কমাশিসা ডেস্ক :: মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাণ্ডবের সঙ্গে জামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও কিছু শিক্ষক সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেছেন মাদ্রাসাটির প্রিন্সিপাল মুফতি মাওলানা মুরারক উল্লাহ।
শুক্রবার সকালে শহরের কান্দিপাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসাটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। ‘আপনারা বলছেন শিক্ষার্থী বা শিক্ষক জড়িত নয়, কিন্তু গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবি ও ভিডিওতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পোশাকে যাদের দেখা গেছে তারা কারা এবং তারা যদি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হলে আপনাদের অবস্থান কী থাকবে’- এ প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে মুবারক উল্লাহ বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলে আপত্তি নেই। আমরা এসবের নিন্দা জানাই।
আপনারা বলছেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা যুক্ত নন কিন্তু তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, এজন্য মাদ্রাসা কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করবে কি-না- আমাদের সময় ডটকমের প্রশ্নের জবাবে মুবারক উল্লাহ বলেন, যারা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের তদন্ত পূর্বক বিচার করা হোক।
পুলিশকে দুষ্কিৃতিকারী আখ্যা দিয়ে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি অভিযোগ করেন- পুলিশ ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে শুনে কিছু উশৃক্সখল জনতা শহরে ভাংচুর করে। আমরা এসবের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ঘটনার সূত্র হিসেবে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হযরত শাহজালাল ক্বওমী মাদ্রাসা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মৎস্য, প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী এড. ছায়েদুল হক কর্তৃক বন্ধ করে দেয়াকে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এর প্রতিবাদে গত রোববার ও সোমবার কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৫টা ১৫মিনিটে কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি মিছিল ও সমাবেশের নিউজ করার জন্য কাউতলীর উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে থামে। তখন বিজয় টেলিকম এর রনিসহ আরো অজ্ঞাত দুই দুষ্কৃতিকারী তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়, গালি দেয়। বিচার চাইতে পরে মার্কেটে গেলে উভয় পক্ষে হাতাহাতি হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় চলে আসে। রাতেই সদর থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস ও এএসপি সার্কেল তাপস রঞ্জন ঘোষ ও শহরের একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ মাদ্রাসায় ঢুকে হামলা চালায়। এসময় গুলি ও রাবার বুলেট ছোঁড়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে- মাদ্রাসা এদারার চেয়ারম্যান মাওলানা আশেকে এলাহী, মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মুফতি শামসুল হক, সহকারী শিক্ষাসচিব মুফতি আবদুর রহিম, শায়খুল হাদিস মাওলানা বেলায়েত উল্লাহ, নাসিরনগরের শাহজালাল মাদ্রাসা ও কওমি কমপ্লেক্সের প্রিন্সিপাল মাওলানা মাজহারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।