মুনশি আবু আরফাক :: মাদরাসা ছাত্র হত্যা, মসজিদ মাদরাসা ভাংচুর এবং আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজীকে হামলা ও ভাংচুরের উস্কানিদাতা দাবী করে গত ৭ জানুয়ারির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে আজ রোববার দুপুর ১২.৩০ মিনিটের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উলামা-মাশায়েখ ও তাওহিদী জনতার উদ্দোগ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন মাদরাসার প্রতিনিধি, তাওহিদী জনতা, বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড় হুজুর নামে খ্যাত আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১১ জানুয়ারি সোমবার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শত বছরের গৌরবে উজ্জিবীত জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা ও মসজিদে পুলিশ-সন্ত্রাসীদের হামলা, ভাংচুর ও এক ছাত্রের নির্মম হত্যার পর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ এবং উস্কানিদাতা হিসেবে উল্লেখ করে জেলা আওয়ামীলীগ সংবাদ সম্মেলন করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষে এহেন চরম মিথ্যাচার ও পরিকল্পিত বক্তব্যের প্রতিবাদে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।
তিনি আরো বলেন, এদেশের ইসলামী আন্দোলনর প্রাণকেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া। যুগ যুগ ধরে এদেশে ইসলাম বিদ্ধেষী চক্র ইসলাম বিরোধী কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উলামায়ে কেরাম তাওহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে সচেতনতার সাথে এর প্রতিবাদ করে থাকেন। কিন্তু গত ১৩ জানুয়ারি বুধবার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার উক্ত দূর্ঘটনার জন্য আমাকে উস্কানিদাতা হিসেবে উল্লেখ করেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
গত ১১ ও ১২ জানুয়ারি সোম ও মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা- মসজিদে হামলা, ছাত্র হত্যা ও অনান্য স্থাপনায় নারকীয় তা-ব যারা ঘটিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দুঃখ প্রকাশ করছি। যারা এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাদেরকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এর উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সরকারের নিকট আবারো জোর দাবী জানাচ্ছি। অন্যদিকে ১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ঘটনার মীমাংসার পরও কয়েক হাজার মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করা হয়েছে। উলামায়ে কেরাম, মাদরাসা ছাত্র ও তাওহিদী জনতাকে হয়রানী করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। এমনটা আমরা সরকারের কাছে আশা করি রি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল কওমী মাদরাসার ছাত্র, শিক্ষক ও তাওহিদী জনতাকে কোন প্রকার হয়রানী না করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোড় দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল কওমী মাদরাসা, উলামায়ে কেরাম, মাদরাসা ছাত্র ও জনতার বিরুদ্ধে কোন প্রকার বিষোদ্গার না করার আহবান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা কামাল উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন, মাওলানা জয়নাল আবেদীন বাকাইলী, মাওলানা লুৎফুর রহমান, আলহাজ্ব ইয়াকুব আলী, মাওলানা রিজওয়ান বিন ছগীর আহমদ, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মুফতী এনামুল হাসান, মাওলানা আল মামুন প্রমুখ