শফি আহমদ হাফিজুর::
ব্রিটিশ সাংবাদিক “রেডলী” আফগানিস্তানের মুসলিম যোদ্ধাদের হাত থেকে মুক্তি পাবার পর ইসলাম গ্রহণ করার কারন হিসেবে একটি চমৎকার ঘটনা তুলে ধরেছেন যা সত্যিই বিস্ময়কর!
তিনি বলেন, আফগানিস্তান হতে মুক্ত হবার পর আমার ইহুদী বন্ধুরা/ মেয়েরা আমাকে যে ধর্ষণ করা হয়নি সেটা বিশ্বাস করতেই চাইতো না। বরং, তারা আমাকে বার বার জিজ্ঞেস করতো মুসলমান মুজাহিদরা আমাকে কত বার ধর্ষণ করেছে? এভাবে বছর খানেক পার হবার পর আমি একদিন ট্যাক্সি করে যাচ্ছিলাম। সেই ট্যাক্সি ড্রাইভার আমাকে চিনতে পেরে জিজ্ঞেস করলো তুমি কি সেই ব্রিটিশ সাংবাদিক “রেডলী? তখন আমি বললাম জ্বী আমিই সেই ব্রিটিশ সাংবাদিক “রেডলী” কেন ? তখন সে বললঃ আচ্ছা কিছু মনে করবেন না আপনি তো খুব সুন্দরী তারা কি আপনাকে বার বার ধর্ষণ করেছে? প্রশ্নটা শুনে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল তবুও স্বাভাবিক ভাবেই আমি বললাম “না তারা আমাকে একটি বারও স্পর্শ করেনি। তখন, আমার জাতি ভাই ট্যাক্সি ড্রাইভার বলল হে, “রেডলি” যদি ওদের জায়গায় আমার হাতে তুমি বন্দী হতে তাহলে তোমার শরীরের স্পর্শে নিজেকে সারাক্ষন মাতিয়ে রাখতাম। অতঃপর রেডলি বলেনঃ সেদিনই আমি প্রথম মুসলিম এবং ইহুদী পুরুষের আচরণ লক্ষ্য করলাম এবং ইসলাম নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম। অতঃপর আমি মুসলমান হয়ে গেলাম কারন মুসলিম যোদ্ধারা আমাকে বন্দী করে কোন দিন আমাকে একবারের জন্যও স্পর্শ করে নির্যাতন- অপমান করেনি, বরং তারা যে সম্মান এক কাফের নারীকে দিয়েছে এতে আমি হাজার বার বলতে পারি ইসলামের যে কালেমা মোহাম্মদ (সঃ) আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে প্রচার করেছিলেন শুধু তার মধ্যেই আছে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সম্মানের শীতল ছায়া। যা আমি আফগান মুসলিম যোদ্ধাদের হাতে বন্দী অবস্থায় দেখেছি। হে দুনিয়ার মানুষ, মুসলিম ভাইদের হাতে দুষমনের এক নারীও কত নিরাপদ!