আজ রোববার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে একাংশ) দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শোনা যাচ্ছে এবার নির্বাচনে সাংবাদিকেরা কেন্দ্রের ভেতরে যেতে পারবেন না। এটার লক্ষ্য পরিষ্কার। চুরি করার জন্য সাংবাদিকদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সাংবাদিকদের অবশ্যই কেন্দ্রের ভেতরে থাকতে হবে।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি যাতে নির্বাচনে আসতে না পারে সে জন্য আওয়ামী লীগ নানা কৌশল করেছিল। কিন্তু এবার তারা ভুল করে ফেলেছে। বিএনপি আসবে তাঁদের চিন্তায় ছিল না। বিএনপি নির্বাচনে এসে প্রমাণ করেছে, তাঁরা নির্বাচনমুখী দল। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনে বিশ্বাস করে। তিনি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, এই সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণমাধ্যমকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সেটি আরও ভয়াবহ হয়েছে। বিভিন্ন কালাকানুন করে সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে আমার দেশ, ইসলামিক টেলিভিশন, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একুশে টিভির চেয়ারম্যানকে বন্দী রেখে কৌশলে চ্যানেলটি দখল করে নিয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদকে জেলে বন্দী করা হয়েছে। তিনি আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ও একুশে টিভির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালামের মুক্তি চান।
খালেদা জিয়া বলেন, ক্ষমতাসীনেরা তাঁদের বলয়ের বাইরে কোনো রাজনৈতিক শক্তি বা ভিন্ন মতের অস্তিত্ব রাখতে চায় না। এ প্রসঙ্গে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ফখরুলকে ছয়বার কারাগারে নেওয়া হয়েছে। ৮৬টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনা হিটলারের ফ্যাসিবাদী শাসনের কথা মনে করিয়ে দেয়।
কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আবদুল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।