত ১৫ জানুয়ারি লালদিঘী ময়দানের ইসলামি সম্মেলনে স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার আলেম-উলামা, মাদরাসার ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে হয়রানী করা হলে বাংলাদেশের ৬৪ জেলাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিণত করা হবে। যার দায়ভার সরকার ও প্রশাসনকেই নিতে হবে।
‘শহীদ মাসউদুর রহমানের স্মরণে’ আয়োজিত উক্ত শোকসভায় শেমন্তঘর ছাত্র উলামা ঐক্যপরিষদের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় উলামায়ে কেরাম, ছাত্র ও তৌহিদী জনতা উপস্থিত ছিলেন।