সাইফ রাহমান ::
ইসলামিক কালচারাল সোসাইটি, সিলেট’র উদ্যোগে আগামী ১৩ জানুয়ারি জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক ইসলামি সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে রাখা হয়েছে আওয়ামীলীগ নেতা, সাবেক মেয়র বদর উদ্দীন আহমদ কামরান সাহেবকে! গান গাইবেন জাগ্রত কবি মুহিব খানসহ আরো অনেকেই।
পোস্টারে আওয়ামীলীগ নেতার নাম দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন! বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করতে দ্বিধাবোধ করছেন না।
মূলকথা হলো! এখানে উদ্যোক্তারা উনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এই কারণে যে, উনি আওয়ামীঘেষা লোক। নাস্তিকতা সমর্থনকারীরা এরকম একটা ইসলামিক প্রোগ্রামে আসলে, স্টেইজে বসে ইসলামি সংস্কৃতির রূপরেখার আলোচনা শুনলে হয়তো মনের ভেতর ঈমান জাগ্রত হতে পারে। মনোমুগ্ধকর ইসলামি সঙ্গীত শুনলে হয়তো ইসলামের প্রতি আকর্ষণ বাড়ার পাশাপাশি বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে তাদের মন উঠে যেতে পারে।
এসব না বুঝেই আমরা নাস্তিক ট্যাগ করে বিদ্রুপ কমেন্ট করছি। যদি আপনাদের-আমাদের এই কমেন্টের কারণে বিমূখ হয়ে তারা আসলেই নাস্তিকতা লালন করে, তাহলে কিছু করার থাকবে! কিছুই করতে পারবেন না। উদার দৃষ্টিতে দেখে তাদের সবকিছু মেনে নিয়ে ধীরে ধীরে কাজ করাই বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক হবে। হয়তো আমলে চলে যেতে পারে! তবেই আমরা সফল।
আরেকটা কথা! আমরা যে শুধু শুধু নাস্তিক-মুরতাদ বলে লাফাইতেছি, আমরা কী এখনো তাদেরকে ডেকে উন্মোক্ত কোন আলোচনার ব্যবস্থা করেছি? না কোন টিম গঠন করে তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছি, তাদের সাথে যুক্তিতর্কের ব্যবস্থা করেছি? মনে হয় না! আমার জানামতে এখনো পর্যন্ত এরকম কোন কাজ করা হয়নি।
আমরা শুধু একটাই চিনি, একটাই করতে পারি! বিরোধীদেরকে যেকোন কিছু ট্যাগ করে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া। এসবে হয়না ভাই। লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাটাই বেশী দেখা দিবে। কবে যে আমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে!
লেখক : অনলাইন এ্যক্টিভিস্ট।