সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৩৪টি মুসলিম প্রধান দেশ নিয়ে একটি নতুন সামরিক জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। এই জোটের মধ্যে থাকা দেশের তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে।
দেরীতে হলেও মুসলিম বিশ্বের নেতাদের শুভ বুদ্ধির উদয়ের লক্ষণ।
কমাশিসা বিদেশ ডেস্ক: সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা (এসপিএ) জানিয়েছে, সৌদি রাজধানী রিয়াদ থেকেই জোট বাহিনীর কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এসপিএ জানিয়েছে, জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আরব, দক্ষিণ এশিয়া আর আফ্রিকার দেশগুলো রয়েছে।
তবে ইরানকে এই জোটের অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। জোটে নেই আফগানিস্তান, ইরাক এবং সিরিয়াও। একটি সংবাদ সম্মেলনে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান বলেছেন, এই জোট ইরাক, সিরিয়া, মিশর আর আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী ও চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
তিনি বলেন, ইসলামিক দেশগুলো এই রোগের (চরমপন্থা) সঙ্গে লড়ছে, যা এসব দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন করছে। এখন প্রতিটি দেশ আলাদা ভাবে এর সঙ্গে লড়ছে। কিন্তু এই জোটের মাধ্যমে দেশগুলো একত্রে লড়াই করবে। তবে এর বেশি তিনি জানাননি।
যুবরাজ সালমান জানান, জোটে পুরোপুরি সক্রিয় হতে সদস্য দেশগুলোকে প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। তবে খুব তাড়াতাড়ি জোট কার্যকর হয়ে উঠবে। ইসলামিক স্টেটের মতো গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বর্তমানে বেশ কয়েকটি জোট রয়েছে। আমেরিকান নেতৃত্বাধীন জোটে ৬৫টি দেশ রয়েছে। যদিও খুব কম দেশই সক্রিয়ভাবে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সক্রিয় সামরিক ভূমিকা নেয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ রয়েছে।
জোটের ৩৪টি দেশের তালিকাঃ
সৌদি আরব, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বেনিন, চাদ, কোমোরোস, আইভরি কোস্ট, জিবুতি, মিশর, গ্যাবন, গায়েনা, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিস্তান, কাতার, সেনেগাল, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন।