অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে: টমেটোতে রয়েছে লাইকোপেন ও ভিটামিন এ; যা অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই নিয়মিত টমেটো খাওয়া উচিত।
হাড়ের জন্য উপকারী: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম; যা হাড়ের জন্য ভীষণ উপকারী। এটি অস্টিওপরোসিস রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। হাড় দুর্বল হলে অবশ্যই টমেটো খেতে হবে। এতে আরও রয়েছে লাইকোপিন নামক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান; যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধক: টমেটোতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি দেহের ফ্রি রেডিকেলস দূর করে এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায়। ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। টমেটো খেলে ডিএনএ সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না।
জ্বালাপোড়া দূরীকরণে : জ্বালাপোড়ার অন্যতম কারণ টিএনএফ-আলফা। টমেটো খেলে শরীরে টিএনএফ-আলফার মাত্রা কমে যায়। এতে শরীরে জ্বালাপোড়া কমে। টমেটোর জুস পান করেও শরীরের জ্বালাপোড়া দূর করা যায়।
চোখ ও ত্বকের সুস্থতায় : ত্বক ও চোখের জন্য টমেটো বেশ উপকারী। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন এ; যা চোখ ও ত্বক সুস্থ রাখে। কুচি করে কাটা এক কাপ কাঁচা টমেটো প্রতিদিন খেলে দেহে ভিটামিন এ-র অর্ধেক চাহিদা পূরণ হয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : টমেটো ডায়াবেটিস রোগীদের দেহের শর্করার মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে : টমেটোতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি; যা শরীরের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের সুস্থতায় : ভিটামিন সি ত্বকে কলাজেন তৈরিতে কাজ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক রক্ষায় সাহায্য করে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে টমেটো ব্যবহার করা যেতে পারে।
রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে: মৃত্যুঝুঁকির অন্যতম কারণ হতে পারে ব্লাড ক্লোট বা রক্ত জমাট বাঁধা। রক্ত জমাট বাঁধলে শরীরে রক্তের সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়; যা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। টমেটো এই ক্লোট প্রতিরোধে সাহায্য করে।
স্ট্রোক প্রতিরোধক : টমেটো মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়ায়; যা স্ট্রোক প্রতিরোধ করে। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হলে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। যদি বংশে এই ধরনের রোগের প্রবণতা থাকে, তবে টমেটো খাওয়া যেতে পারে।